আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছোটো পাজিটার আজ জন্মদিন

মানুষের জীবন খুবই বিবর্ণ থাকে মাঝে মাঝে। আসলে একে বিবর্ণ বলাটা বোধ হয় ঠিক না। এটাও একটা রং। হয়তো নিকষ কালো কিংবা ধূসর ! দেখতে দেখতে ছোটো পাজিটা আজ অনেক বড় হয়ে গেছে। আজ ১৭ তে পা দিলো।

ও ভাবছেন ছোটো পাজিটা আবার কে? এতো ভাবতে হবে না। ছোটো পাজিটা আমার আদরের ছোটো ভাই। ও আমার থেকে ছয় বছরের ছোটো। কিন্তু বয়সের এতো পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও ও আর আমি খুব ভালো বন্ধু। আমার প্রায় সব বিষয়ই আমি ওর সাথে শেয়ার করি।

ও আমাকে অনেক কথা চুপি চুপি ফোন করে বলে। এখনও বাড়ি গেলে আমি আর ও ঘুরতে বের হই। হয় বাবা’র বাইকে আর না হলে ওর সাইকেলে করে দুই ভাই ঘুরি। মাঝে মাঝে বিকেলে নদীর পারে দুই জন হাঁটতেও বের হই। বাড়ি গেলে রাতে ওর সাথে ঘুমাই।

রাতে আমরা গল্প করি, আর মা বলে তোরা দুই জন এতো ছোটো-বড় তারপরও বন্ধুর মত কি এতো গল্প করিস? সারাদিন এতো কথা বলিস রাতে ঘুমাতে এসেও কথা শেষ হয় না তোদের? আমাদের গল্প যেন শেষ ই হতে চায় না। আমি ঢাকায় কি করুন অবস্থায় থাকি তার গল্প করি। আর ও বলে তাও তো ভালো আছো মা’র মত সারাদিন কেউ তো পড়তে বসতে বলে না ! ও বলে ও কি করেছে - কাদের সাথে ক্রিকেট ম্যাচ জিতেছে, স্কুল পালিয়ে কোথায় ঘুরতে গেছে, ও আর ওর গ্যাং মিলে অন্য কোন গ্যাং এর সাথে মারামারি করেছে, সাইকেলেরে রেছ জিতেছে কয়বার এই সব। এখনও মনে আছে ওর জন্মদিনের কথা। মনে হয় এই তো সেইদিন জন্ম হল ওর।

তখন আমি ক্লাস ওয়ানে পরি। দিনটা ছিল ১৩ই সেপ্টেম্বর ১৯৯৬। শুক্রবার। বিকেলেই ওর জন্ম হয়। যখন ওকে দেখি তখন কি যে ভালো লাগছিল বোঝাতে পারবো না।

দেখতে লালচে সাদা রঙের হয়েছিল। সারা দিন ওকে নিয়ে ব্যাস্ত থাকতাম। ওর গাল টানতে খুব মজা লাগতো। কাউকে ওর কাছে যেতে দিতাম না। স্কুল থেকে ফিরেই ওর সাথে খেলা করতাম, দোল খাওয়াতাম।

সময় পেলেই ওর সাথে ফটোসেশন করতাম। ওর নামটাও আমার রাখা। অনেকে অনেক নাম রেখেছিল। শেষ পর্যন্ত আমার আবদারে আমার রাখা নামটাই সিলেক্ট করে মা। অনেকেরই অনেকগুলো নাম থাকে।

কিন্তু আমাদের দুই ভাইয়ের মাত্র একটি করেই নাম। ছোটো মামাও সুন্দর একটি নাম রেখেছিল। কিন্তু সেটি আমার চক্রান্তে বাতিল হয়ে যায়। ও ওর নামটাই তো বলা হয় নি। ওর নাম “ আবির ”।

আরমানের ভাই আবির। সময় চলে যায়। মহাকালের স্রোতে গা ভাসিয়ে আমরাও এগিয়ে চলি সামনের দিকে। পিছনে পড়ে থাকে শুধু সৃতি। আজ আমি তোর থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে তবুও সব সময় তোর জন্য অনেক ভালোবাসা আর শুভ কামনা।

জন্মদিনের অনেক অনেক শুভ কামনা ভাইয়া। জন্মদিনের কেকঃ জন্মদিনের উপহারঃ আবিরের ফেবু একাউনট থেকে নেওয়া কিছু ছবিঃ আবিরের প্রথম বাইক ড্রাইভঃ দুরন্ত আবির, পেছনে বাবাঃ নায়ক আবিরঃ ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.