আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমাদের ঈমান কি এতটাই দুর্বল ?

আমি স্পর্শকাতর বিষয়গুলো নিয়ে খুব একটা লিখি না ব্লগে কিংবা অন্যান্য সামাজিক সাইটগুলোতে। কিন্তু গত কয়েকদিনের ঘটনা আমাকে নাড়া দেয়। মার্কিন এক পরিচালক মহানবী(সঃ) কে ব্যাঙ্গ করে ছবি বানানোর প্রতিবাদে সারা মুসলিম বিশ্বব্যপি প্রতিবাদ হয়েছে। এর প্রতিবাদ আমিও করি। আমি আমেরিকায় যে রাষ্ট্রে থাকি তার নাম ভার্জিনিয়া।

আমি নর্থভার্জিনিয়ার ব্রিস্ত শহরে থাকি। এখানে আমাদের বাংলাদেশি তো নেই বললেই চলে বরং এশিয়ান ও চোখে দেখা যায় না। মুসলিম বলতে কিছু পাকিস্তানি,মিশরিও অন্যান্য আফ্রিকান মুসলিম। তবে মজার ব্যপার হল আমরা প্রতি শুক্রবারই জুম্মার নামায দেশে যেভাবে আদায় করতাম সেভাবেই আদায় করতে পারি। গত শুক্রবার যখন আমি জুম্মার নামাযে যাই তার আগের দিন সিরিয়ায় মার্কিন দূতাবাসে হামলা চালিয়ে রাষ্ট্রদূত হত্যা করা হয়েছিল।

একটা দেশের রাষ্ট্রদূত হত্যা অবশ্যই একটা বড় ঘটনা যেখানে সে একজন নিরপরাধ ব্যক্তি। সেদিন যিনি খুতবা দিয়েছিলেন তিনি মিশরিও আমেরিকান। আর এখানে ইংরেজিতে খুতবা দেয়া হয় যাতে সবাই বুঝতে পারে। তিনি সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে খুতবা দিয়েছিলেন। তিনি প্রথমে ছবির পরিচালক ও ইয়াহুদিদের সমালোচনা ক রেন।

এরপর তিনি রসূল(সঃ) এর জীবনের কিছু কাহিনী সংক্ষেপে বলেন। আমরা জানি রাসুল(সঃ) এর উপর অমানবিক নির্যাতন করেছিল কুরাইশরা। তিনি কি কখনো কারো গায়ে হাত তুলেছেন? তিনি যখন ইসলামের দাওয়াত দিতে দিয়েছিলেন তখন তার দাড়ি টেনে ছিরে,তাকে নির্যাতন করে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছিল,কিন্ত তিনি তাদের কখনো তাচ্ছিল্য করেননি। আমরা যদি রাসুল(সঃ) এর আদর্শ অনুসরণ করতাম তাহলে এক সামান্য ছবির কারণে আমাদের ঈমানে আঘাত লাগত না। বোমা মেরে নিরপরাধ মানুষ মারতাম না।

একটা ছবি যদি আমাদের চিন্তা চেতনায় আঘাত হানে তাহলে আমরা কোনদিনই রাসুলের আদর্শের অনুসরণকারী মুসলিম ছিলাম না। আমেরিকা এমন এক জায়গা যেখানে নিজেদের ধর্ম পালনে কেউ বাঁধা দেয় না। অনেক দেশেই হিযাব-নেকাব এর উপর নিষেধ আছে। কিন্তু এখানে তা নেই। মহানবী(সঃ) কে নিয়ে ব্যঙ্গ করার শাস্তি আল্লাহ্‌ ওই কাফিরকে এমনিতেই দিবেন।

আল্লাহ্‌ কি ইচ্ছা করলে পারতেন না সব ধর্ম বিলীন করে শুধু ইসলাম রাখতে। কিন্তু তিনি টা করেননি। তিনি আমাদের ঈমানের পরীক্ষা দিতে দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন। আর আমরা মুসলিমরা বারবার সেই পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হচ্ছি। আমাদের ঈমান যদি আসলেই শক্ত হত কিছু ইহুদি আর খ্রিস্টানদের কথায় আমরা লাফ দিতাম না।

আমাদের নিজেদের ঈমানের বিশ্বাস শক্ত হলে দুনিয়ার কোন কিছুই ইসলামের ক্ষতি করতে পারবে না। অনেকই বলবেন আমি আমেরিকার দালালি করছি। যা সত্যি তাই বলেছি। নিজের ঈমানের বিশ্বাস অতটুকু শক্ত বলেই খ্রিস্টান দেশে থেকেও নামায মসজিদে গিয়ে পরতে পারছি। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।