আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিশিকে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে, অতপরঃ পুরানা মদ নতুন বোতলে

নতুন ঠিকানাঃ http://amarlekhoni.blogspot.com/ নিশিকে নিয়ে পালাবার পর জন তার বন্ধুকে বলছে, জানিস, বাড়ি থেকে পালিয়ে যেদিন নিশিকে বিয়ে করলাম, ঠিক সেদিনই জুতোর বাড়ি খেতে হল! - আমার ধারণা, এর পেছনে নিশ্চয়ই নিশির বাবার হাত ছিল! না না, হাত নয়! ওটার মধ্যে নিশির বাবার পা ছিল! জনের উত্তর। জনের বাড়ীতে এক অথিতি এসেছে। এক সপ্তাহ যায় দু সপ্তাহ যায় তবু নড়বার কোন লক্ষণ নেই। জন-নিশি কেউ কিছু বলতে পারে না লজ্জায় । একদিন পাশের ঘরে অথিতিকে শুনিয়ে দুজন খুব ঝগড়া করতে লাগলো, মিছামিছি।

স্ত্রীকে স্বামীর প্রহার এবং স্ত্রীর কান্নায় আওয়াজও শোনা গেল এক পর্যায়ে। গতিক সুবিধের নয় ভেবে অথিতি ভদ্রলোক তার সুটকেস নিয়ে এক ফাকে বেরিয়ে গেল। জানালা দিয়ে জন-নিশি দুজনায় তা দেখে ঝগড়া বন্ধ করে খুব এক চোট হেসে নিল- যে বুদ্ধি করে তারা অথিতি তাড়াতে পেরেছে। জন বললো তোমার লাগে টাগে নিতো? যে জোরে কাঁদছিলে। নিশি বললো দূর একটুও লাগেনি।

এ তো লোক দেখানো কেঁদেছিলাম । হাসিমুখে এক সময় অথিতির আর্বিভাব, হেঁ, হেঁ আমিও কিন্তু লোক দেখানো গিয়েছিলাম । নিশি একদিন জনকে আদুরে গলায় বলল , জানু, ইদানিং চোর চুরি করলে ধরা খায় কেন? -ফিঙ্গার প্রিন্ট এর কারনে -ও বুঝছি! ওরা বেশির ভাগ সময় অশিক্ষিত হয় তাই আঙ্গুলের ছাপ রেখে যায়...শিক্ষিত হলে অবশ্যি সাইন করে যেত। পাশের বাসার এক মহিলার স্বামী মারা গেছে ৫ বছর আগে। জন ওই মহিলাকে জিজ্ঞেস করলো, ম্যাডাম, আপনার স্বামী তো পাঁচ বছর আগে মারা গেছেন ।

তাহলে চার বছরের আর একটি দুই বছরের বাচ্চা এলো কোথা থেকে ? ভদ্রমহিলা রাগের স্বরেঃ তা আমি তো বেঁচে আছি না কি? জন রাস্তা দিয়ে হাটছিল, দেখলো মেয়েরা ক্রিকেট খেলছে। হটাত করে জনের গায়ে পরলো। জন কোমরের নিচটা চেপে ধরে শুয়ে পরলো। যে মেয়েটি বল মেরেছিল সে ছুটে আসলো। দেখা গেলো, জন কোঁকাচ্ছে সমানে, কোমরের নিচটায় হাত চেপে রেখেছে সে।

মেয়েটি বললো, ভয় পাবেন না, আমি জানি কী করতে হবে। খুব ব্যথা করছে? জন কোনমতে বললো, হ্যাঁ। মেয়েটি তখন এগিয়ে গিয়ে, জনের প্যান্ট খুলে, মিনিট দশেক ম্যাসেজ করে দিলো। তারপর বললো, এখন কেমন বোধ করছেন? জন বললো, দারুণ, কিন্তু বুড়ো আঙুলটায় এসে বল লেগেছে তো, সাংঘাতিক ব্যথা করছে। একদিন নিশি আর জনের প্রচন্ড ঝগড়া হয়েছে।

