আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমরা কি খাচ্ছি-৫

তারাঁদের ইসকুলে আমি এক লবন চাষীর ছেলে,ক্ষয়ে যাওয়া চাঁদ! সে আমার মা... সজীবের ভেজাল হট টমেটো সস এখনো বাজারে ভেজাল টমেটো সস বাজারজাত করার জন্য সজীব কর্পোরেশনের নামে ২০১১ সালের মাঝামাঝি একটি মামলা দায়ের হয় বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে। পরীক্ষণাগারে ভেজাল প্রমাণিত হওয়ায় কোম্পানিটি আদালতে মুচলেকা ও জরিমানা দিয়ে পার পায় কিছুদিন আগে। এরপরও সজীব হট টমেটো সসের মানোন্নয়ন করেনি কোম্পানিটি। উপরন্তু ভেজাল সস বাজারজাত করে যাচ্ছে আগের মতোই। নতুন পরীক্ষায়ও এ পণ্যটি ভেজাল হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।

আদালতের নথিতে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ সালের ২০ এপ্রিল শ্যামপুর বাজারের সৈকত ট্রেডার্স নামক এক প্রতিষ্ঠান থেকে সজীব হট টমেটো সস জব্দ করেন ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নমুনা সংগ্রহকারী নাজিম উদ্দিন। ওইদিনই তিনি জব্দ সজীব হট টমেটো সস পরীক্ষণাগারে রাসয়নিক পরীক্ষার জন্য পাঠান। ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের জনস্বাস্থ্য পরীক্ষণাগারে পরীক্ষার পর পাবলিক এনালিস্ট সারোয়ার হেসেন ডিসিসির স্বাস্থ্য বিভাগে পরীক্ষাণাগারে প্রতিবেদন জমা দেন একই মাসের ২৬ তারিখে। পরীক্ষণাগারে সজীব টমেটো সস ভেজাল প্রমাণিত হয়েছে বলে তিনি তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন। এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের ফুড অ্যান্ড স্যানেটারি ইন্সপেক্টর কামরুল হাসান বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে সজীব হট টমেটো সসের উৎপাদক, মোড়কজাতকারক, বাজারজাতকারী ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান সজীব কর্পোরেশনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

যার নম্বর বি. খা. আ. ৮১/২০১১। পাবলিক প্রসিকিউটর কামরুল হাসান আদালতে উল্লেখ করেন জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ভেজাল পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করে সজীব কর্পোরেশন বিশুদ্ধ খাদ্য আইন ১৯৫৯ (সংশোধিত ২০০৫) এর ৬ এর (১) ও (৭) ধারা লঙ্ঘন করেছে এবং তা ৪৪ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। মামলার আসামি করা হয় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক (উৎপাদন) বেল্লাল হোসেন, ঠিকানা ২ ইন্দিরা রোড ও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড প্রডাক্টসের মালিক আবুল হাসেম, ঠিকানা ২ ইন্দিরা রোড, তেজগাঁওকে। পাবলিক এনালিস্ট তার পরীক্ষণাগার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, সজীব কর্পোরেশনের সজীব হট টমেটো সসে এসিটিক অম্লতা হিসেবে পাওয়া গেছে কমপক্ষে ১.২ ভাগের স্থলে শূন্য দশমিক ৪৪ ভাগ। অন্যদিকে সম্পূর্ণ দ্রবণীয় কঠিন বস্তু পাওয়া গেছে সর্বোচ্চ ২৫ ভাগের স্থলে ৩১ দশমিক ৫ ভাগ।

যা ১০৬৭ সালের বিশুদ্ধ খাদ্য রুলস অনুযায়ী কারখানা থেকেই বের হয়েছে সম্পূর্ণ ভেজাল হিসেবে। তিনি বলেন, এ ধরনের সস জনস্বাস্থ্যের জন্য কেবল হুমকিই নয়, নানা জটিল রোগের কারণও। এরপর আদালত আসামিদের আদালতে তলব করে। আসামিরা কিছুদিন আগে আদালতে এসে মুচলেকা দিয়ে ভেজাল পণ্য বাজার থেকে তুলে নেওয়ার এবং পণ্যের মানোন্নয়নে অঙ্গীকার করেন। এরপর আদালত প্রতিষ্ঠানটিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে চূড়ান্ত সতর্ক করে দেয়।

কিন্তু এরপরও ভেজাল সস বাজার থেকে তুলে নেয়নি সজীব কর্পোরেশন। করেনি ভেজাল সসের মানোন্নয়নও। ডিসিসির স্বাস্থ্য বিভাগের মতে এ মাসেই ডিসিসির নমুনা সংগ্রহকারীর মাধ্যমে জব্দ আরো একটি সস পরীক্ষা করে একই নমুনা পাওয়া গেছে। View this link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।