ইফতার আয়োজন মানেই ছোলা, মুড়ি, পেঁয়াজুসহ বাহারি খাবারের সমাহার। তার সাথে প্রতিদিন নতুন নতুন খাবার। রমজানে অভিজাত রেস্টুরেন্ট থেকে শুরু করে ফুটপাত সবখানেই ইফতারীর পসরা সাজিয়ে বসেন দোকানিরা। এবার ইফতার বাজারে যুক্ত হচ্ছে ভ্রাম্যমাণ ইফতার শপ। চট্টগ্রামে ফুড স্টোর নামের একটি প্রতিষ্ঠান প্রথমবারের মতো ভ্রাম্যমাণ ইফতার ফুডস্ শপ চালু করেছে ।
কম দামে উন্নতমানের সুস্বাদু ইফতার পেতে অনেকেই এখন ছুটছেন আধুনিকধরনের ভ্রাম্যমাণ ইফতার ফুডস্ শপের দিকে।
ভ্রাম্যমাণ ইফতার সামগ্রী বিক্রেতা মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের সাথে আলাপে জানা যায়, অল্পবয়সে মধ্যপ্রাচ্যে গিয়ে দীর্ঘদিন দুবাই ও সৌদিআরবের বিভিন্ন হোটেলে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন তিনি। মধ্যপ্রাচ্যে বিভিন্ন বিপণিবিতান ও অফিসের সামনে বিশেষভাবে তৈরী গাড়িতে করে খাবার বিক্রি করতে দেখেছেন। কয়েকবছর আগে দেশে ফিরে এসে মামাতো ভাই সেন্টুকে সাথে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ রেস্টুরেন্ট গড়ে তোলেন।
চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখে কাচঘেরা একটি পিকআপে করে পান্তা ইলিশ ও চটপটি বিক্রির মধ্য দিয়ে ভ্রাম্যমাণ রেস্তোরাঁ শুরু করেন।
পরবর্তীতে আরো একটি গাড়ি সংযোজন করে ফুড স্টোর নাম দিয়ে নগরীর দুইটি স্থানে স্থায়ীভাবে খাবার বিক্রি শুরু করেন। এলাকা দুটি হলো সানমার ওশান সিটি এবং চট্টগ্রাম আদালত। এতে তাদের ব্যয় হয়েছে অন্তত ১৪ লক্ষ টাকা।
মহিউদ্দিন জানান, রমজানকে সামনে রেখে প্রতিদিন অন্তত ১৩ রকমের ইফতার সামগ্রী বিক্রি করছেন। এর মধ্যে রয়েছে ছোলা, পেঁয়াজু, বেগুনি, রোল, সামুসা, সিঙ্গারা, জিলাপি, সবজি বরা, সামি কাবাব, জালি কাবাব, শিক কাবাব ইত্যাদি।
সবগুলো আইটেমই নিজেদের কারখানায় তৈরি। বিভিন্ন রকমের কাবাব ও চপ ইতোমধ্যেই জনপ্রিয় হতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, যেসব এলাকায় গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির সংকট প্রবল সেইসব এলাকাকেই ব্যবসার স্থান হিসেবে বেছে নিই। আমরা চেষ্টা করছি আমাদের সেবা সবার কাছে পৌঁছে দিতে। ব্যাপকভাবে জনগণের সারা মিললে ভবিষ্যতে এই শপের আরো শাখা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
ফুড স্টোর যে শুধু খাবার বিক্রিই করে তা নয়, যেকোন অনুষ্ঠানের জন্য খাবারের অর্ডারও নিয়ে থাকে। নগরীর ফিরোজ শাহ কলোনিতে তাদের নিজস্ব কারখানায় তৈরি হয় সব ধরনের খাবার সামগ্রী।
নাসিরাবাদ সিঅ্যান্ডবি কলোনির প্রবীণ বাসিন্দা গোলাম রসুল গতকাল এসেছিলেন ফুডস্টোরের ইফতার সামগ্রী কিনতে।
তিনি জানান, এ বছর রোজা শুরুর প্রথমদিন থেকেই ফুডস্টোরের খাবার কিনছি। গুণগতমান ভাল বলেই মনে হচ্ছে।
তাছাড়া খাবারের দামও হাতের নাগালের মধ্যে। ফুডস স্টোর সত্ত্বাধিকারী মহিউদ্দিনের গ্রামের বাড়ি সন্দ্বীপের সারিকাইত গ্রামে হলেও তার বেড়ে ওঠা থেকে শুরু করে সবকিছু নগরীর ফয়’স লেক এলাকায়। বর্তমানে স্ত্রী আলেয়া বেগম, একমাত্র পুত্র তানিমকে নিয়ে ফয়’স এলাকাতেই বসবাস করে আসছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।