আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেখি আপনারা হা করেন কিনা। ১৮ + হবে। হা করতেই হবে ) আমাদের ফরিদ ভাই - ফরিদ bond 007 + mission impossible to be possible কিন্চিত ১৮+ { অধ্যয় =০৩ }

( সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা তবে চরিত্রর নাম গুলো অন্য নামে দেওয়া হয়েছে..........। ) অধ্যয় ১ - Click This Link Click This Link অধ্যয় ২ - Click This Link (যারা অধ্যয় ১ ও ২ পড়েননি তারা আগের অধ্যয় গুলো পড়ে নিন ) অধ্যয় ৩ শুরু ----- কখনও কি কারো জন্য কারো জিবন থেমে থাকে ? কখনও না। জিবন চলে তার আপন গতিতে। তেমনি ফরিদ ভাই ও এর মাঝে আবার বিদেশ চলে এলেন। আগেই বলেছিলাম যে তিনি বিয়ের পর অনেকটা পাল্টে গিয়েছেন যদিও আমার তখন কারণটা জানা ছিলনা তাই আমি ওনাকে বউ পাগল উপাধি দিয়ে ছিলাম।

আর আজ যখন একটা একটা করে জানালা আমার সামনে খুলে যাচ্ছে আমি তাতে প্রতিনিয়ত অবাক হয়ে চলেছি, আমি খালি চিন্তা করছি এর ভিতর দিয়ে ফরিদ ভাই এতটা দিন পার করল কিভাবে। আজব এ দুনিয়া। আমার মনে হয় আজব এ ভাগ্য, আইমিন ফরিদ ভাই এর ভাগ্য। যদিও আমি যতটুকু ঘটনা বলেছি তা মাত্র ফরিদ ভাই এর বিয়ে থেকে ৬-৭ মাস পযন্ত হবে। আরও তো বাকি আছে, আর সেসব ঘটনা শুনতে বা বুঝতে হলে আরও ভেতরে যেতে হবে আমাকে, কিন্তু ফরিদ ভাই এর এখন যে অবস্থ্যা তাতে এবাপারে প্রশ্ন করে তাকে কস্ট দেয়া ছারা আর কিছু হবেনা।

তবু যখন আমি তাকে সামুর কথা বললাম তখন তিনি বললেন - হুমম..!! লিখতে পারো তবে নাম ঠিকানা গোপন রাখতে হবে। কিন্ত সমস্যা হয়ে দারাল সময়, অফিস এ ১২ ঘন্টা কাজের পর আর সময় থাকে না যে তার সাথে বসে একটু কথা বলব। ফরিদ ভাই কে খুলে বললাম ঘটনাটা যে আমি এই ব্যাপারে আরও ডিটেইলস জানতে চাই। প্লানিং হল আগামি মাসে কোন এক দিন আমরা "ফুজাইরাতে" একসাথে যাব। ওখানে ২ রাত থাকব ঘুরব ফিরবো।

তাতে মনটাও ভাল হবে আর পরা ব্যাপার টাও জানা যাবে। ফুজাইরা জাগাটা আমিরাতের দুবাই বা সারজাহ থেকে একটু দুরে। প্রকিতি ও টেকনোলজির ছোয়ায় প্রানবন্ত একটা জায়গা। প্লান মত রওনা দিলাম আমি, ফরিদ ভাই ও আমাদের ড্রাইভার গিয়াট (মিশর)। যাবার সময় রাত হয়ে গেল দেখে সবার অনুমতিক্রমে আজমান নামক জায়গায় একটা বাঙালি বার আছে, ড্যান্সবার, নাম বৈশাখি।

চিন্তা করলাম রাত ৭ টা বেজে গেছে, এখানে আজরাত টা কাটিয়ে যাই। দু:খের বিষয় সেরাতে আমিরাতের জাতিয় কোন উৎসব এর জন্য পুরা ২ দিন ছুটি ছিল। এই কারনে সারা রাত বার গুলো খোলা র মানুষের ভিরে ঢোকার উপায় নেই। সেজন্য বৈশাখি তে ঢুকতে না পেরে পাশের একটা ইন্ডয়ান ড্যান্সবার এ এনট্রেন্স নিলাম। একদোম পেছনে আলো কম থাকে বিধায় একদম পেছনে বসলাম, একটু দুরেই স্টেজ আর তাতেই প্রায় ১৮-২০ জন সুন্দরি একে একে নাচছে, কেউ বা তাদের একজন কে ফুলের মালা দিচ্ছে।

