আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গোলাম আযমের বিরুদ্ধে প্রথম সাক্ষী মুনতাসির মামুন

বাংলা আমার দেশ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আটক জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর গোলাম আযমের বিরুদ্ধে প্রথম সাক্ষী হিসাবে বক্তব্য দিচ্ছেন ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসির মামুন। আজ রোববার সকালে বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এর কার্যক্রম শুরু হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুনতাসির মামুন তার বক্তব্য উপস্থাপন শুরু করেন। এর আগেই গোলাম আযমকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। সাবেক সেনাপ্রধান কে এম শফিউল্লাহ, ওয়ার ক্রাইম ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির আহবায়ক ডা. এম এ হাসান এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামালেরও এই মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ার কথা রয়েছে। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের পরিকল্পনা, ষড়যন্ত্র, উস্কানি, পাকিস্তানি সেনাদের সাহায্য করা এবং হত্যা-নির্যাতনে বাধা না দেওয়ার ৫ ধরনের অভিযোগে ট্রাইব্যুনাল গত ১৩ মে গোলাম আযমের বিচার শুরুর আদেশ দেয়।

গোলাম আযমের আইনজীবীরা মামলাটি অন্য ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করলেও গত ১৮ জুন তা খারিজ করে দেয় আদালত। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আমলে নিয়ে গত ১১ জানুয়ারি গোলাম আযমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত। ওই দিনই তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়; তারপর থেকে তিনি সেখানেই আছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী গোলাম আযমের বিরুদ্ধে অভিযোগ, একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তার নেতৃত্বে নানা জায়গায় শান্তি কমিটি, রাজাকার, আল বদর, আল শামস, পাইওনিয়ার ফোর্স, মুজাহিদ বাহিনী নামে পাকিস্তানপন্থী সংগঠন গঠন করা হয়। একাত্তরের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর হামলা শুরুর পর খাজা খায়রুদ্দিনকে আহ্বায়ক করে ১৪০ সদস্যের যে শান্তি কমিটি হয়, তার তদারকিতে গঠিত কমিটির ছয় জনের এক জন ছিলেন গোলাম আযম।

এছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেও প্রকাশ্যে তদবির চালান তিনি। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর আমির গোলাম আযম ১৯৭১ থেকে ৭ বছর লন্ডনে অবস্থান করার পর ১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমানের শাসনামলে বাংলাদেশে আসেন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.