আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইসরায়েলের জেরুজালেম দিবস !

বাস্তবতা নিয়ে কথা বলতে চাই। ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা বিশেষ বৈঠক করে ’জেরুজালেম দিবস’ পালন করেছে গত রবিবার। ৪৫ বছর আগে ১৯৬৭ সালে এক যুদ্ধে আরবের পূবাঞ্চলের বেশকিছু ভূখন্ড দখল করে নেয় মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোঁড়া আমেরিকার শয়তানি কর্মকান্ডের মূল হোতা ইহুদি রাষ্ট্রটি। যদিও এই ইহুদি রাষ্ট্রটি জেরুজালেমকে দেশটির সংগে একীভূত করার ঘোষনা দিয়েছে কিন্তু বিশ্ব স¤প্রদায় বিষয়টিকে আজও সমর্থন করেনি। পত্রিকার খবরে আরও জানা গিয়াছে যে, দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষে দেশটি নানা আনুষ্ঠানিকতা, আলোচনা সভা ও ভুড়ি ভোজেরও আয়োজন করে।

সর্বোপরি ছিল শহরজুড়ে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কি›তু হায় আমরা কি করছি? বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলি? তারা আজ পশ্চিমাদের তথা বিশ্বমোড়ল আমেরিকার পদলেহনে ব্য¯ত। যেই দেশটি প্রাচীন তথা আরব সভ্যতার কেন্দ্রবিন্দু ইরাককে তছনছ করেছে। ধ্বংস করেছে আফগানিস্থান, লিবিয়া। অতঃপর সিরিয়া সেই সংগে ইরানের পিছুতো লেগেই আছে।

বিশ্বে অর্ধশতাধিকেরও বেশি মুসলিম দেশ কিšতু জ্ঞান-বিজ্ঞানে তাদের অবস্থান কোথায় তা আমরা সবাই জানি। ইরান আজ জ্ঞান-বিজ্ঞানে শিখড়ে পৌছে গিয়াছে যার ফলে মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোঁড়া ইহুদি রাষ্ট্রটির মাথা ব্যথার কারণ। সেই মাথা ব্যথা সারাতে গিয়েই ইহুদি রাষ্ট্রটির গুরু নানা অজুহাতে ইরানের উপর ছড়ি ঘোড়াচ্ছে, নানা বাহানা করছে ইরানকে ধ্বংস করার। এর আগেও ইরাক আক্রমনের সময় তারা বলেছিল, ইরাকের হাতে বিশ্বের সর্বাধুনিক মারনাস্ত্র আছে কিšতু বা¯তবে কি দেখাগেল? বিছুই না। তাদের এই ধ্বংসলীলার কারনে ইরাক সম্পূর্ণ বিধ্ব¯ত হয়ে গেছে।

দেশটি পিছিয়ে গেছে অšতত ১০০ বছর। আর কত শিশু নারী পঙ্গু হয়েছে, কত মানুষ নিহত হয়েছে তার সঠিক হিসাব আজও অজানা। এই সব দৃষ্টাšত মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মনে রেখাপাত করতে পারেনি। আর পারবেই বা কেমন করে তারা ক্ষমতার মোহে এমন ভাবে আচ্ছন্ন হয়ে আছে যে, বা¯তবতা উপলব্ধি করার নূন্যতম জ্ঞানটুকুও তাদের অবশিষ্ট নেই। যেখানে ক্ষমতা, নারী, বাড়ী, গাড়ী সবই হাতের মুঠোয় সেখানে এতোসব ঝামেলার মধ্যে গিয়ে লাভ কি? তবে আফসোসের বিষয় হলো, যখন আমেরিকা মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোঁড়া ইহুদি রাষ্ট্রটিকে নানা ভাবে সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে এবং তার পক্ষনিয়ে ফিলিস্থিনের ন্যায় সঙ্গত অধিকারে ন্যক্কারজনক ভাবে অগণতান্ত্রিক ভেটো প্রয়োগ করছে তখন সৌদি আরব, আরব আমিরাত, বাহরাইন কিংবা কাতার কেউই কথা বলছেনা অথচ যখনই পশ্চিমারা ইরানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অযাচিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছে তখনই মেরুদন্ডহীন এই রাষ্ট্রগুলি বলছে আহা বেশ ভাই বেশ. . . . . . . . . .।

তারা কি একবারও মনে করছেনা (?) হয়তো তাদেরও ইরাক, আফগানিস্থান, লিবিয়ার মত ভাগ্য বরণ করতে হবে। আজ তারা হয়ত ভাবছে বিশ্ব গুরু আমেরিকা আমাদেরকে রক্ষা করবে। কিন্তু তারা কি দেখছেনা (?) আমেরিকা ইরাককে ব্যবহারের পর কি ভাবে ছুঁড়ে ফেলেছে? পাকি¯তানকে কি ভাবে ছুঁড়ে ফেলেছে? মুসলিম প্রতিটি দেশেই ক্ষমতা নিয়ে কাঁদা ছোড়া ছুড়ি, কোথাও নেই স্থিতিশীলতা, নেই দেশের উন্নয়নে চিšতা। শুধুই ক্ষমতার দন্দ্ব। আজ বরই প্রয়োজন ঐক্যের।

সুতরাং নিজেদের মধ্যে কাঁদা ছোড়া ছুড়ি বন্ধ করে সমগ্র মুসলিম দেশকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে এবং ওআইসিকে কার্যকরি ও শক্তিশালি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে শক্তভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাড়াতে হবে। নচেৎ প্রতিটি মুসলিম দেশকেই একের পর এক ইরাক, আফগানিস্থান, লিবিয়ার মত ভাগ্য বরণ করতে হবে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.