আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার বন্ধু যারা...তাদের কথা

হাউকাউ পার্টি বন্ধুরাও এক সময়ে বিরক্ত হয় এবং একঘেয়ে কথা গুলো জ্বরাগ্রস্ত হয়ে এক সময়ে মৃত্যুবরণ করে কিংবা আমাকে বিরক্ত করো না' বলে দূর চলে যায় ! অকৃত্রিম সখা বইদের সঙ্গও হঠাৎ করেই ভাল লাগে না, বুঝতে পারি না তাদের কখনো কখনো! কিন্তু কিছু বন্ধু তারপরও থেকে যায় যারা কখনোই ক্লান্ত হয় না, যখনই ডাকবে তখনই হাসি মুখে তোমার মন ভাল করে দেবার জন্য এক ছুটে হাজির হয়ে যাবে! আমার বন্ধু ভাগ্য মোটামুটি হতভাগাদের মতো। তবে এ ব্যাপারে একটাই সৌভগ্য সেটা হলো পৃথিবীর প্রাচীনতম বন্ধুরা আমারও বন্ধু হয়েছে। যখনই মন খারাপ আর ঘ্যানঘ্যানে বিরক্তিকর মুহূর্ত গুলো গ্রাস করতে চেয়েছে, আমি এদের কাছেই আশ্রয় চেয়েছি আর এরাও তখন গভীর মমতায় কাছে টেনে নিয়েছে সব সময়ে.... গাছেদের সাথে ঠিক কবে থেকে এই বন্ধুতার শুরু আমার মনে নেই। এটুকু মনে আছে রাস্তায় যখনই বেরুতাম আমার চোখ খুঁজতো কোন গাছটা নতুন, কোন ফুলটা আগে দেখিনি! গাড়ির জানালায় চোখ ঠেকিয়ে কিংবা রিক্সায় জুবুথুবু হয়ে বসে আশেপাশে খোলা চরাচরে কিংবা ইটকাঠের ফাঁক-ফোকরে এই নতুনদের খোঁজার শখ আমার এখনও যায়নি! এমন দেখতে দেখতেই একদিন অফিস যাবার পথে জিয়া উদ্যানের রাস্তায় লাল কৃষ্ণচুড়ার ভিরে দেখা হয়ে গেলো এক নীল রঙা ফুলের! আমি চমকে গিয়েছিলাম সেদিন, নীল কৃষ্ণচুড়া নাকি! এরপর এক ছুটির দিনে শুধু ওকে দেখার জন্য আবার হাজির হলাম, গিয়ে দেখি গাছটা নেই! ঝড়ে উপরে গিয়েছিল সম্ভবত, কেটে ফেলেছে, শুধু গোড়াটা আছে! এত খারাপ লেগেছিল সেদিন, আর বোধহয় দেখা হলো না! প্রকৃতি আমার হতাশা দেখলো, মনে মনে হয়তো বললো একটু অপেক্ষা করো বাছা, যারা দূর্লভ তাদের এত সহজে দেখা পেলে চলবে কিভাবে! আমি অপেক্ষা করলাম আরও তিন বছর, এরপর একদিন হঠাৎ করেই দেখা হয়ে গেলো আবার নীল কৃষ্ণচুড়ার সাথে........... এই গাছটা ঢাকার মোহাম্মদপুর শেখেরটেক ৬ নম্বর বা ৫ নম্বরে রাস্তার মুখে। পাতা আর গাছের আকৃতি পুরোপুরি কৃষ্ণচুড়ার মতো হলেও, ফুলটা একটু অন্যরকম।

হয়তো এর আলাদা কোন নাম আছে, তবে আমার একে নীল কৃষ্ণচুড়া ভাবতেই ভাল লাগে! অগ্নিশিখা! এর আসল নাম হলো উলটচন্ডাল বা বিশাঙ্গুলী! ইংরেজিতে গ্লোরী লিলি! জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্যারদের যে ডুপ্লেক্স কোয়ার্টার গুলো আছে, ওদের একটায় প্রথম দেখেছিলাম, লতানো গাছটা লাল হলুদ ফুলে একদম আক্ষরিক ভাবেই আগুন সুন্দর হয়ে ছিল! আমাদের রবিবাবু একদিন পথের ধারে (কোন একটা বনাঞ্চলে নাম মনে নেই এখন), এই আগুনে ফুলের উচ্ছাস দেখে এর নাম দিয়েছিলেন, অগ্নিশিখা! নীলমনি লতা! নামের কারণেই এই ফুলটার প্রতি আগ্রহ ছিল অনেকদিনের! চোখের সামনে আমি দেখেছি এই ফুলটা, অথচ নাম জানতাম না! সেদিন আমার সায়ম মুন ফ্রেন্ডো চিনিয়ে দেয়াতে চমকে গেলাম, আরে এই ফুল তো আমি দেখেছি, ইভেন জাবির জিওগ্রাফীর এক স্যারের বাড়ি থেকে একদিন চুরিও করেছিলাম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেসবাহ কামাল স্যারের বাসার দেয়াল ঘেসে ছিল অগ্নিশিখা আর নীলমনি লতার গাছ! আমরা প্রতিদিন স্যারের বাসার সামনে দিয়ে ক্লাসে যাবার সময়ে ট্যারা চোখে তাকিয় তাকিয়ে ফুলেদের হৈ চৈ দেখতাম, স্যারের বাগানটা খুব সুন্দর ছিল! সে সময়ে একদিন দেখলাম স্যারের বাসার দেয়াল ঘেসে যেন নীল রং এর তারার মেলা বসছে! নীলমনি ফুটেছে! দেখে তো মাথা নষ্ট, এই ফুলকে ছুয়ে দেখতেই হবে, চোখের খুব কাছে এনে সৌন্দর্য্যটা বুঝতেই হবে! সুতরাং টিপটিপে বৃষ্টির এক ঘোর কালো সন্ধ্যের যখন কোন গার্ড নেই সেই সুযোগে দেয়ালের পাশে পরপর পাঁচটা ইট রেখে তার উপরে খুব কসরত করে দাড়িয়ে ছিনিয়ে নিয়ে আসলাম এই অপরূপাকে (একে মনে হয় চুরি বলে না, নাকি?)!! নীলমনি ফুলের আসল নাম Queen's Wreath Petrea! নীল মনি নামটা সেই আবারও রবিবাবুর দেয়া। ত্রিপুরার মহারাজা বীরচন্দ্রমানিক্যের সাথে রবিবাবুর বিশেষ সখ্য ছিল। একবার মহারাজার নিমন্ত্রনে রবি ঠাকুন ত্রিপুরা গেলেন, তাকে থাকতে দেয়া হয়েছিল 'মালঞ্চ' নামের একটা বাড়িতে। সেখানে এক ভোরে উঠে তিনি দেখলেন, লতানো এক গাছে সবুজ পাতায় যেন নীল জোছনা নেমে এসছে! তিনি গাছটির নাম জানতে চাইলেন, স্থানীয় নামটা তাঁর পছন্দ হলো না! তিনি তখন এর নাম দিলেন 'নীলমনি লতা'। বাগানবিলাস বাগানের বিলাস! কেন এটার নাম বাগানের বিলাস হলো কে যানে! এক সময় কি এটা খুব দু:স্প্রপ্য ফুল ছিল? হবে হয়তো! দক্ষিন আমেরিকা নিবাসী এই ফুলের বাংলায় পদার্পন কার হাত ধরে কবে হয়েছিল, সেটা আজ আর জানা না গেলেও এর নামটা যে রবিবাবুর দেয়া এটা মোটামুটি আমরা সাবই জানি! আসল নাম বোগেনভ্যালিয়া! একবার রাতে কক্সবাজার থেকে ঢাকায় আসছিলাম! মার্সিডিস বেঞ্চ গাড়িটা মাঝের যাত্র বিরতিতে অদ্ভুত একটা রেসুরেন্টের সামনে থামলো, এমন জায়গায় আগে কখনো কোন বাসে করে আসিনি! বাঁশে আর বেতের বেড়ায় ঘেরা সুন্দর ছিমছাম খাবার জায়গা! ঢোকার মুখে গেট আর বারান্দা জুড়ে লাল সাদা বোগেনভ্যালিয়ার ঝাড়! আমি ওটার নীচে দাড়িয়ে ছিলাম, হঠাৎ পাখির ডানা ঝাপটানিতে চমকে গিয়ে দেখি গাছ ভর্তি শত শত চড়ুই পাখি! পালক ফুলিয়ে ঘাড় গুছে ঘুমাচ্ছে! আমার মাথার এক হাত উপরেই এত এত পাখি, হাত বাড়ালেই ইচ্ছে করলে ধরা যায়! আমি খুব এক্সাইটেড হয়েছিলাম সেদিন! মাধুরী লতা মাধুরী লতা এবং মাধবী লতা! এই দুটি ফুলকে নিয়ে লাগে যত গন্ডগোল! বেশির ভাগ সময়েই আমরা মাধুরী লতাকে ভুলে মাধবী লতা ভাবি, এমন কি যদি নেটে মাধবী লতা লিখে ছবির জন্য সার্চ করেন, যে সব ছবি আসবে তার সবই হলো মাধুরী