আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কীর্তনখোলা ......

হেঁটে হেঁটে যতদূর চোখ যায় অতীত কালঃ দক্ষিণ বাংলার অন্যতম গভীর নদী কীর্তনখোলা। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা কখনোই এর যৌবন কমে না। একটু পরে বসন্তের নদীর মৃদু উত্তাল বুকে তির তির করে কাঁপতে লাগল রাকিব রূপার ছইওয়ালা নৌকা। নরম বাতাসের আলতো পেষণে নদী তীরের কাশ ফুলগুলো নুয়ে নুয়ে পড়তে লাগল। হঠাৎ নিজের এক গোছা চুল কপালের উপর চলে এলে রূপা তা সরানোর জন্য একটু ব্যস্ত হয়ে ওঠে।

বাঁধা দেয় রাকিব, থাক না ... সুন্দর লাগছে তো। নরম হাতে রূপার চিবুকে আদর করার চেষ্টা করে রাকিব। - আহ মাঝি দেখছে তো। বাঁধা দেয় রূপা। - কই দেখছে না তো? ছইওয়ালা নৌকার এই এক বিরাট সুবিধা -- মাঝির দিকের পর্দা ফেলে দিলে এপাশে অবাধ ভালবাসাবাসিতে কোন ঝামেলাই থাকে না! এই মেয়েটা এত সুন্দর কেন? রূপার দিকে অপলক চোখে তাকিয়ে থাকে রাকিব।

উহ! তোমার চুলের গন্ধ যে আমাকে পাগল করে দিচ্ছে। কি দাও চুলে তুমি? -কিছুই না ... রূপার কথা শেষ হবার আগেই রাকিব ওর চুলের ভিতর হাত ঢুকিয়ে দিয়ে বিলি কাঁটা শুরু করে। এবার রূপা কিছুই বলে না। আসলেই প্রিয় মানুষের ¯পর্শ কার না ভাল লাগে! তাই তো কখন যে ওদের ওষ্ঠ অধর এক হয়ে গিয়েছিল তা ওরা টেরই পায়নি। তবে খুব ভাল করেই বুঝতে পেরেছিল যে ভালবাসার প্রথম প্রকাশ হয় সুনিবিড় চুম্বনে! বর্তমান কালঃ দূরে কি কোথাও বৃষ্টি হচ্ছে? হিম হিম ঠান্ডা বাতাসের হঠাৎ চুম্বনে আজ বহু বছর পর কীর্তনখোলার ঢেউ গুনতে অসম্ভব ভাল লাগছে।

আকাশ জুড়ে মেঘের মাঝে তারার মিছিল ঠিক যেন জোনাকির ঝাঁক। মাঝ নদীতে নৌকাতে জেলের টিমটিমে জ্বলে নিভে হ্যারিকেন বাতি। আওয়াজ তুলে লঞ্চের চলে যাওয়া। এমনটিই দেখেছিলাম আমি প্রায় যুগ আগে। এমনি এক সন্ধ্যা শেষের রাতে তোমার চলে যাওয়া।

তুমি ফিরে তাকিয়েছিলে ঠিকই কিন্তু ফিরে আসনি। তাই তো আজ এতটা বছর আমিও আসিনি এখানে ... এই পাড়ে ... ছোট্ট বেলার প্রেম, আমার সে কালো মেম ... কোথায় গেল হারিয়ে ... ভবিষ্যৎ কালঃ যাওয়া বলে কিছু নেই, সবই ফিরে ফিরে আসা/ নদী - সেও একদিন ফিরে আসে মেঘ হয়ে/ ভালবাসা ফেরায়/ ফেরাতে পারে -- তাই তো আজও বয়ে চলেছে আমার কীর্তনখোলা । ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।