আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সৃজনশীল কোরবানী



[ক্রিয়েটিভের বাংলা কি? আর ভাল কিছু মনে আসল নাঃ( ] ঈদের এখনো মাসখানেক বাকি আছে। তার পরেও এখনি মসজিদগুলোতে কোরবানী এপীল শুরু হয়ে গেছে। এই আবেদনগুলোর দুই তিন রকম দিক আছে। প্রথমত বেশীরভাগ উন্নত দেশগুলোতে হেলথ এন্ড সেফটি নামে সাধারণ জিনিষগুলোকেও এমন যান্ত্রিক করে ফেলেছে, যে কেউ যদি নিজের বাড়িতে মুরগী জবাই করে তাহলে সরকার সাহেব জেলে পুরে আরকি। যদিও সবাই সারাদিন মুরগীর ঠ্যাং চিবুচ্ছে।

ফলে নিজের হাতে বা নিজ এলাকায় প্রাণী কিনে জবাই করা মোটামুটি অসম্ভব। আর দ্বিতীয়ত অনেক সময় অনেকে কষ্টমষ্ট করে শহর থেকে দূরে যেসব জবাইখানা বা স্লটারিং হাউজ আছে সেখানে গিয়ে নিজে বা নিজ দায়িত্বে কোরবানী করে আসেন। তবে বেশীরভাগই সুবিধার জন্য নিজ দেশে বা অন্যান্য কোন দরিদ্র দেশে নিজের কোরবানীর ব্যাবস্থা করাই পছন্দ করেন। কারণ এক দিক থেকে ঝাক্কিঝামেলা নাই আর দরিদ্র মানুষের সরাসরি উপকারের ব্যাবস্থা। তবে এইখানে একটা কিন্তু অনেকেই ধরে বসেন।

কোরবানীর ব্যাপারটা অস্ট্রেলিয়া বা নিউজিল্যান্ডে হলে ব্যাপার না, মাথাপিছু একহালি ভেড়া কাটলেও টের পাওয়া যাবে না, কিন্তু বাংলাদেশের মত একটি দেশে, যেখানে পশুসম্পদ অত্যান্ত সীমিত, আর আজকাল কোরবানীর সিজনে বর্ডারে কড়াকড়ির কারণে প্রায়ই দেখা যায় পুরো প্রেশারটা পড়ে গিয়ে আমাদের লাইভস্টকের ওপরে। ফলে অনেক সময় মাংসের জন্য পালা গরু ছাড়াও হালের বা দুধের গরুর ওপরেও ছুরিটা গিয়ে পড়ে। এবার একটা আবেদন চোখে পড়ল ইসলামিক এইড নামে দাতব্য সংস্থার। তারা বেশ চমৎকার একটি সিস্টেম বের করেছে। তারা প্রতি কোরবানীর জন্য ৪৫ পাউন্ড করে নিচ্ছে।

কিন্তু সেটি দিয়ে সরাসরি কোরবানীর জন্য গরু কেনার বদলে তারা সেই টাকা দিয়ে কোন দরিদ্র পরিবারের জন্য দুটি করে বাছুর কিনে দিচ্ছে। এই পরিবারটি গরু দুটি বেড়ে ওঠা পর্যন্ত দেখাশোনা করে, তারপরে কোরবানীর সময়ে একটি পূর্ণবয়স্ক গরু আপনার নামে কোরবানী হবে, আর দ্বিতীয়টি হল আপনার পক্ষ থেকে সেই পরিবারটির জন্য উপহার আপনার হয়ে প্রাণীটির দেখাশোনা করার জন্য। তখন তারা চাইলে সেটি নিজেদের জন্য ব্যাবহার করতে পারে বা অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করে দিতে পারে। আমার নিজের কাছে আবেদনটি অত্যান্ত কার্যকরী এবং সুন্দর মনে হয়েছে বিশেষ করে আমাদের বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে। আমি ইসলামিক এইডের একটি লিঙ্ক দিচ্ছি, যদি কেউ প্রবাস থেকে ব্যাবস্থা নিতে চান তার জন্য, কিন্তু আমার মনে হয় আমরা ব্যাক্তিগত উদ্যোগেও এরকম কিছু একটা করতে পারি আমাদের নিজেদের গ্রামে বা পরিচিত দরিদ্র পরিবারে জন্য।

বিশেষ করে ঝড়বিধ্বস্ত জনগোষ্ঠীর সামলে ওঠার জন্য এখুনি অবলম্বনের দরকার। ইসলামিক এইডের আপীল

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।