আমাদের নজর ওদিকে ছিল না। তো আমরা বসলাম, খানিক পর ওয়েটার এল আমারজন্য ফোস্টার আর ভাই এর জন্য রেদ হরস এর ক্যান নিয়ে। যথারিতি আমাদের আলাপে আমরা মশগুল হলাম। আলাপের শুরুতেই ফরিদ ভাই এর ডায়েরীটা আমার হাতে দিলেন বিশেষ একটা পাতা উল্টে। তাতে লেখা ছিল - - - - - - ----- সামনে কিংবা পর্দার পেছনের জীবনে ‘নায়ক’, না ‘খলনায়ক’, নাকি কেবলই দোষ-গুণের মিশেলে তৈরি এক চিরাচরিত মানুষ-- সময়ই ঠিক করবে তা।

আসলে আমি পরিস্থিতির শিকার এবং বিগত 7 বছরে অনেক যন্ত্রণা সহ্য করেছি । আসলে আমার জীবনে সুখ আর দুঃখ একের পর এক আসে না, তারা একই সময় একই মাত্রায় সবসময় আমার জীবনে বিরাজমান। কোন একজনের বিশেষ প্রতিশোধ এর স্বীকার আমি। আমাকে দিয়ে সব করিয়ে এখন আমাকেই সবার সামনে খারাপ করিয়েছো, কি লাভ তাতে তোমার, কারন তোমাকে তো অন্তত আমি জানি। বরং তোমার দিকে তাকিয়েই আমি মুখ খুললাম না।

আল্লাহ যেন তোমার বিরুদ্ধে মুখ খোলার আগেই আমাকে উঠিয়ে নেয়। আমাকে যেভাবে তিলে তিলে মেরে ফেললে একদিন আসবে যা তোমাকে অনেক কাদাবে। আমর অনুরোধ অন্তত সেদিন তুমি তোমার মুখ দিয়ে আমাকে দোষি দায় থেকে মুক্ত করে দিও। যখন এলেখাটা পরছিলাম তখন বুঝতে পারছিলাম না যে কি এটা। ২-৩ বার পরার পর বুজলাম এটা সুইসাইড চেষ্টা করার আগে এটা লেখা।

এই লেখার বিশেষত একটা লাইন অন্য কিছু নিদেশ করে - "আমাকে দিয়ে সব করিয়ে এখন আমাকেই সবার সামনে খারাপ করিয়েছো, কি লাভ তাতে তোমার, কারন তোমাকে তো অন্তত আমি জানি। " এই একটা লাইন বুজতে আমি পারছিনা। তাই আবারো শুরু থেকে অন্তত ১০-১২ বার পড়ে বোঝার বৃথা চেষ্টা করলাম। বুজতে পেরেছি কিনা সেটাই বুজতে আমার অন্তত ১০-১২ মিনিট লেগে গেল। বোঝার মধ্যে এতটুকুই বুজলাম ঘটনাটা বাইরে থেকে যা দেখা যাচ্ছে বা যা শুনেছি তার বাইরেও অনেক কিছু আছে যা আমার অনুমান মতে আরও ভয়ংকর হতে পারে।

আসলে এখানে কে যে খলনায়ক আর কে যে নায়ক তা এখন পযন্ত ক্লিয়ার না আমার কাছে, যতই ভিতরে যাচ্ছি ততই নতুন ভাবে ঘটনাটা মোড় নিচ্ছে। কে যে কার শত্রু সেটা বোঝাই মুশকিল। এখানে একজন আরেক জনকে দোষারোপ করছে। এসব যখন চিন্তা করছিলাম হতাৎ করেই চোখ গেল ফরিদ ভাই এর দিকে, অনেকটা আর চোখেই বোঝার চেষ্টা করছিলাম তখন তিনি কি ভাবছেন। এমন সুলভ চেহারার অধিকারি কখন্ই দোষী হতে পারে না।