লতা, যার অন্য নাম মধুমঞ্জুরী/মধুমালতী! বাংলাদেশে মাধুরী লতাই অবশ্য বেশি দেখা যায়, এমন কি ঢাকার মতো গাছপালা বিহীন শহরেও অনেক বাড়ির সামনেই মাধুরী লতার ঝার এখনও দেখা যায়! গাঢ কালচে গোলাপী আর সাদা রং মেশানো থোকা থোকা লম্বা পুস্পদন্ডের ফুল গুলো ফোটে সন্ধ্যের মুখে মুখে! আর খুব হালকা একটা মন কেমন করা সুগন্ধ! এক সময়ে আমি খুব শখ করে মাধুরী লতার গাছ লাগিয়ে ছিলাম, গাছ বড় হলো ! এক বর্ষায় গাছ ঝেপে ফুলও এলো! একদিন হাটছিলাম গাছটার পাশ দিয়ে হঠাৎ দেখি ঘাড়ের কাছে কি যেন সুরসুরি দিচ্ছে! হাত দিয়ে ধরে আনার পরে যেটা দেখলাম, আমার নিজের চোখকেই বিশ্বাস হচ্ছিল না, এমন একটা কদাকার প্রাণী আমি ধরে বসে আছি! সেটা ছিল প্রায় আধ বিঘাত লম্বা কালো রং এর লোম ওয়ালা একটা শুয়ো পোকা এবং আমার সাধের মাধুরী লতার গাছে আত্মীয় স্বজন নিয়ে বাসা বেধেছনে! সুতরাং পরের দিন ঘ্যাচাং ঘ্যাচ!!! মাধবী লতা এই তো গেলো নকল মাধবী লতার কথা, এবার তাহলে আসল মাধবীকে চিনে নেই কেমন? আসল মাধবী লতা (Hiptage benghalensis) বেশ দু:স্প্রাপ্য গাছ, এটাও লতানো আর ফুলের গোড়ার দিকের রং খুব হালকা হলুদ, পাপড়ি সাদা আর মাঝে বড় বড় বাকানো হলদে সবুজ কেশর! পাতায় সহ লতা দেখতে খুবই সুন্দর বলে প্রাচীনকালে এটি দিয়ে বিয়ে বা পুজোর মণ্ডপ, কুঞ্জ ইত্যাদি তৈরির প্রচলন ছিল! মাধবী লতার অন্য নাম গুলোও চমকপ্রদ....সন্তী, পুণ্ড্রক, মণ্ডক, অতিমুক্ত, বিমুক্ত, কামুক ও ভ্রমরোৎসব!! ঢাকায় সম্ভবত দুটো মাধবী লতার গাছ আছে, যার একটা বোটানিক্যাল গার্ডেনে! যদি কোন এক বসন্তে যান সেখানে, হয়তো বা এই বাসন্তী সুন্দরীর দেখা মিলবে! পুন্নাগ পুস্প এর অন্য নাম রাজচম্পক! এছাড়া একে সুলতান চাঁপা, নাগ চাঁপা, কন্নাল, গুলাব, পানিয়াল নামেও ডাকা হয়।

এটা বেশ বড় সাইজের গাছ, ২৬ থেকে ৬৬ ফুট পর্যন্ত দীর্ঘ হতে পারে। রামায়নে পুন্নাগের একটা খুব সুন্দর বর্ণানা আছে। রাবন সীতাকে কিডন্যাপ করে নিয়ে যাবার পরের রাম, ভাই লক্ষণকে সঙ্গে নিয়ে মনের দু:খের বনের মধ্য দিয়ে হাটছিলেন, এমন সময় তার নাকে এলো অপার্থিব সুগন্ধ, হঠাৎ তিনি দেখেলেন সুগন্ধের উৎস আর কিছুই না, বন ভর্তি পুন্নাগ পুস্পের মেলা! তবে এটাই শেষ কথা নয়..... সৌরভ্যং ভুবন এয়েহপি বিদিতং পুস্পেষয় লোকেত্তরং কীর্তি: কিঞ্চ দিগঙ্গনাঙ্গগতা কিন্ত্বেতদেকংশন সর্নান্যেব গুণানি যন্নিগির‌তি পুন্নাগে তে সুন্দরান উজঝণ্ডি খলু কোটরেষু গরল জ্বালানদ্বিজিহ্বালী! অর্থাৎ, হে পুন্নাগ, তোমার সুগন্ধ ত্রিভুব খ্যাত। তোমার যশ ও খ্যাতি দিগাঙ্গনারা নিজ অঙ্গনে ছড়াইয়া রাখে। তবু তোমার একটি অখ্যাতি, তোমার শরীরের কোটরে বাস করে বিষধর সর্প! হুমায়ূন আহমেদের "আমিই মিসির আলি" বই'তে অশ্বিনী কুমার নামের এক সিরিয়াল কিলারের কথা ছিল, যে লোক তার নিজের তিন মেয়েকে দেবীর সামনে বলি দিয়েছিল, সোজা কথায় খুন আর কি।

