আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খনার বচন

মেয়েটির আসল নাম লীলাবতী। কথিত আছে, কোন এক শুভক্ষণে তার জন্ম বলে নাম দেওয়া হয় ক্ষণা। আর ‘ক্ষণা‘ থেকেই ‘খনা‘ নামের উৎপত্তি বলে মনে করা হয়। আবার আরেক কিংবদন্তীতে আছে “খনা” অর্থ বোবা। জিহ্বা কর্তনের পর লীলাবতীর নাম হয় খনা।

জ্যোতিষশাস্ত্রে অগাধ জ্ঞানের ফলে লীলাবতী প্রায়ই রাজসভাতে আমন্ত্রিত হতেন। ফলে প্রতিহিংসাপরায়ণ শ্বশুর বরাহমিহির ছেলে মিহিরকে লীলাবতীর জিহ্বা কাটার নির্দেশ দেন। বাবার নির্দেশে ম...িহির লীলাবতীর জিহ্বা কর্তন করেন। জিহ্বা কর্তনের কিছুদিন পরই তাঁর মৃত্যু হয়। গল্পমতে কথিত রাজকন্যা স্বামীর কাছে অনুরোধ করেন যে, জিহ্বা কর্তনের আগে কিছু বলতে চান।

স্বামী অনুমতি দেন। এ সময় তিনি আবাদ, বন্যা, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, যাত্রা, গবাদি, শস্যাদি, ফলাদি, গ্রহ-নক্ষত্রাদি সম্পর্কে বিজ্ঞানসম্মত ভবিষ্যতবাণী দেন যা পরে খনার বচন নামে ব্যাপকভাবে পরিচিত হয়। এই কিংবদন্তী কাহিনীগুলো সত্য কি-না তা নিয়ে সন্দেহ আছে। কিন্তু খনার বচন এখনো বেঁচে আছে আমাদের কৃষক সমাজে যাদের কোনো লিখিত ভাষা নেই। আধুনিক বিজ্ঞানীরা অবশ্য বিষয়টিকে সোজা চোখে না দেখলেও খনার বচন তার অবশ্যম্ভাব্যতা থেকে কক্ষচ্যুত হয়নি।

বরং গ্রামের কৃষকরা বিজ্ঞানের ভাষার চেয়ে প্রবাদ-প্রবচনে অধিক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। আসুন, দেখি আমরা কয়জন কয়টা খনার বচন জানি। আমি শুরু করলাম। "আষাঢ়ের পানি, তলে দিয়া গেলে সার, উপরে দিয়া গেলে ক্ষার। " -অস্পৃশ্য পঞ্চালিকা ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৭ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।