যখন নিচের দিকে তাকালাম দেখলাম এসির বাতাসে ডায়ারীর কয়েকটা পাতা উল্টে গেছে আর তাতে নিচের লেখাটা লেখা ছিল -- As a creative wiz, I have what it takes: the presence of mind to do what I do best. I can apply or advance new ideas and entertain new possibilities with resourceful and inventive attention to detail. I lay it on the line. I set the stage for performing my own enterprising experiments to make it over and make it work. I leave it all behind so that I can simplify or renovate the formula. I read between the lines for tips and tricks to following conventional methods and guarding my reputation and my privacy. ধুর !!! আর ভালো লাগে না। এতো দেখছি যত সময় যাচ্ছে ততই রহস্যের মাঝে আমি নিজেই হারিয়ে যাচ্ছি। এত রহস্য কেন? কি ভাই জিবন টাকি খেলা, আপনারা দুজনই তো খেলছেন দেখছি। আপনারা দুজনি তো দোষি দেখছি। আপনাদের দুজনের কারনেই দু দুটা ফামিলির এ অবস্থ্যা।

ভাই একটা কথা বলি, এতটা দিন আপনার সাথে আছি একটা রিকয়েস্ট করব। আমাকে দয়া করে খুলে বলবেন। ফরিদ ভাই একটু হাসি দিলেন। স্বাভাবিক হাসি, আমি উনার অপজিটে বসেছিলাম হাত দিয়ে ইশারা করে বললেন পাশে এসে বসতে। আমি বরং একটু আশ্চয্যই হলাম বটে তবুও পাশে গিয়ে বসলাম, উনি একটু মাতাল হয়ে গেছে বলেই মনে হল, আমাকে বলল - আমার খুব ঘুম পাচ্ছে।

এই বলে আমার ঘাড়ে মাথা রাখতে চাইলেন। আমি একটু সরে গেলাম আবার কি মনে করে যেন মাথাটা রাখতে দিলাম। বুজতে পারি মানুষটার এসময়ের মানষিক অবস্থ্যা কেমন হতে পারে। তার পরেও আমার ধৈরযের সীমা ছাড়িয়ে গেছিল তাই এমন ব্যবহার করেছি। এটা আমার উচিৎ হয়নি।

রাত প্রায় এগারো টা। ফুজাইরা যাবার কথা থাকলেও আমরা যেতে পারিনি। কারন ফরিদ ভাই এর মাতলামিটা একটু বেরেছে। একটু আগেই বার থেকে বের হয়ে উনার পিছু পিছু হাটছি আমি আর গেয়ট। ফরিদ ভাই সামনে সামনে হাটছে, কোথায় যাচ্ছে জিগেস করলে বলেন হাটতে ভাল লাগছে তাই হাটছি।

উনি আনমনে ধিরে ধিরে হাটছেন কখনবা গান গাইছেন। এই রাত ১২ টার দিকাও অনেক লোক আছে এই সৈকতে। বালির কিনারা দিয়ে ছোট পিচের রাস্তাটা প্রায় ১২ কিলোমিটার পাকা। প্রায় অনেকক্ষন হাটা পরে রাস্তা ক্রস করে ফরিদ ভাই নিজেই ঢুকলেন কেএফসিতে। আমরা দাড়য়ে থাকলাম এপারে।

মাল খাইলেও বসে যাতে ঠিক আছেন। বেশ ভালভাবেই হাতে রোষ্টপ্যাকেজ এর ৩-৪টা প্যাকেট নিয়ে হাজির তিনি ঠিক আমাদের সামনে। আমার হাতে পেপসির ১২ পিস এর একটা কেস আর ২-৩ প্যাকেট মালবোরো দিয়ে সামনে চলে গেলেন। আমরাও তার পিছনে পিছনে গিয়ে বালুর উপর বোসলাম। ঠিক তিন জন গোল হয়ে।

এদিকটা লোকজন কম। আলো একটু কোম। দু পাশে দুটো খেজুর গাছছিল। ফরিদ ভাই তার একটাতে হেলান দিলেন আর আমরা তার পাশে। মাথার উপর একটা সুন্দর চাদ।

বাম পাশে সমুদ্র তার ঢেউ তুলে আমাদের জমিনে আচরে পড়ছে। ডান পাশে বেশ খানিকটা দুরে ইট বালির ফুটপাত আর মেইন রোড, দুরে কোথাও গান বাজছে। মৃদু মৃদু তা শোনা যাচ্ছে। কাউকে কিছু না বলেই প্যাকেট খুলে খেতে শুরু করল ফরিদ ভাই। আর বললেন শোন আমি তোমাকে বলছি ....।

সব বলব...খুলে বলব - এই বলে বলতে শুরু করলেন আমাদের ফরিদ ভাই । চলবে .......। ( সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা তবে চরিত্রর নাম গুলো অন্য নামে দেওয়া হয়েছে..........। ) --- ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.