সদ্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়া মহীউদ্দীন খান আলমগীর গত আওয়ামী লীগ সরকারে টেকনোক্র্যাট হিসেবে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন।
উল্লেখ্য, এই সাবেক প্রতিমন্ত্রী/ সচিবকে জরুরি অবস্থার সময় কারাভোগ সহ নানা নির্যাতন ভোগ করতে হয়েছিল।
এইজন্য উনি রাতের টিভি টক শো গুলোতে দুদক- তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সমালোচনায় উচ্চকন্ঠ ছিলেন। একবার তো বলেই ফেললেন দুদকের প্রয়োজন নেই।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুই বছরের কর্মকাণ্ডের জন্য দুদককে ক্ষমা চাওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ওই সময় দুদক সংবিধান লঙ্ঘন করে বিশেষ গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষায় স্বৈরতন্ত্রের তল্পিবাহক হিসেবে কাজ করেছে।
গণতান্ত্রিক দেশে এ ধরনের দুদকের কোনো প্রয়োজন নেই। দুদক আইনের সংশোধনকে ইতিবাচক আখ্যায়িত করে মহীউদ্দীন খান বলেন, সরকারের কোনো প্রতিষ্ঠানই পূর্ণ স্বাধীন হতে পারে না। দুদককে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা দেয়া হলে সেনাপ্রধানও নিরঙ্কুশ ক্ষমতা চাইবেন। দুর্নীতি দমন কমিশন, নির্বাচন কমিশন, পাবলিক সার্ভিস কমিশন—এসবই সরকারের নিযুক্তিয় কর্তৃপক্ষ। এগুলোর স্থান কখনোই সংসদের উপরে হতে পারে না।
সেটা হলে স্বৈরতন্ত্রকে প্রশ্রয় দেয়া হবে।
মহাজোট সরকার গঠনের সময় একপাশে পড়ে থাকা এই রাজনীতিক গত দুই বছরে কী করে যেন কম গুরুত্বপূর্ণ থেকে অতীব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠলেন।
নতুন বেসরকারী ২টি ব্যাংক এর একটি মহীউদ্দীন খান আলমগীরের ‘ফার্মারস ব্যাংক।
ঢাকায় ২টি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১টি তার নামে -European University of Bangladesh।
এখন দেখা যাক উনি কী করেন সেইসব কালপ্রিটদের যারা তাকে গ্রেফতার করেছিল "শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিবৃতি দেননি" বলে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।