আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঈশ্বর যখন রোমিও

আমি আমার যুক্তি দিয়ে যেদিন ঈশ্বরকে পাব, যেদিন মেনে নেব আল্লাপাক কি কখনও রোমিও ছিলেন। ইদানীং তাঁর মাছে, গাছে, পাতায় কিম্বা বাঁকলে, পশুর দেহে কিম্বা মুরগীর ডিমে নিজের নাম কিম্বা তাঁর পেয়ারা দোস্ত মুহাম্মদের নাম লেখার বাতিক খুব বেশী জেগেছে বলে মনে হয়। নাটোরে একটা সিলভার কার্প মাছের পেটে আল্লাহু আর মুহাম্মদ লেখা উঠেছে। ফেসবুকে তাই নিয়ে চলছে তুমুল হৈ চই। ইতিমধ্যে সারে তিন হাজার লাইক পড়েছে।

কমেন্ট পড়েছে সাতশর বেশী। শেয়ার হয়েছে দুই সহস্রাধিক বার। বিস্তারিত লিঙ্কেঃ এই লিঙ্কে দেখুন আবার হিন্দু গডও কম যান না। তিনিও ওঁ লিখে বেড়ান নানান জায়গায়। ক্রস বিদ্ধ যিশুর প্রতিকৃতিও দেখা যায় হর হামেশা।

ঈশ্বরেরা তাদের নাম লেখার জন্যে এভাবে মাছ, গাছ, মুরগীর ডিম, বেছে নেন কেন? তারা তো সরাসরি তা নাজিল করতে পারেন জাতীয় সংসদে, কিম্বা সর্বত্র বিদ্যাপীঠে বিদ্যার্থীর সমাবেশে। যাতে সবাই সদ জ্ঞান প্রাপ্ত হয়। তাছাড়া এই সব ঈশ্বরেরা শুধু কেন নাম লিখেই ক্ষান্ত হন? এই সব দৃষ্টি আকর্ষণ মুলক রোমিও গিরি ছেড়ে দুচারটে কাজের কোথাও তো লিখতে পারেন। যেমনঃ - হে মন্ত্রী সকল, আবু সাইদ ঠিক কথাই বলেছেন। তোরা খুবই দুর্নীতি বাজ।

এবার ভাল হয়ে যা। - হে জনগন, ছাত্রলীগ কিম্বা তারেক জিয়া দুটোই সমান ক্ষতিকর। তোরা দল নয়, মানুষ দেখে ভোট দে। - অথবা মোল্লারা, পুরুতেরা, সাধু সন্তরা আসলে চাপাবাজ। তারা ধর্মের কিছুই জানে না।

তাদের থাকে সাবধান। মানব প্রেমই ধর্ম। ঈশ্বরের ধর্ম। হে ঈশ্বর বৃন্দ! মাছে, গাছে, বাঁকলে কিম্বা টাকায় নাম লিখে বেড়ান কোন কাজের কথা নয়। একাজ যারা করে তারা উঠতি রোমিও, কিম্বা ইভ টিজার।

সে পথ ছেড়ে মানুষের জন্য কিছু লিখে পাঠান। নিজের ঢোল আর কত পেটাবেন? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।