আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্যাক টু দ্য নস্টালজিয়া ......

তেরোর ব্লগ মানেই হাবিজাবি !! একবার ক্লাস নাইনে থাকতে ফার্স্ট টার্মে ম্যাথে আমরা সেইরাম(!!!!) মার্ক পাইলাম। টি টি পি আর কি . . সেই আনন্দে আমি আর আমার ভন্দু আমরা দুইজন দুই বারান্দার দুই মাথায় দাঁড়ায় সে কি চিল্লানী..."পাশ করছিইইইইইইইইইইই পাশ করছিইইইইইইইইইইইই" স্যার দের মাথায় হাত !! লজ্জা সরম কই গেলো এদের !! কেমেস্ট্রি এগজাম দিয়েছি। স্যার ক্লাসে এসে রিপোর্ট দিলো আপনাদের মাঝে অতি চালাক একজন রয়েছে সে ভেবেছে আমার সাথে চালাকি করে পার পেয়ে যাবে। এতো সোজা না। আমরা অবাক কে ? কি করছে? স্যার বললো, একজন অতি চালাক ৫ টার বদলে ৬ টা প্রশ্ন লিখে এসেছে সে ভাবছে আমি বুঝবো না।

নাম্বার দিয়ে দিবো। আমরা তো অবাক। কে কে?? আমি তো আগে থেকেই বাদ। কারন আমি তো ৫ টাই দেই নাই আরেকজন কনফিউসড। এই আমি ভুলে দেই নাই তো? আরেকজন বললো কোন গরু ছাগলে যে এইসব করে।

ছাগল সব। এরপরের দিন খাতা আসলো। আবিষ্কার করলাম সেই গরু ছাগল গালি প্রদানকারী ভন্দুই হইলো আসল গরু ছাগল। সেই ৬ খানা লিখে দিয়ে আসছে। কেমেস্ট্রি ক্লাসে আমরা যথেষ্ঠ মাইর খেয়েছি ।

স্যার দৈনিক পড়া জিজ্ঞাসা করতো আর একটা না পারলে একটা করে স্কেলের বাড়ি। ক্লাস টেস্টে ১০ এর যত কম ততটা বাড়ি। অবশ্য আমরা ততদিনে মোটামোটি কান্নাকাটি নামক ব্যাপারের বেশ উর্ধ্বে উঠে গেছিলাম। আমরাও হাসতাম। তো যাই হোক এক দিন আমরা কেউই পড়ি নাই।

স্যার কে কেমনে আটকানো যায়। ক্লাস রুমের ভিতরের ছিটকিনী নষ্ট। বাইরে থেকে এক মেয়েরে বললাম যে বাইরে থেকে আমাদের আটকায় দেও! মেয়ে তো আমরা বলি ব্যাপার না। যা বলি তাই করো। সে আটকায় গেলো।

আমরা ক্লাস বন্দী হয়ে রইলাম। স্যার ঘুরে ফিরে। ক্লাস রুম বন্ধ। অন্য ক্লাসে গিয়ে তালাশ করে। আমাদের আর পায় না !! কই কই কই...পরে ১৫ মিনিট পরে দরজা খুলে দেখে আমরা মনোযোগ সহকারে পড়তেছি (!!!) আগে থেকেই টের পেয়ে গেছি স্যার আসতেছি।

স্যারকে বললাম স্যার এত্ত মনোযোগ দিয়ে পড়তেছিলাম কোণ বেয়াদপ মেয়ে যে ক্লাসের দরজা লাগায় দিছে জানি না !! সত্যি বিলিভ আস। এখনকার পোলাপাইন তো দেখি স্কুলেই মুভাইল নিয়া যায়। আমাদের তখন মোবাইল আনা নিষেধ ছিলো আর তখন ছিলো ও না । তো একবার এক মেয়ে তার বান্ধবীত্রয় সহ মোবাইল নিয়ে ধরা পড়লো। আমরা পরে তার এক্সপ্লেনেশন জানতে পারলাম।

সে রিকশা দিয়ে স্কুলে আসতেছিলো। হঠাত এক অজানা অচেনা যুবক তার কোলে মোবাইল খানা দিয়ে সটকে পড়েছে। পরে বাতচিত করবে বলে। এইভাবে মোবাইল দিয়ে দিলো। এই নিয়ে পরপর দুই তিন ক্লাস আমাদের নানান লেকচার শুনতে হইছে।

তবে এইসব কে শুনে আমাদের মাথায় তো ঘুরতেই থাকলো আহারে আমাদের কেউ মোবাইল দিলো না......কি যে দূঃখ !!! আমরা প্রায়ই ক্লাসে চিল্লায় চিল্লায় গান গাইতাম...একবার আমরা সবাই বেঞ্চ টেবিল পিটায় গাচ্ছি। গানের লাইন বেশ জনপ্রিয় ... "ভালোবাসো কিনা বাসো বন্ধু...বাসো কিনা বাসো বন্ধু...টেরাই করো আমারে......আমি ভালোবাসি তোমারে..এ এ এ.... কাউয়া যেমন ভালোবাসে ডাস্টবিনের ঐ ময়লারে...আমি ভালোবাসি তোমারে..." ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।