আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মানিকগঞ্জের মানুষ রান্না করার জন্য গ্যাস পায় না। চুলায় যে গ্যাস আসে তাতে একটি ডিম ভাজিও করা যায় না।

কোন সিস্টেম সাম্যাবস্থায় থাকা কালে যদি এর কোন নিয়ামক পরিবর্তন করা হয় তাহলে সিস্টেমের অবস্থান এমনভাবে পরিবর্তত হবে যেন সেই নিয়ামক পরিবর্তনের ফলাফল প্রশমিত হয় আজ এক বাসাতে দাওয়াত খেতে গিয়েছিলাম । সব রান্না করাই ছিল শুধু ভাত ছাড়া । যথারীতি আমি যাওয়ার পর ভাত রান্না করতে চুলোতে হারি বসাল তখন হয়ত দুপুর ১ টা বাজে । অনেক গল্পগুজব হল কিন্তু ভাত তো আর আসে না । এদিকে আমার পেটের ভিতর রাক্ষসগুলো লাথিগুতা দেয়া শুরু করছে , খিদায় পেট চু চু করছিল কিন্তু মুখফুটে কিছু বলতে পারছিলাম না ।

কি আর করব পেত কি আর লজ্জা বুঝে তাই জিজ্ঞাস করেই ফেললাম । সেও গোমরা আর লজ্জা মাখামুখে বলল, “ ভাত চুলাতে, গ্যাস নাই ত তাই দেরি হচ্ছে । ’’ তখন ইসছা করছিল চাল চাবিয়ে খেয়ে পরে এক গ্লাস পানি খাই ,পেটের ভিতর গিয়ে ফুটতে থাকুক । এই ঘটনা আজকে আমার সাথে ঘটেছে, মানিকগঞ্জে শহরের প্রতিটি পরিবারে প্রতিনিয়ত ঘটছে । হয়ত তারা লজ্জা থেকে রক্ষা পাবার জন্য ভোর রাতে বা মাঝ রাতে রান্না করে ।

আজ মনে পড়লো সেই খবর গুলর কথা “মানিকগঞ্জে গ্যাস সঙ্কট তীব্র\ রান্নার কাজে মাটির চুলা ব্যবহার’’ সোমবার ১৭ জানুয়ারি ২০১১ দৈনিক সংগ্রাম Click This Link । এক বছর আগের খবর এটি। বছর ঘুরে বছর আসছে। সমস্যার সমাধান কিছুই হই নি। মানিকগঞ্জে গ্যাসের অভাবে রান্না করতে পারছে না হাজার হাজার পরিবার ২৮ জানুয়ারী ২০১১ সাপ্তাহিক সোনার বাংলা মানিকগঞ্জে শহরের সব এলাকাতে গ্যাসের সমস্যা আছে ।

তারপরও দুদিন পর পর শুনতে পাবেন নতুন নতুন গ্যাস খনি পাওয়া যাছে । এই খবরগুলো দেখে মনে হয় তাদের বলি, খোঁজা খুঁজির দরকার নেই ওগুলোকে মাটি চাপা দিয়ে রাখাই ভাল । আর বেশী দিন দেরি নাই, যে দিন শুনব দেখব গরুর গোবর নিয়ে টানাটানি চলছে , মারামারি হচ্ছে কারা আগে কে নিবে । মানিকগঞ্জবাসী গ্যাস সংকট নিরসনে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার লিখিত ও মৌখিকভাবে জানানোর পরও কোন সুফল না পেয়ে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে। দিন যতই যাচ্ছে ততই জনগণের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করছে।

নিরুপায় হয়ে জীবন বাঁচানোর তাগিদে অনেকেই বৈদ্যুতিক চুলা ও মাটির তৈরী চুলা দিয়ে রান্নার কাজ সেরে নিচ্ছে। প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৩টা এবং সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যমত্ম গ্যাস থাকে না। জানা গেছে, গত দুই মাস ধরে সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যমত্ম একটানা গ্যাস না থাকায় দিনের বেলায় রান্না করা সম্ভব হয় না। মধ্যবিত্তরা বিকল্প ব্যবস্থায় রান্না করছে কিংবা হোটেল রেসেত্মারাঁ থেকে খাবার কিনে খাচ্ছে। আর নিম্ন আয়ের মানুষেরা অবর্ণনীয় কষ্টে দিনাতিপাত করছে।

রাত ১০টার পর গ্যাসের প্রবাহ স্বাভাবিক হলে অনেক পরিবার রাত জেগে পরের দিনের জন্য রান্না করে ফ্রিজে রেখে তা খাচ্ছে। গ্রাহকদের অভিযোগ রান্নার সময় গ্যাস থাকে না অথচ মাস শেষে বিল ঠিকই দিতে হয়। গ্যাস না দিতে পারলে বিল বন্ধ রাখার আবেদন জানান গ্রাহকরা। মানিকগঞ্জ জেলায় গ্যাসের চাহিদা মিটানোর জন্য ১৫০ পিএসআই গ্যাসের দরকার। সে ক্ষেত্রে পাওয়া যাচ্ছে শুধু ৩ থেকে ৪ পিএস আই গ্যাস।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.