আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমরা কি খাচ্ছি-৩

তারাঁদের ইসকুলে আমি এক লবন চাষীর ছেলে,ক্ষয়ে যাওয়া চাঁদ! সে আমার মা... সজীবের রসগোল্লা বিপজ্জনক: বিশেষজ্ঞ ঢাকা: ‘সেজান` ব্র্যান্ডের বাজারজাতকারী সংস্থা সজীব করপোরেশন সজীব রেডিমিক্স রসগোল্লা নামে যে পণ্যটি বাজারজাত করছে, তা আসলে রসগোল্লাই নয়। পরীক্ষাগারে বিশেষজ্ঞ তত্ত্বাবধানে রাসায়নিক পরীক্ষায় এর প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন, এই খাদ্যপণ্যটি জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এ পণ্যে ভয়াবহ মাত্রার ক্ষতিকর উপাদান বিদ্যমান থাকায় তা বাজার থেকে তুলে নিতেও মত দেওয়া হয়েছে। পণ্যটি উৎপাদনের জন্য সজীব করপোরেশনের বিরুদ্ধে দেশের একমাত্র বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এ মুর্হূর্তে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। আদালতের নথি থেকে জানা যায়, ঢাকা সিটি করপোরেশনের (ডিসিসি) অঞ্চল-১-এর স্বাস্থ্য বিভাগের নমুনা সংগ্রহকারী কুটি মিয়া সজীব রেডিমিক্স রসগোল্লার নমুনা সংগ্রহ করেন। এরপর সংগৃহীত নমুনা রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য ডিসিসির জনস্বাস্থ্য পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। প্রধান পাবলিক অ্যানালিস্ট সারোয়ার হোসেন রাসায়নিক পরীক্ষার পর ডিসিসির স্বাস্থ্য বিভাগে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তাতে দেখা যায়, এ রসগোল্লায় আর্দ্রতা আছে মাত্র ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ।

ল্যাকটিক অ্যাসিডের অম্লতা শূন্য দশমিক ৯৮ শতাংশ। এছাড়া রসগোল্লায় দুগ্ধ-চর্বির পরিমাণ ১০ শতাংশ থাকার কথা থাকলেও এতে পাওয়া গেছে ২৪ দশমিক শূন্য শতাংশ। এছাড়া এ পণ্যে কঠিন বস্তুর উপস্থিতি পাওয়া গেছে ৯৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এ পরীক্ষার পর পাবলিক অ্যানালিস্ট তার প্রতিবেদনে লেখেন, ‘এটা রসগোল্লার নিজস্ব স্বাদ, গন্ধ ও আকৃতি থেকে ভিন্ন। এটা শুকনো পাউডার জাতীয় খাদ্য দ্রব্য, যা রসগোল্লা নয়।

’ মামলার নথিতে দেখা যায়, নমুনা আটক করা হয় গত ২৯ মার্চ। ল্যাব পরীক্ষার পর পাবলিক অ্যানালিস্ট ডিসিসির স্বাস্থ্য বিভাগে প্রতিবেদন দাখিল করেন ৫ এপ্রিল। এরপর ৫ মে ডিসিসির স্বাস্থ্য বিভাগের ফুড অ্যান্ড স্যানিটারি পরিদর্শক কামরুল হাসান বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে মামলা করেন। যার মামলা নম্বর বি. শু. আ. ১৩৬/২০১২। এরপর স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্থা ইউপিএইচসিএসডিপির সহকারী পরিচালক (পাবলিক হেলথ) ডা. সমীর কান্তি সরকার অধিকতর পরীক্ষা করে প্রতিবেদন তৈরি করেন।

এতে তিনি লেখেন, ‘অতিরিক্ত চর্বির কারণে শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমতে পারে, এই রসগোল্লা গ্রহণকারী ব্যক্তি অতিরিক্ত মোটা হয়ে যেতে পারেন, রক্তে চর্বি ও কোলেস্টরেলের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। ` View this link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।