আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অপ্রতিরোধ্য সার্টিফিকেট বাণিজ্য

অপ্রতিরোধ্য সার্টিফিকেট বাণিজ্য উচ্চ শিক্ষার নামে চরম নৈরাজ্য দৌরাত্ম্য আরো বেড়েছে নামসর্বস্ব সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকারের হাজার চেষ্টার পরও একশ্রেণীর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাধে চলছে সার্টিফিকেট বাণিজ্য। কোনোভাবেই তা বন্ধ করা যাচ্ছে না। উপরন্তু নামসর্বস্ব কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দৌরাত্ম্য আরো বেড়েছে। নিয়মবহির্ভূতভাবে তারা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে একাধিক শাখা-প... ্রশাখা খুলে শিক্ষার্থী ভর্তি করছে। টাকার বিনিময়ে দিচ্ছে উচ্চতর ডিগ্রি আর সার্টিফিকেট।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) একাধিকবার এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ দিলেও কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেই কিছু করতে পারছে না মন্ত্রলাণয়। অভিযোগ উঠেছে, ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি অসাধু চক্রের সঙ্গে অাঁতাত করে এসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় চালিয়ে যাচ্ছে সার্টিফিকেট বাণিজ্য। ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে, নূ্যনতম যোগ্যতা ও শর্তাবলী পূরণ না করায় ইউজিসি বন্ধ করে দেয় আমেরিকা-বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি ও কুইন্স ইউনিভার্সিটি। কিন্তু ইউজিসির ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট থেকে স্থগিতাদেশ (স্টে অর্ডার) নিয়ে তারা শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া বহুধা বিভক্ত দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটি দেশজুড়ে অবৈধ ক্যাম্পাস খুলে শিক্ষার নামে ফেঁদে বসেছে সার্টিফিকেট বাণিজ্য।

একই অভিযোগ প্রাইম ইউনিভার্সিটির বিরুদ্ধেও। ঘোরতর অভিযোগ উঠেছে ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি ও মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটির বিরুদ্ধে। এ দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নেই। তারপরও চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। এছাড়া মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বে বিপর্যস্ত অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়।

সূত্র জানায়, নামসর্বস্ব বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় দেশের উচ্চ শিক্ষার জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি আরো ৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এ নিয়ে দেশে বর্তমানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬২। তবে এদের সওদাগরি মানসিকতার কারণে শিক্ষার মান ক্রমেই নিম্নমুখী হচ্ছে। সাকুল্যে সর্বোচ্চ ১০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হয়তো পাওয়া যাবে যাদের শিক্ষার মান ভালো।

বাকি সব প্রতিষ্ঠানই শতভাগ বাণিজ্যের পসরা সাজিয়ে বসে আছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউজিসি কোনো নির্দেশ দিলে তারা আদালতে গিয়ে স্থিতাবস্থার আদেশ নিয়ে আসছে। আর এ ক্ষেত্রে তাদের সহযোগিতা করছে ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়েরই কিছু অসাধু কর্মকর্তা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বহুধা বিভক্ত দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটি দেশজুড়ে অবৈধ শাখা ক্যাম্পাস খুলে শিক্ষার নামে সার্টিফিকেট বিক্রি করছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির হিসাবে সারাদেশে ৮৪টি অবৈধ শাখা থেকে দারুল ইহসানের নামে দেয়া হচ্ছে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সার্টিফিকেট।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন দারুল ইহসানের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে। বর্তমানে পাঁচটি গ্রুপ দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ব্যবহার করছে। এর মধ্যে চারটি গ্রুপ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পৃথক আবেদন করেছে। অভিভাবক সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়টির ঢাকা ক্যাম্পাস ছাড়াও দেশের বিভিন্ন আউটার ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন এখন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। এর আগে ইউজিসি দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটির বিতর্কিত কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিলেও কর্তৃপক্ষ তা আমলে নেয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়টি নিয়ে সঙ্কট এমন পর্যায় পেঁৗছেছে যে, বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী আসলে কত তার হিসাবও নেই কারো কাছে। শিক্ষার্থীরাও জানে না কে প্রকৃত আর কে ভুয়া ছাত্র। এছাড়া নূ্যনতম যোগ্যতা না থাকায় ইউজিসি আমেরিকা-বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি ও কুইন্স ইউনিভার্সিটি বন্ধ করে দিলেও তারা হাইকোর্ট থেকে স্থিতাবস্থা নিয়ে ঢাকা শহরের ধানম-ি, বনানী ছাড়াও যাত্রাবাড়ী, পুরনো ঢাকার রায়সাহেব বাজার, মোহাম্মদপুর, উত্তরা, গুলশান ও মিরপুরে ক্যাম্পাস খুলে বসেছে। নূ্যনতম উচ্চতর শিক্ষা পরিচালনার সুযোগ-সুবিধা না থাকলেও ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে বিবিএ, এমবিএ, বিএড, এমএড, কম্পিউটার সায়েন্স, এলএলবির মতো ডিগ্রি দিচ্ছে তারা। একই অভিযোগে ইউজিসি সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটির বৈধতা বাতিল করলেও পুরনো ঢাকার টিকাটুলী হাটখোলায় টিনশেড ঘর করে তারা শিক্ষার্থী ভর্তি করছে।

