আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেবদাস এবং দূর্গাপূজা। ছবির নাম দেবদাস, লেখক-শরৎ, নায়েক-শাহরুখ। চন্দ্রমুখী কে?

পথ্য তো রোগীরও লাগে না ভালো! যদিও এটা তার রোগ সারিয়ে তুলতে সাহায্য করবে,তথাপিও! জমিদার স্যার নারায়ণ মুখোপাধ্যায় (বিজয় কৃষ্ণা) ও তাঁর স্ত্রী কৌশল্যা (স্মিতা জ্যাকার) শোনেন, তাঁদের ছোটো ছেলে দেবদাস (শাহরুখ খান) ইংল্যান্ডে লেখাপড়া শেষ করে দশ বছর পর বাংলার তালসোনাপুরে তাদের গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসছে। কৌশল্যা ছেলের প্রত্যাবর্তনের খবরটি প্রতিবেশিনী সুমিত্রাকে দিলে, সুমিত্রাও দেবদাসের মায়ের মতোই খুশি হয়ে ওঠেন। কৌশল্যাকে তাঁর মেয়ে পারোর সঙ্গে দেবদাসের ছেলেবেলাকার বন্ধুত্বের কথা বলতে গিয়ে তাঁর চোখে জল এসে যায়। দেবদাসের স্মরণে পারো একটি প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখে, প্রদীপটি সে কখনও নিভতে দেয় না। দেবদাস গ্রামে ফিরে প্রথমে নিজের বাড়িতে না এসে যায় ছেলেবেলার প্রণয়িনী পারোর বাড়ি।

এতে কৌশল্যা মনঃক্ষুন্ন হন। এরপর সুমিত্রা দেবদাসের সঙ্গে পারোর বিয়ের প্রস্তাব দিলে দেবদাসের পরিবার তাঁদের বংশমর্যাদা ও আভিজাত্যের কথা ভেবে সে প্রস্তাব খারিজ করে দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সুমিত্রা প্রতিজ্ঞা করে দেবদাসের থেকেও ভাল পরিবারে তিনি পারোর বিয়ে দেবেন। অতঃপর জমিদার ভুবন চৌধুরীর সঙ্গে পারোর বিয়ে হয়। ভুবন চৌধুরী ছিলেন বিপত্নীক ও তিন সন্তানের পিতা।

দেবদাসের আশাভঙ্গ হওয়ায় সে কলকাতায় গিয়ে বন্ধু চুনিবাবুর (জ্যাকি শ্রফ) সঙ্গে পতিতালয়ে যাতায়াত শুরু করে। এই পতিতালয়ে চন্দ্রমুখী (মাধুরী দীক্ষিত) নামে এক বাইজির সঙ্গে তার পরিচয় ঘটে। এদিকে পারো শ্বশুরবাড়ির সকলকে, এমনকি মৃতা সতীনের ছেলেমেয়েদেরও আপন করে নেয়। সুগৃহিণীর মতো বাড়ির সব দায়দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেয়। দেবদাস মদ খেতে শুরু করে।

এদিকে দেবদাসের পিতৃবিয়োগ ঘটে। পারো দেবদাসকে দেখার বাসনায় দেবদাসের বাবার শ্রাদ্ধে উপস্থিত হয়। কিন্তু সেখানেও দেবদাস মদ্যপান করে অসভ্যতা করে। এরপর প্রচুর মদ্যপান করে অসুস্থ হয়ে পড়লে দেবদাস নিজের বাড়িতে থাকতে শুরু করে। কিন্তু দেবদাসের ভ্রাতৃবধূ তার বিরুদ্ধে চুরির গুরুতর অভিযোগ এনে তাকে ঘরছাড়া করে।

দেবদাসের মাদকাসক্তির কথা পারোর কানে যায়। সে দুর্গাপূজার জন্য বেশ্যাদ্বারমৃত্তিকা সংগ্রহের অছিলায় চন্দ্রমুখীর "কোঠা"য় গিয়ে হাজির হয়। চন্দ্রমুখীর সঙ্গে তার বাদানুবাদ হয়। পরে সে অনুভব করে, চন্দ্রমুখীও দেবদাসকে তার মতোই ভালবাসে। তখন পারো বাড়ির দুর্গাপূজায় নিমন্ত্রণ করে চন্দ্রমুখীকে।

চন্দ্রমুখী পুজো দেখতে এলে, ভুবন চৌধুরীর জামাই চন্দ্রমুখীর পরিচয় সকলের সামনে ফাঁস করে দেয়। এতে দেবদাসের সঙ্গে পারোর সম্পর্কের কথাও জানাজানি হয়ে যায়। ভুবন পারোকে বাড়ির বাইরে যেতে নিষেধ করেন। এদিকে দেবদাসের অসুস্থতা মারাত্মক আকার নিলে, সে হাওয়া বদলে যায়। পথে চুনিবাবুর সঙ্গে ট্রেনে দেখা হয়ে গেলে, দুই বন্ধু প্রচুর মদ্যপান করে।

দেবদাসের শরীর আরো খারাপ হয়। মৃত্যু আসন্ন জেনে সে পারোর শ্বশুরবাড়ির সামনে এসে উপস্থিত হয়। পারো বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসতে চায়। কিন্তু তার আগেই বাড়ির দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাড়ির বাইরে দেবদাসের মৃত্যু ঘটে।

(সূত্রঃ http://bn.wikipedia.org/wiki/ দেবদাস) ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।