সেই অশ্বিনী বাবুর ডায়েরী আকারে বইয়ের কিছু অংশ আছে, সেখানেই পুন্নাগ পুস্পের কথা প্রথম পড়েছিলাম। এই পুস্পের ফল কাথ্থ করে গায়ে মাখলে গায়ের রং ফর্সা হয় এই ধরনের কিছু। এরপর থেকেই খুব উৎসুক ছিলাম পুন্নাগ পুস্পটা আসলে কেমন, ব্লগার এমজেডআই ভাই জানালেন! পারিজাত পারিজাত, স্বর্গের ফুল। মহাভারত, বিষ্ণু পুরান এবং ভগবত পুরানে একাধিকবার পারিজাতের উল্লেখ পাওয়া যায়। হিন্দু পুরান অনুযায়ী সমুদ্র মন্থনের সময়ে এই স্বর্গীয় ফুলটি উঠে এসেছিল! আবার অন্য একটি মিথ অনুযায়ী দেবতা কৃষ্ণ এই ফুল স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে নিয়ে এসেছিল।

দেবরাজ ইন্দ্রের বাগানে ছিল পারিজাত ফুলের গাছ। একবার কৃষ্ণের দু'জন স্ত্রী রুক্মিনী ও সত্যভামার মধ্যে এটা নিয়ে কিছু ক্যাচাল হলো! সত্যভামা কৃষ্ণকে বললেন, ইন্দ্রের বাগানের পারিজাত ফুল তাঁর চাই! তখন কৃষ্ণ স্ত্রী আদেশ শিরোধার্য মনে করে ইন্দ্রের বাগান থেকে পারিজাতের একটা ডাল চুরি করে নিয়ে আসলেন। এতে রাগ করে ইন্দ্র অভিশাপ দেন যে, এই গাছে ফুল ফুটলেও ফুলের কোন বীজ হবে না! আবার অন্য এক মিথ অনুযায়ী, পারিজাত নামের এক রাজ নন্দিনী একবার সূর্যের প্রেমে পরে গেলেন, কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও সূর্যের মন জয় করতে পারলেন না! তখন রাগে দু:খে সে আত্মহত্য করে এবং তার দেহাভস্ম থেকেই জন্ম হয় পারিজাতের। সূর্যের প্রতি তীব্র অভিমানের কারণে সেই শ্বেত শুভ্র পারিজাত ফুল তাই রাতে ফোটে এবং সকালের সূ্র্য কিরণ তার গা স্পর্শ করার মাত্রই ঝরে পরে ঘাসে! এই পারিজাত ফুলই হলো আমাদের চিরচেনা শেফালী বা শিউলী ফুল! এখানেও অবশ্য সকল নাটের গুরু রবিবাবু কিছু ঝামেলার সৃষ্টি করলেন, তিনি এক গানে লিখলেন "পারিজাতের কেশর খানি......ব্লা ব্লা ব্লা"! কিন্তু শিউলী ফুলের তো কোন কেশর হয় না! তাই অনেকেই ভাবলেন এটা হয়তো মাদার ফুলের কথা বলেছেন কবি গুরু এবং পারিজাত হলো মাদার ফুল! তবে যদি আমরা প্রাচীন শাস্ত্র দেখি তবে পারিজাত যে শিউলি সে বিষয়ে কোন সন্দেহের অবকাশ থাকে না। কারণ অমরাবতী নামে ইন্দ্রের যে উদ্যানের বর্ণনা আছে, সেখানে পারিজাত বৃক্ষ, মন্দার, সন্তানক, কল্পবৃক্ষ আর হরিচন্দন এই চারটি গাছের নাম আলাদা করেই উল্লেখ করা হয়েছে।

................................................................................................................ আরও কয়েকজনের কথা বলতে ইচ্ছে করছিল, কিন্তু লেখা বড়ই হয়ে যাচ্ছে আর বড়ই হয়ে যাচ্ছে! কি হবে এত কথা বলে..... 'বোঝায় যত কথার বোঝা ততই বেড়ে চলে' জগত জুড়ে সকল বন্ধুরা ভাল থাকুক, নিরাপদে থাকুক..... ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.