আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বেপরোয়া ইংলিশ মিডিয়ামে নীতিহীন ব্যবসা...

মডারেসন প্যানেল আমাকে ব্যান করায় আমি পোস্ট দিতে পারছিনা। জানিনা এরা কবে আমাকে লিখতে দিবে। বেপরোয়া ইংলিশ মিডিয়ামে নীতিহীন ব্যবসা... সানিডেল স্কুলে প্লেতে ভর্তি হতে ফি দিতে হয় ৭২ হাজার, মাসিক বেতন ৬ হাজার। অষ্টম শ্রেণীতে ভর্তি দেড় লাখ টাকা। মাসিক বেতন আট হাজার।

ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে (আইএসডি) বেতন-ভাতা প্রদান করতে হয় মার্কিন ডলারে। প্লে গ্রুপের একজন শিক্ষার্থীর ছয় মাসের টিউশন ফি দিতে হয় বাংলাদেশি টাকায় এক লাখ ৭৫ হাজার ৬৪০ টাকা। এই টিউশন ফি নার্সারিতে প্রায় তিন লাখ, প্রি-কেজিতে সোয়া পাঁচ লাখ, কেজি থেকে গ্রেড টু পর্যন্ত সোয়া সাত লাখ টাকা। ছয় মাস পর পর এই ফি দিতে হয়। তা ছাড়াও মাসিক বেতন এবং টিউশন ফির বাইরে বিভিন্ন শ্রেণীতে ভর্তি ফি, বার্ষিক ফি, প্রযুক্তি ফিসহ নানা ধরনের ফি আদায় করা হয়।

ঢাকার উত্তরায় ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত ডিপিএস এসটিএস স্কুল শুরুতেই গ্রেড ওয়ানে ভর্তি ফি আদায় করত ৭৫ হাজার টাকা। ২০১২ সালে সে ফি বাড়িয়ে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। স্কলাস্টিকা স্কুলে প্লে গ্রুপে ভর্তি ফি নেওয়া হয় ৮০ হাজার টাকা। পরের শ্রেণীতে ওঠার বার্ষিক সেশন ফি নেওয়া হয় ২২ হাজার টাকা। এ ছাড়াও টার্কিশ হোপ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্লে গ্রুপে ভর্তি ফি ৭০ হাজার টাকা।

অভিভাবকরা জানায়, অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার আগেই অভিভাবকদের ব্যাংক ডিপোজিটসহ তারা অভিজাত কি না তা দেখা হয়। শুধু প্লে গ্রুপেই ভর্তি ফি স্কুল ভেদে পাঁচ হাজার থেকে শুরু করে প্রায় দুই লাখ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়। তৃণা ও রাজু ধানমন্ডির সানিডেল স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। প্রতিষ্ঠানের নিয়ম ভঙ্গের কারণ দেখিয়ে বছরের মাঝামাঝি তাদেরকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়। অভিভাবকরা স্কুলের ডিসিপ্লিনারি কমিটিতে আবেদন করলেও আলোচনায় বসেননি কর্তৃপক্ষের কেউ।

অভিভাবকদের অভিযোগ প্রতিবছর এই স্কুল থেকে অন্তত ছয় থেকে আট শিক্ষার্থীকে তারা বিনা কারণে বহিষ্কার করেন। বহিষ্কারের উদ্দেশ্য ও কারণ হিসেবে অভিভাবকরা জানান, এই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীকে নতুন ভর্তি হতে হলে দেড় লাখ টাকা ফি দিতে হয়। পুনঃভর্তি হলে দিতে হয় ১৪ হাজার টাকা। প্রতি মাসে বেতন ছয় হাজার টাকা। এসব কারণে বছরের মাঝামাঝি শিক্ষার্থী বহিষ্কারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি বাড়তি উপার্জনে মেতে উঠেছে।

অভিভাবক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ইংরেজি মাধ্যম স্কুল নিয়ে সরকারের কোনো মাথা ব্যথা নেই। অভিযোগ দেওয়ারও কোনো স্থান নেই। শিক্ষাবিদ প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরি বলেন, এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার মাধ্যমে সুসন্তান তৈরি হচ্ছে না। অত্যাধুনিক শিক্ষার নামে আমাদের সংস্কৃতি থেকে শিকড়বিহীন ও সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে আমাদেরই সন্তানরা। ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শিক্ষকদের অভিযোগ, যে হারে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন আদায় করা হয় সে হারে শিক্ষকদের বেতন দেওয়া হয় না।

স্কুল ভেদে অধিকাংশ শিক্ষকের বেতন পাঁচ হাজার টাকা। (Source- daily bd-pratidin) আমাদের নিজেদের নাই কোন ভাল শিক্ষাব্যবস্থা, আর লোকজন একটু ভাল শিক্ষা গ্রহন করব সেইটাও পচাইয়া ফালাইছে। সংগ্রহেঃ Bumerang (বুমেরাং) ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.