আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খনার বচন (১) যে না শোনে খনার বচন সংসারে তার চির পচন ৷

মনের আনন্দে অথবা মনন যন্ত্রনায় মনন কথা লিখি নিশিদিন.......... খনার বচনগুলো সবচেয়ে বেশি উপকার করে বাংলার কৃষক সমাজের। নেটে অনেকেই আছেন নিতান্ত শখের বশে কৃষিকাজ করেন। আশাকরি এই পোষ্টটি কিছুটা হলেও তাদের উপকারে আসবে। আর যারা ইতিমধ্যে এই বচন গুলো পড়েছেন তাদের কাছে আগাম ক্ষমা চাইছি। যে না শোনে খনার বচন সংসারে তার চির পচন ৷ তপ্ত অম্ল ঠাণ্ডা দুধ যে খায় সে নির্বোধ।

সকাল শোয় সকাল ওঠে তার কড়ি না বৈদ্য লুটে। আলো হাওয়া বেঁধো না রোগে ভোগে মরো না। খনা ডেকে বলে যান রোদে ধান ছায়ায় পান গাছগাছালি ঘন সবে না গাছ হবে তার ফল হবে না হাত বিশ করি ফাঁক আম কাঁঠাল পুঁতে রাখ যদি না হয় আগনে বৃষ্টি তবে না হয় কাঁঠালের সৃষ্টি যদি না হয় আগনে পানি, কাঁঠাল হয় টানাটানি। যত জ্বালে ব্যঞ্জন মিষ্ট তত জ্বালে ভাত নষ্ট মঙ্গলে ঊষা বুধে পা যথা ইচ্ছা তথা যা। চাষী আর চষা মাটি এ দু'য়ে হয় দেশ খাঁটি।

গাছে গাছে আগুন জ্বলে বৃষ্টি হবে খনায় বলে। জ্যৈষ্ঠে খরা, আষাঢ়ে ভরা শস্যের ভার সহে না ধরা। আষাঢ় মাসে বান্ধে আইল তবে খায় বহু শাইল। আষাঢ়ে পনের শ্রাবণে পুরো ধান লাগাও যত পারো। তিন শাওনে পান এক আশ্বিনে ধান।

পটল বুনলে ফাগুন ফলন বাড়ে দ্বিগুণ। ফাগুনে আগুন, চৈতে মাটি বাঁশ বলে শীঘ্র উঠি। ভাদ্রের চারি, আশ্বিনের চারি কলাই করি যত পারি। সবলা গরু সুজন পুত রাখতে পারে খেতের জুত। গাছ-গাছালি ঘন রোবে না গাছ হবে তাতে ফল হবে না।

ডাক ছেড়ে বলে রাবণ কলা রোবে আষাঢ় শ্রাবণ। মংগলে উষা বুধে পা যথা ইচ্ছা তথা যা। পুত্র ভাগ্যে যশ কন্যা ভাগ্যে লক্ষী উঠান ভরা লাউ শসা ঘরে তার লক্ষীর দশা বামুন বাদল বান দক্ষিণা পেলেই যান। বেঙ ডাকে ঘন ঘন শীঘ্র হবে বৃষ্টি জান। আউশ ধানের চাষ লাগে তিন মাস।

যদি হয় চৈতে বৃষ্টি তবে হবে ধানের সৃষ্টি। মেয়ে নষ্ট ঘাটে, ছেলে নষ্ট হাটে। আল্লায় দিয়া ধন দেখে মন, কাইড়া নিতে কতক্ষণ। যা করিবে বান্দা তা-ই পাইবে। সুই চুরি করিলে কুড়াল হারাইবে।

কাচায় না নোয়ালে বাশ, পাকলে করে ঠাস ঠাস! যুগরে খাইছে ভূতে বাপরে মারে পুতে। তাল, তেঁতুল, কুল তিনে বাস্তু নির্মূল। ঘোল, কুল, কলা তিনে নাশে গলা। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।