স্বন্দেশ অভিনয়কে ভালবেসে একসময় অভিনয়কেই পেশা হিসেবে নিয়ে কাজ করতে গিয়ে দুই মেয়ে তানিরা আর জুবায়রাকে সময় দিতে পারেননি একুশে পদকপ্রপাপ্ত ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী দিলারা জামান।
মেয়েরা এখন বড় হয়েছে, যার যার সংসার করছে। তাই জীবনের শেষ সময়টুকু মেয়েদের সাথে কাটানোর লক্ষ্যে নাট্যাঙ্গন থেকে বিদায় নিয়ে ২০১০ সালের অক্টোবর মাসে স্বামীসহ দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন আমেরিকায় ছোট মেয়ে জুবায়রার কাছে।
কিন্তু সেখানে গিয়ে মন টেকেনি বলে গত মাসের শেষপ্রান্তে আবার দেশের মাটিতে ফিরে এলেন দিলারা জামান।
বিগত প্রায় দশ বছর যাবত শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছেন তার স্বামী বাংলা একাডেমী পুরস্কারপ্রাপ্ত বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক ফখরুজ্জামান চৌধুরী।
দেশে ফেরার পর গত ৮ সেপ্টেম্বর তার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হবার কারণে তাকে ঢাকার উত্তরাস্থ ক্রিসেন্ট হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিউ) -এ রাখা হয়।
কৃত্রিমভাবে শ্বাস প্রশ্বাস দেয়া হয় তাকে। প্রায় সাত দিন পর গত ১৪ সেপ্টেম্বর তার জ্ঞান ফিরলেও এখনও সবকিছু স্বাভাবিক নয়।
দিলারা জামান বলেন, ‘দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করছি যেন আল্লাহ আমার স্বামীকে পুরোপুরি সুস্থ করে তোলেন। ’
ডা. আসিফ মোস্তফার তত্ত্বাবধানে চলছে দিলারা জামানের স্বামীর চিকিৎসা।
বাবার এমন অসুস্থতার খবর পেয়ে বড় মেয়ে ড. তানিরা ঢাকায় চলে এসেছেন।
বিশেষত উল্লেখ্য, দিলারা জামান ১৯৯৪ সালে একুশে পদক এবং মুরাদ পারভেজ পরিচালিত ‘চন্দ্রগ্রহণ’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
দেশে ফিরে তিনি নতুন কোনো নাটকের কাজ হাতে নেননি। দিলারা জামান বলেন, “সার্বক্ষণিকভাবে এখন পুরো সময়টাই আমার স্বামীর পাশে থাকার চেষ্টা করছি। আপাতত নাটকে অভিনয়ের কোনরকম সুযোগই নেই।
” ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।