আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সৃজনশীল শিক্ষাব্যবস্থা আজ প্রশ্নের সম্মুখীন

নিপুণ লেখনীর শানিত গর্জন / লিখব আজ নিপুণ কথন আমি একটা স্টুডেন্ট পড়াতাম । পরীক্ষার আড়াই মাস আগে আমি ওকে পড়াতে যাই,আর ঠিক ১ মাস আগে ছেড়ে চলে আসি । ছাত্র এতটাই অপদার্থ আর বেয়াদপ যে, বইয়ের যেখান থেকেই পড়া ধরতাম পারতোনা, বরং মুখের ওপর বলে দিত স্যার এখন বই এতটা ভালভাবে না পরলেও হয়, স্যারের কাছে পড়লেই ৪০ মার্ক ফ্রি! পড়ত না, পড়া করেও রাখতনা । হাল ছেড়ে দিয়ে বলে এসেছিলাম সে এ প্লাস পাবে না । মনের সন্দেহটাই সত্যি হল ।

এই গাধাটাও এ প্লাস পেয়েছে। তাও গোল্ডেন! এমনি মূল্যায়ন হচ্ছে আজকাল! সৃজনশীল পরীক্ষা পদ্ধতি করতে গিয়ে আমরা কি পড়ালেখাটাকে একটু বেশিই সহজ করে ফেলছি না? এত সহজ করে এত এত এ প্লাস জন্ম দিয়ে লাভটা কি? এদের কয়জনকে ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ দেয়া যাবে? কয়জন প্রকৃত অর্থে কিছু শিখতে পারছে? কেউ কেউ বলেন, পরীক্ষকদেরকে নাকি বেশী করে মার্ক দেয়ার নির্দেশ দেয়া থাকে- কথাটা সত্য কিনা আমি জানিনা, তবে এত সংখ্যক এ প্লাস দেখে কথাটা একেবারে উড়িয়েও দিতে পারছিনা । দিন দিন এ প্লাস বেড়েই চলেছে । আমি মানছি এখনকার ছেলেমেয়রা আর তাদের অভিভাবকেরা একটু বেশিই সচেতন, কিন্তু তাই বলে এতটা? গাইড বইয়ের প্রচল কি আমরা বন্ধ করতে পেরেছি? পেরেছি কি কোচিং বন্ধ করতে? সৃজনশীলে স্যারদের হাতে আলাদা করে কিছু মার্ক থাকে, এই সুযোগে স্যারদের টিউশন বাণিজ্য ভালোই চলছে, ছাত্ররাও অনেকটা বিনা পরিশ্রমে শুধু স্যারদের কাছে পড়েই এই মার্ক পুরোটা পেয়ে যাচ্ছে, যেটা আগে পড়ে পরীক্ষার খাতায় লিখে আদায় করতে হতো । তাই, আমি মনে করি, সৃজনশীল শিক্ষাব্যবস্থা আজ প্রশ্নের সম্মুখীন ।

সরকারের চেষ্টার কমতি নেই, শিক্ষা ব্যাবস্থায় গৃহীত উদ্যোগগুলো অবশ্যই প্রশংসনীয় । শুধু অভাব এর বাস্তবায়নের । এ প্রসঙ্গে এক ব্লগার বন্ধুর পোস্ট ভালো লাগলো । দেখতে পারেনঃ Click This Link ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।