আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মিরা ( দশম পর্ব )

https://www.facebook.com/tanvir.mh অনেকদিন পর বাড়ি এসেছে অভিক। তাই বাইরে বের হল মানুষের সাথে দেখা সাক্ষাত করবে তাছাড়া মোবাইলেটাও দেখাতে হবে কেন চার্জ নিচ্ছেনা। অভিকের ফোনের কি একটা নষ্ট হয়ে গেছে,মোবাইলের দোকানদার তাই বললো। অভিক তার এক ফ্রেন্ডের মোবাইলে তার সিমটা ডুকালো মিরার সাথে কথা বলবে। কিন্তু খেয়ালি মনের অভিক নাম্বার সেভ করতো ফোন মেমোরিতে তা আর খেয়াল ছিলনা।

তাই কি আর করা ঢাকায় গিয়ে যোগাযোগ করা ছাড়া আর কোন উপায়ই বাকি রইলনা। গ্রামের অনেকের সাথে দেখা হচ্ছে। গ্রামেও সবার কানে মোবাইল। এত কথা বলে লোকগুলি আজকাল মোবাইলে,আর এত জোরে জোরে ফোনে চিল্লাতে থাকে মনে হয়না তাদের ফোন দরকার আছে এমনিতেই শোনা যাবে ২০ কিলোমিটারের ভিতর কেউ থাকলে। কৌতূহলী মাঝবয়সী অনেক লোক অভিক কে জিজ্ঞেস করা শুরু করলো তার জজ ব্যরিস্টার হওয়া আর কতদিন বাকি।

অভিকঃ- বেশিদিন না কাকা আর কয়েকদিন। কেউ বলে যাচ্ছে ডিগ্রি পাস করে ফেলছ বাবু? আমার ছেরাডাও পড়ে গুরুদয়াল কলেজে। শুনলাম তুমি আম্রিকার কোন কলেজে ভর্তি হইছো!! অভিকঃ- চাচা এইটা বাংলাদেশেই। একবার ঢাকা আসলে আপনাকে দেখাবো। এই সহজ সরল লোকগুলি আচরন হাস্যকর হলেও অন্য রকমের একটা পবিত্রতা আছে তাদের কথাতে যেটা অভিকের ভালো লাগে।

প্রথম ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছে ক্লাস মিস করা ঠিক হবেনা আর মায়ের অসুখ টাও এত সিরিয়াস না এখন তাই ২ দিন পর ঢাকা যাওয়া যায় ভাবতেছিলো। একদম সকালে রওনা হল। ১১ টার ক্লাস বাসা থেকে বের হয়েই ধরতে পারবে। ক্লাসের দরজার সামনে অভিক। সাথে বই খাতা কিছুই নেই।

ক্লাস ডুকে দেখে এখনও স্যার আসেনি। মিরাকে দেখা গেলো লাল জামা পড়ে একটু মন খারাপ করে বসে আছে। লালতো বিপদের প্রতীক!!!অভিক ভয়ে ভয়ে তার পাশে গেলো। মিরা অভিককে দেখে স্বাভাবিক আচরনই করলো। মিরাঃ- কি ব্যাপার অভিক কোন খবর নেই।

অভিক ভাবলো আমি কেন ভাবছিলাম মিরা আমার জন্য ছটফট করবে। ২দিনের বন্ধুত্ব। তার স্বাভাবিক আচরন করাইতো স্বাভাবিক। অভিক সব বললো মিরাকে এক নিঃশ্বাসে। এটা তার অভ্যাস।

যে কোন সমস্যা এক নিশ্বাসে বলে ফেলবে পাশের জনকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই। মিরা আর বলেনি তাকে কতবার যে ফোন দিয়েছে। নিজের দুর্বলতা প্রকাশ করতে চায়না কখনই মিরা। ২জনেরই নীরবতা। অভিকঃ- পড়াশুনা কি অনেক হয়ে গেছে এই ২ দিনে? মিরাঃ- হুম মিরা কথা কম বলছে।

অভিক কিভাবে কি করবে কিছুই বুঝতেছেনা। মিরার এই চেহারা দেখে সে অভ্যস্থও না। মিরাঃ- তোমার মা এখন কেমন আছে। অভিকঃ- ভালো আছে। আচ্ছা মিরা কেমন আছে? মিরাঃ-অনেক ভালো।

অভিক স্বাভাবিক ভাবে কথা বলার চেষ্টা করে যাচ্ছে। অভিকঃ-মিরা তোমার দাদা বাড়ি কোথায়। মিরাঃ- সিলেট। অভিকঃ- সুন্দর সুন্দর । ছোটবেলায় আমার ধারনা ছিল সিলেট আর লন্ডন এর বর্ডার পাশাপাশি ।

হটাত মিরা একটু রাগ হয়ে গেলো। মিরাঃ- তুমি ঐদিন রাতে আমাকে বাসায় দিয়ে যখন ভুতের গলি গেলে আমাকে একবার হলেও জানাতে পারতে। রাতের বেলা ঢাকাতে কতকিছুই হয়। অভিক কি বলবে বুঝতে পারতেছেনা কারণ মিরাকে সব কিছু বলেছে তারপরও রাগ করে যাচ্ছে মেয়েটা। আসলেই আবেগের কাছে যুক্তিতর্ক অর্থহীন।

অভিকঃ- হুম কাজটা ঠিক হয়নি। আমারও খারাপ লেগেছে। মিরাঃ- শুনো পরশুদিন প্রেজেন্টেশান আমাদের। তুমি না থাকায় গ্রুপ করা টপিক নেয়া কিছুই হয়নি। এখন স্যার কে গিয়ে বলো।

অভিক স্যারের চেম্বারে গিয়ে তার কাছে খুব জোরাজোরি করে স্যার কে রাজি করালো। ঠিক হল শুধু অভিক আর মিরাই এক গ্রুপ কারণ সবারই গ্রুপ হয়ে গেছে কেউ বাকি নেই আর মিরা যে অভিকের জন্য অপেক্ষায় ছিল তাও বুঝা গেলো। অভিকঃ- স্যার রাজি হয়েছে। স্যারের মুড খুব ভালো তবে স্যার একটা শর্ত দিয়েছে। মিরাঃকি শর্ত? অভিকঃ- মিরা যাতে অভিকের সাথে কখনও রাগ না করে থাকে।

মিরাঃ- আস্তে আস্তে চলবে তানভীর মাহমুদুল হাসান আগের পর্বগুলি ১> Click This Link ২> Click This Link ৩> Click This Link ৪> Click This Link ৫> Click This Link ৬> Click This Link ৭> Click This Link ৮> Click This Link ৯> Click This Link  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।