অভিযুক্ত আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয় অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি। ঢাকার গুলশানে এ বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেয়া হয় ২০০৪ সালে। কিন্তু তারা বনানীর ৪ নাম্বার রোডে ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে। পান্থপথ ও উত্তরাতেও তাদের ক্যাম্পাস রয়েছে। সম্প্রতি নতুন করে যোগ হয়েছে মালিকানা দ্বন্দ্ব।

ইতোমধ্যে এসব বিষয়ে তদন্ত শুরু করছে ইউজিসি। একইভাবে মালিকানা ও অর্থ লোপাটের ঘটনায় সঙ্কটের মুখে পড়েছে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ বৈধ না অবৈধ এই আতঙ্কে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ তদন্তে এরই মধ্যে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জানা গেছে, ১৯৯৫ সালে বিএম মফিজুল ইসলাম পাটোয়ারী সরকারি অনুমোদন ছাড়াই ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি নামে একটি প্রতিষ্ঠান খুলে শিক্ষার্থী ভর্তি শুরু করেন।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অনুমোদনহীন এ বিশ্ববিদ্যালয়ে একসময় তালাও লাগিয়ে দেয়া হয়। পরে আওয়ামী লীগ নেতা মকবুল হোসেনের সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয়টির সরকারি অনুমোদন মেলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি হন মকবুল হোসেন এবং মফিজুল ইসলাম পাটোয়ারী প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। সভাপতির সুপারিশে উপাচার্য হিসেবে ড. এম আব্দুল হক এবং কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়া হয় আহসানুল ইসলামকে। অধ্যাদেশ অনুযায়ী ইউনিভার্সিটি পরিচালনার জন্য গঠন করা হয় ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ফাউন্ডেশন।

পরবর্তীতে ২০০১ সালে চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় এলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকানা বদল হয়। বর্তমানে মকবুল হোসেন ও মফিজুল ইসলাম পাটোয়ারীর ছেলের মধ্যে মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে। এদিকে আট বছর ধরে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ না দেয়ায় দি মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি নামের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এছাড়া দীর্ঘ ৮ বছর ধরে উপাচার্য (ভিসি), উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ ছাড়াই চলছে ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। প্রতিবছর নিয়মিত সমাবর্তনের মাধ্যমে সার্টিফিকেট প্রদানের বিধান থাকলেও সমাবর্তন ছাড়াই শিক্ষার্থীদের সনদ দেয়া হচ্ছে।

শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামলেও কোনো ফল মেলেনি আজো। একইভাবে রাজধানীর উত্তরায় প্রাইম ইউনিভার্সিটির শাখা ক্যাম্পাসকে অবৈধ ও অনুমোদনহীন ঘোষণা করে তা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে ইউজিসি। একই সঙ্গে মিথ্যা প্রচারের মাধ্যমে এই ক্যাম্পাসে ভর্তি করানো সব শিক্ষার্থীকে মিরপুরের ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করার নির্দেশ দেয় কমিশন। শুধু তাই নয়, অবিলম্বে উত্তরায় গড়ে তোলা প্রাইম ইউনিভার্সিটির অবৈধ ও অনুমোদনহীন ক্যাম্পাস বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে কমিশন শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠিও দিয়েছে। চিঠিতে প্রতারণার হাত থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষায় অবৈধ ক্যাম্পাস বন্ধে প্রয়োজনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তাও চাওয়া হয়।

