আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেবদাস কথন - ১

ভালবাসতে সবাই জানে , দুঃখ পেতে সবাই জানে তবে কস্ট কে বুকে ধরে সেটা উপভোগ করা কতটা নির্মম সেটা কেউ কেউ জানে । এখানে থাকবে দেবদাস এর ডায়েরি কথন - আজ সকাল থেকেই গুড়ি গুরি বৃষ্টি হচ্ছিল । সন্ধ্যা ৬ টা বাজে প্রায় । আমার প্রায় এরকম আধো সন্ধ্যেতে বাইরে বেড়িয়ে যাবার প্রবনতা বেশি দেখা দেয় । দূরে একটি হিন্দূ সম্রপদায়ের বাড়ি ,তাদের ঘরের পিছন দিকে বিশাল এক আম বাগান ।

এখন যেই ঝোড়ো হাওয়া আর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে সেটা আমের সিজন শুরু হওয়ার আগে একবার হয়ে থাকে । অনেক সময় এরকম পরিস্তিতে আম বাগানের গাছে ধরা নব্য মুকুল গুলো ঝড়ে পড়ে যায় , আর যেগুলো আপ্রাণ চেস্টা করে সেটে থাকে তার কিছু খায় পোকা আর কিছু পাখি । বাকিগুলো তো বিরাট সৌভাগ্যবান , তারা যায় মানুশ্যকুলের পেটে । আমার খুব ভাল লাগে ঝড়ে যাওয়ার এসব দৃশ্য দেখতে । প্রকৃত আমাদের কত কিছুই না দিয়েছেন , আমরা কখন ও চোখ মেলে ও দেখি না ।

সে যাই হোক , হিন্দুদের বাড়িতে পুজো চলছে আর তাদের ঘর থেকে আসা একটা ধুপের গন্ধ ভৌতিক আবহাওয়া ছড়িয়ে দিয়েছে চারদিকে । মা আমাকে প্রায়ই বারন করনে - " সন্ধ্যে বেলা যাসনে বাইরে , পেত্নী ধরবে তারপর দিবে ঘাড় মটকে " আমি তো দুস্ট , আমি কেন মানবো বাধা । কোন ও রকমে বাইরে বেড়িয়েই এক ছুট । একবার বাড়িতে ফিরেছিলাম কাক বেজা হয়ে । আম্মুর সেকি রাগ , তবে রাগ কমে গিয়ে আদর করেছিলেন তখন যখন দেখলেন আমার কোছায় রাখা ২টি কই আর একটি পুটি মাছ ।

মাকে বললাম - " আম্মু এগুলো কড়কড় কইরা ভাইজা দিবা , আমি খামু , হুম অহন ই খামু " । এরকম বৃষ্টিতে খালের এক ধার থেকে অন্য ধারে কই গুলো হেটে হেটে চলাচলা করে , আহা সেকি অসাধারন দৃশ্য । হিন্দু বাড়িতে আমের মুকুল ঝরার দৃশ্য দেখার পাশাপাশি ওদের পুকুর থেকে উঠে আসা কই গুলো যখন খালের দিকে ধাবিত হয় , তখন ই কপাৎ করে ধরাই আমার ২ য় কাজ । আহা সেই সৃতি আজ বড়ই বেদনা দেয় চলবে ....................। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।