নিশি মাথা গরম করে জনকে বললো, গাধা আর তোমার মধ্যে ব্যবধান কতটুকু? জন নিশি থেকে নিজের দুরত্ব টা মেপে তারপর জবাব দিল,বেশি না ,মাত্র সাড়ে চার হাত ব্যবধান | বিবাহিত জীবন নিয়ে জন অসুখী। তাই জন পাহাড়ের সর্বোচ্চ চুড়ায় উঠে ইশ্বরকে ডাকাডাকি শুরু করলো। ইশ্বর ও ইশ্বর!!! শুনছো! কি হয়েছে আমার প্রিয় জন? তোমার কাছে ১ কোটি বছর মানে কতক্ষন? আমার কাছে ১ কোটি বছর হলো ১ মিনিট। ও, আচ্ছা তোমার কাছে ১০০০ কোটি টাকা মানে কত পয়সা? ১০০০ কোটি টাকা আমার কাছে তো ১ পয়সারও কম। তাইলে তুমি আমাকে ১টা পয়সা দাওনা।

প্লিইইজ। মাত্র ১ পয়সা!! ঠিক আছে বাছা। জাস্ট ১ মিনিট ওয়েট করো। -এই বলে ইশ্বর অদৃশ্য হলেন। বাজার করে আসার পথে জনের গাড়ি খারাপ হয়ে গেলো।

সে গাড়ি থেকে নেমে এল। তার ফার্মটা কাছেই। হেটে যেতে মিনিট দশেক লাগবে। সে আপাতত গাড়িটা ফেলে রেখে চলেই যেতে পারত। পরে মেকানিক নিয়ে এসে ঠিক করা যেত গাড়িটা।

কিন্তু সমস্যা হল সাথে কিছু বাজার আছে। একটা বড় হাস, দুইটা মুরগি, একটা বালতি আর চার লিটার রঙের ডিব্বা। এতগুলা জিনিস কিভাবে নেয়া যায় সে বুঝে উঠতে পারছে না। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে সে এটা নিয়ে ভাবছে, এমন সময় খুব সুন্দর এবং বছর চব্বিশের এক মেয়ে তাকে জিজ্ঞেস করল, -আচ্ছা, ৭৭ নম্বর ফার্মটা কোনদিকে? -৭৭? আমার বাসার পাশেই। হেটে যেতে বড়জোর দশমিনিট লাগবে।

আমিই আপনাকে সাথে নিয়ে যেতাম কিন্তু একটা হাস, দুইটা মুরগি,বালতি আর রঙের কৌটা নিয়ে হাটতে পারছি না। -এককাজ করেন। রঙের কৌটাটা নেন বালতির ভিতর। মুরগি দুইটা নেন দুই বগলে আর হাসটা নেন আরেক হাতে। বব তাই করল।

চমৎকার কাজ করছে। পথে কথাবার্তায় মেয়ের নাম জানা হল লিসা। সে যাচ্ছে কাজিন ববের বাসায়। পথের এক জায়গায় জন বলল, এই ওয়ালটার পাশ দিয়ে একটা শর্টকাট -আছে। এখান দিয়ে গেলে তাড়াতাড়ি হবে।

লিসা বলল, কিন্তু খুব নির্জন মনে হচ্ছে পথ। -তাতে কি? -আপনি একজন যুবক। আমি একজন তরুনী। ধরেন, আপনি যদি নির্জনে আমার সাথে u know what শুরু করতে চান? -হা হা হা! আমার একহাতে বালতি, যেটার ভিতর রঙের কৌটা, আরেক হাতে হাস। দুই বগলে দুইটা মুরগি।

আমি কিভাবে আপনার সাথে জোর করে কিছু করতে পারি? -ধরেন, আপনি বালতি থেকে রঙের কৌটাটা বের করে সেটা উল্টিয়ে হাসটা রাখলেন। হাসটা যেন না পালাতে পারে সেজন্য রঙের কৌটাটা বালতির ওপর রাখলেন। তাহলেই হল। -ভুল করছেন। দুইটা মুরগি আছে যে, সেগুলার কি করব শুনি? একটু হেসে লিসা বলল, মুরগি দুইটা না হয় আমিই ধরে রাখলাম।

এক নিভৃত কক্ষে জন নিশি। নিশি তনুশ্রী স্টাইলে জামাকাপড় সব খুলে, বিহ্বল কন্ঠে, : আমার যা কিছু আছে সব তোমার। জন দারুন অবাক হয়ে, : তোমার কি মাথা খারাপ? এই সালোয়ার-কামিজ দিয়ে আমি কি করব? আমি পুরুষমানুষ না? আগের পর্বঃ জনের বায়োগ্রাফী পার্ট ৩ ১২+ আরেকটি বোনাসঃ পিসি তে গুগল প্লে স্টোরের এপ্স ডাউনলোড(এন্ড্রয়েড এপ্স) টেকি পোস্ট হইতারে ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।