আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ

The most beautiful thing is to see a person smiling And even more beautiful is, knowing that you are the reason behind it!!!
ডিসেম্বরে গাজায় হামলার ঘটনায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনেছে মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল৷ বৃহস্পতিবার এক রিপোর্টে এই মানবাধিকার সংস্থা অবশ্য হামাসের দিকেও অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছে৷ রিপোর্টে সবচেয়ে বড় হয়ে যে সত্যিটা বেরিয়ে এসেছে তা হলো, প্যালেস্টাইনের সাধারণ মানুষের নিদারুণ অসহায়ত্ব৷ গত ডিসেম্বরের ২২ দিনের ওই যুদ্ধের খুঁটিনাটি দিক বিশ্লেষণ করে মানবাধিকার সংস্থাটি বলেছে, ইসরায়েল একাধিক উপায়ে যুদ্ধাপরাধ করেছে৷ একটু অন্যভাবে হলেও, হামাসও একই অভিযোগে অভিযুক্ত৷ তবে দুই পক্ষের অপরাধেরই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ শিকার ছিল প্যালেস্টাইনের সাধারণ মানুষ৷ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যু্দ্ধাপরাধের বেশ কিছু প্রমাণ পেয়েছে অ্যামনেস্টি৷ প্রথমটি হলো, ফিলিস্তিনিদের কোনো ঘরে আটকে রেখে মানবপ্রাচীর হতে বাধ্য করা৷ তাদের বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগ, বেসামরিক লোক হত্যা করা৷ রিপোর্টে দাবি করা হয়, কিছু মৃত্যুকে ইচ্ছাকৃত হত্যাকান্ড মনে করার কারণ খুঁজে পাওয়া গেছে৷ হিউম্যান রাইটস ওয়াচের অস্ত্র বিশেষজ্ঞ মার্ক গার্লেস্কো-ও মনে করেন সব বেসামরিক লোকের মৃত্যু অনিচ্ছাকৃত হতে পারেনা৷ তিনি বলেছেন, অপারেশনের সময় কমপক্ষে ৮৭ জন সাধারণ প্যালস্টাইনী ইসরায়েলের আইনবহির্ভূত গুলিবর্ষনে মারা গিয়েছিল৷অথচ যেসব গোলাবারুদ তারা ব্যবহার করেছে, যেরকম ঘাঁটি থেকে তারা গুলি চালিয়েছে সেগুলো একেবারে নিখুঁত এবং স্বতন্ত্র ছিল৷ কোনো সেনাবাহিনী এর চেয়ে ভালো কিছু আসলে আশা করতে পারেনা৷ ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর জন্য লক্ষ্যবস্তু ঠিক করাও ছিল সহজ৷ কোথায় আঘাত হানা হবে, বেসামরিক লোকজনকে নাকি প্রতিপক্ষ বাহিনীকে ব্যবহারকারীকে তার নিখুঁত দিকনির্দেশনা দেয়ার ব্যবস্থা ওই অস্ত্রগুলোতেই ছিল৷ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের আরেকটি অভিযোগের কারণ ঘনবসতিপূ্র্ণ এলাকায় সাদা ফসফরাস শেল ছোঁড়া৷ অন্যদিকে হামাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা দক্ষিণ ইসরায়েলের দিকে শত শত রকেট ছুঁড়েছে৷ একে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে রিপোর্টে আরো বলা হয়, আবাসিক এলাকায় অস্ত্র, গোলাবারুদ মজুদ করে, সেখান থেকে যুদ্ধ পরিচালনা করে হামাস ফিলিস্তিনি জনগণের জীবন ঝুঁকির দিকে ঠেলে দিয়েছিল৷ ইসরায়েল অবশ্য বরাবরের মতই বলেছে, এ রিপোর্ট ভারসাম্যহীন, বিকৃত৷ অন্যদিকে হামাস বলছে, রিপোর্টে খুনী এবং খুনের শিকার --- দু পক্ষকেই এক কাতারে দাঁড় করানো হয়েছে৷ প্যালেস্টাইনের এক রাজনীতিবিদ এবং চিকিৎসক মুস্তাফা বারগুতি প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, ‘‘ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক আইন মানতে বাধ্য করা উচিত৷ তিনি বলেন, হ্যাঁ, আমরা আসল সত্যিটা জানতে চাই, তবে সঙ্গে এ-ও চাই যে সত্যটা জানার পর বিশ্বসম্প্রদায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুক৷ ইসরায়েল এমনভাবে কাজ করে যাচ্ছে যেন তারা আন্তর্জাতিক আইনের ঊর্ধ্বে৷ এটা মেনে নেয়া যায়না৷ আন্তর্জাতিক এবং মানবাধিকার সংক্রান্ত আইনের প্রতি ইসরায়েলের এই অবজ্ঞা কারো কাছেই মেনে নেয়ার মতো হতে পারেনা৷ আমি তো বলবো, এমন চলতে থাকলে আমাদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস হয়ে যাবে৷''
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.