কিন্তু শিক্ষা নিয়ে এসব নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা কেবল চিঠি চালাচালি পর্যন্তই। সচেতন অভিভাবকদের ভাষ্য, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের ব্যর্থতায় প্রতিষ্ঠানগুলো স্বেচ্ছাচারিতার সুযোগ পাচ্ছে। অভিযুক্তদের বক্তব্য : আমেরিকা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর ১৫ বছর ধরে উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করছেন ড. মোস্তফা কামাল। তার সঙ্গে কয়েকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ব্যক্তিগত ফোনটি আরেকজন রিসিভ করে নাম জানাতে অস্বীকার করেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়টির বনানী শাখার পরিচালক আহমেদ ফয়সাল।

তিনি বলেন, রাজধানীজুড়ে আটটি ক্যাম্পাস খুললে বিভিন্ন অনুষদ হিসেবে তারা কার্যক্রম চালাচ্ছে। তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, কোনো শাখা যদি সব বিষয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করে তবে তা অবৈধভাবে করছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির তিনটি বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীতে পাঠদানের অনুমতি আছে। তবে তারা ইউজিসিতে ১৪টি বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর খোলার আবেদন করেছেন। অনুমোদন না পেয়ে কেবল আবেদনেই বিভাগ খুলে ডিগ্রি দেয়া যায় কিনা এ প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, হাইকোর্টে রিট করা হলে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছে।

ঢাকার নবাবগঞ্জে স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণে জমি কেনা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। তবে ইউজিসি জানিয়েছে জমি কেনা বিষয়টি সত্য নয়। জমি কেনার হয়েছে বলে প্রতারণা করা হচ্ছে। ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন স্টুডেন্ট রিলেশন কর্মকর্তা খালেদুজ্জামান খান বলেন, তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি প্যানেল জমা দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরে মন্ত্রণালয় কোনো কিছু না জানানোয় পুনরায় উপাচার্য প্যানেল জমা দেয়া হয়েছে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনানুযায়ী স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে জমি ক্রয় করা হয়েছে। স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য কুমিল্লায় জমি কিনলে রাজধানীতে ভাড়া ফ্ল্যাটে বিশ্ববিদ্যালয় চালানো হচ্ছে কেন জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দেননি। মিরপুরের প্রাইম ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার মো. আরশাদ আলী বলেন, তাদের ক্যাম্পাসটি বৈধ। উত্তরাতে প্রাইম ইউনিভার্সিটির নামে সার্টিফিকেট বিক্রি করা হচ্ছে। অর্থের জোরে ফলাও করে বিজ্ঞাপন প্রচার করছে।

অবৈধ ক্যাম্পাসটি টাকার জোরে একের পর এক বিভিন্ন জনকে আসামি করে ফৌজদারি মামলা করছে। তারা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের এ বিষয়ে সচেতন হতে আহ্বান জানাচ্ছেন। মিলেনিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মাহমুদা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে। উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। আইনানুযায়ী নিজ জমিতে বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, ইংরেজি, বিবিএ ও এমবিএ কোর্স চালু আছে। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য এ প্রসঙ্গে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় তদারকির দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য আতফুল হাই শিবলী যায়যায়দিনকে জানান, অনুমোদন বাতিল করা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হাইকোর্টের স্টে অর্ডার নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে। এ সুযোগে প্রতিষ্ঠানগুলো যত্রতত্র ক্যাম্পাস খুলে বসছে। আদালতে এসব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য অ্যাটর্নি জেনারেলের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার মানোন্নয়নে নিজস্ব ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম চালুসহ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল গঠন করছে।

তিনি বলেন, দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটি পরিস্থিতি নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি তাদের সুপারিশ মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে। এছাড়া অতীশ দিপঙ্কর, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ও ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটি নিজস্ব জায়গায় তাদের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছে। তবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী ওই জায়গা খুবই অপ্রতুল। এ ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ১৯৯২ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হলেও সাত থেকে আটটির বেশি বিশ্ববিদ্যালয় কাঙ্ক্ষিত মান অর্জন করতে পারেনি।

তবে মামলা-মোকদ্দমার কারণে তিন থেকে চারটি বাদে অন্যগুলো ইতোমধ্যে তাদের নিজস্ব ক্যাম্পাস গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। সূত্র: যায়যায়দিন লিঙ্ক: Click This Link ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.