আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পহেলা বৈশাখ নিয়ে একটি কাল্পনিক কথোপোকথন।কোন কাজ না থাকলে পড়ে দেখতে পারেন

https://www.facebook.com/R.I.HRIDOY কুবের মাঝি ও যুগুলের কথোপোকথনঃ -হ্যাল্লো। -কেডা নকুইল্লা নি? -কুবিরদা তুমি একটা টি...টি...বিপ...বিপ(লেখার অযোগ্য!)। আমি যুগল। -আইচ্ছা চিনছি?...খবর কিবা?মেলায় গেছিলি? -হ -কি দেখলি? -মেলা কিছু দেখলাম গো কুবিরদা। হেইডা আরেক বিত্তান্ত।

পয়লা এক দোহানে যাইয়া পান্তা ভাত দিতে কইলাম। দেহি গরম ভাতে পানি ঢাইল্লা হাতে ধরাইয়া দিয়া কইল,ল খা। আমি কইলাম এইডা কি পান্তা ভাত না গন্তা ভাত। হালার চুর কয় যা পাইছস খা,এড্ডু পরে এইডাও পাবি না। আমি নাঊজূবিল্লাহ কৈয়া খায়া ফালাইলাম।

-তারপর? -বউ কইছিল,ইলিশ কিনা লয়া যাইতে। বাজারে গেলাম। হেইখানে যায়া আরেক বিত্তান্ত,হুনবা নি কুবিরদা? -হু -বাজারে যায়া দেহি,কতগুলা পুঁটী মাছ ইলিশ ইলিশ কয়া বেচতাছে,আমি কইলাম,‘ইয়া খোদা,এইডা কি দেহাইলা। ’ ফান্দে পইড়া বগা কান্দে আর আমি যুগইল্লা তো কোন ছার। কিন্না ফালইলাম দুইডা পুঁটি মাছ থুক্ষু ইলিশ মাছ।

-(উদ্বেগের সাথে)এরপর? -কুবিরদা এরপর আর জিগাইয়ো না,দাম দিবার গিয়া যেইটা হইল আর কইতে মুঞ্চায় না। -হারামজাদা,কয়া ফালা। - আমি মনে মনে কইলাম পুঁটী মাছ আর কয়টেকাই হইবো,দেই একটা দাম। তাও দাম জিগাইলাম হালারে। হালার জোচ্চোর কয় একখান মাছ আষ্টো হাজার টাকা করি।

হুইনা আমি জায়গার মাল জায়গায় কাইত। তুমার মনে নাই?শেতলবাবু তোমার ঠায় খালি কয়ডা পয়সা দিয়া মাছ নিল। -খামোশ হারামজাদা,এইবার অফ যা। এইডা তুই ক্যামনে জান্‌লি? -আরে,কুবিরদা তুমিও দেহি গনশার মত কথা কইতাছো। মানিকবাবুর উপন্যাস্যে সব লেহা আছে।

আমরা গরীব হইতারি কিন্তু পড়ালেখা আছে। -হ,বুঝলাম। এর পর মাছের কি অইল? -আমি জচ্চুররে কই,তুই তো হারামজাদা চালানবাবুর চাইয়েও বড় চুর। তুই কি ইলশার টেকা দিয়া পদ্মাসেতু করবি?হালায় যেন্‌ সং,এইডা কয় অইডা কয়। আমি এত চিক্কর পাইড়া কইলাম,এইডা হইবার ন,এইডা হইবার ন।

হালায় কানই দিলো না। পুরা ১৬০০০ হাজার টেকাই নিল। আরে ব্যাটা দুই পয়হা কম নিলে কি অইত তর? -এরপর?বাড়িতে তোর বউ কি কইল? -হেইডা আরেক বিত্তান্ত। মাছ আইনা বউরে কইলাম,এই মাছ তুমি হাত দিবার পারবা না। এই মাছ আমি শোকেচে সাজাইয়া রাখুম।

আমগো কেতুপুরে বেবাকে মিল্লা ১৬ হাজার ট্যাকা দিয়া ষোল বছর খাইতে পারবো। -তর বউ কি কইল? - বউ ঠোঁট বাকাইয়া কয়,'ঢং দেইখ্যা গায়ে জ্বলন ধরে। যেই ট্যাকা দিয়া কিনছো এই ট্যাকা নি তোমার?এইখানে অইখানে হুরিলুট কইরা ট্যাকা আনছো আবার হেই ট্যাকার কত মায়া? -তুই কি কইলি? -কি কমু। কইলাম,তরে তালাক দিলাম। এক,দুই,তিন।

আমি ওরে উষ্ঠা দিয়া কি বাইর করুম। অয়ই আমারে বাইর কইরা দিলো। এরপর রাগে দুঃখে আমি ত্যাগি হইলাম গো দাদা। যার লাইগা করি চুরি হেয় কয় চোর। আমি তোমগোরে ছাইরা গেলাম গো কুবিরদা।

পাহাড়ের উপ্রে উইঠা বয়া আছি,আত্বঘাতি হমু। তুমি আমারে শেষবারের মত দেইখা যাও। -ঠিক হইছে মর গিয়া তুই আমার মাইয়ারে নিকা করস নাই। মরণ তোর লিগা ঠিকাছে। আমি তোর কাছে আইতে পারুম না।

যুগল আবেগের কম্পনে প্রকম্পিত হইয়া আর কিছু বলিতে পারিল না। কুবের রাগ করিয়া ফোন রাখিয়া দিল। অতঃপর তাহাদের কথোপকথন এইখানেই শেষ হইয়া গেল। বি.দ্রঃঅতিঅবশ্যই এটা বাংলা লিকস প্রকাশ করে নি। সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ২৭ বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।