বাস্তবতা নিয়ে কথা বলতে চাই। যে আইনজীবীর রিট নিয়ে সংসদে ও আদালতে তর্কবিতর্ক শুরু হয়, সেই আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, সংসদে আলোচনায় যারা অংশ নিয়েছেন, তাদের বাচনভঙ্গি দেখেই মনে হয়েছে, উনারা খুব উত্তেজিত এবং ক্ষুব্ধ।
মনজিল মোরসেদ আরো বলেন - ভোলার ২৩ কোটি টাকার টেন্ডারের একটি ঘটনায় কাউকে অংশ নিতে না দেওয়ায় আমরা একটি মামলা করেছিলাম। ওই মামলায় তোফায়েল আহমেদের এক আত্মীয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছিলো। যিনি পিস্তল উঁচিয়ে কাউকে অংশ নিতে দেননি।
তিনি তোফায়েল আহমেদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়।
সম্প্রতি এক রিট মামলায় বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন নেতৃত্বধীন বেঞ্চ ওই টেন্ডারের কার্যক্রম স্থগিত করে। পরবর্তীতে এটা আপিল বিভাগে যায়। আপিল বিভাগ সেটা ৪ সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিলে অন্য একটি আদালত পুনরায় টেন্ডার আহ্বানের নির্দেশ দেয়। এ কারণে উনি ক্ষুব্ধ হতে পারেন।
মনজিল বলেন, ওই ঘটনার দিন ভোলায় ঝাড়ু- মিছিল হয়েছে, এ কারণেও হয়তো তিনি মানসিকভাবে ক্ষুব্ধ ছিলেন।
এছাড়া আরেকজন সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন হাতিরঝিল এলাকায় শিল্প প্লট বরাদ্দ পেয়েছেন। বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীর বেঞ্চ বেআইনীভাবে শিল্প প্লট নেয়ার বিরুদ্ধে স্বতপ্রণোদিত আদেশ দিয়েছেন। এ কারণে তারা ক্ষুব্ধ হতে পারেন।
তিনি বলেন, আমি যেসব কাজ করেছি, তাতে দেশের সাধারণ মানুষ উপকৃত হয়েছে।
তারা অন্যায় নির্যাতন নিপীড়ন থেকে রেহাই পাচ্ছে। কিন্তু যারা নদী দখল করে, সরকারি জমি দখল করে, তারা মারাত্মকভাবে ক্ষুব্ধ। সে কারণে কোন না কোন পক্ষ ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসাবে সংসদে বক্তব্য দিয়েছেন বলেও মনে করেন সুপ্রিমকোর্টের এ আইনজীবী।
উপরোক্ত ঘটনা প্রবাহে আমরা পরিষ্কার সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারি যে, কিছু সাংসদ তাদের অন্যায় কর্মকান্ডকে জায়েজ করতে না পারার কারণে তারা বিচারকের উপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। সেই জন্য একটা মওকা হাতে পেয়ে তারা তা হাত ছাড়া করতে চাননি বিধায় একই সুরে ডাকতে লাগলেন হুক্কা হুয়া, হুক্কা হুয়া.............
তথ্যসূত্র : আরটিএনএনডটনেট
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।