আমরা অনেক সময় না জেনেই কবীরা গুনাহ করে ফেলি। আল্লাহ্ পাক পবিত্র কুরআনে বলেন,
''যেগুলো সম্পর্কে তোমাদের নিষেধ করা হয়েছে যদি তোমরা সেসব বড় গোনাহ গুলো থেকে বেঁচে থাকতে পার তবে আমি তোমাদের ক্রটি-বিচ্যুতিগুলো ক্ষমা করে দেব এবং সম্মান জনক স্থানে তোমাদের প্রবেশ করাবো। '' [আন নিসা, আয়াত ৩১]
''অতএব, তোমাদেরকে যা দেয়া হয়েছে তা পার্থিব জীবনের ভোগ মাত্র। আর আল্লাহর কাছে যা রয়েছে, তা উৎকৃষ্ট ও স্থায়ী তাদের জন্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও তাদের পালনকর্তার উপর ভরসা করে। যারা বড় গোনাহ ও অশ্লীল কার্য থেকে বেঁচে থাকে এবং ক্রোধাম্বিত হয়েও ক্ষমা করে, যারা তাদের পালনকর্তার আদেশ মান্য করে, নামায কায়েম করে; পারস্পরিক পরামর্শক্রমে কাজ করে এবং আমি তাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি, তা থেকে ব্যয় করে'' [আস-শুরা, আয়াত ৩৬-৩৮]
''যারা বড় বড় গোনাহ ও অশ্লীলকার্য থেকে বেঁচে থাকে ছোটখাট অপরাধ করলেও নিশ্চয় আপনার পালনকর্তার ক্ষমা সুদূর বিস্তৃত।
তিনি তোমাদের সম্পর্কে ভাল জানেন, যখন তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন মৃত্তিকা থেকে এবং যখন তোমরা মাতৃগর্ভে কচি শিশু ছিলে। অতএব তোমরা আত্নপ্রশংসা করো না। তিনি ভাল জানেন কে সংযমী। '' [আন নাজম, আয়াত ৩২]
নিচে কবীরা গুনাহ সমূহের তালিকাটি দেওয়া হলো। আসুন আমরা কবীরা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকি।
০১. আল্লাহর সাথে শিরক করা;
০২. কাউকে খুন করা;
০৩. যাদু করা;
০৪. নামাযে অবহেলা করা;
০৫. যাকাত না দেয়া;
০৬. ওযর ব্যতীত রমযানের রোযা না রাখা;
০৭. সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও হজ্জ্ব না করা;
০৮. পিতা মাতার অবাধ্য হওয়া;
০৯. আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করা;
১০. যিনা করা;
১১. সমকামিতা করা;
১২. সুদ দেয়া বা নেয়া;
১৩. এতিমের মাল ভক্ষণ;
১৪. আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি মিথ্যাচার;
১৫. জিহাদের ময়দান থেকে পলায়ন করা;
১৬. শাসক কর্তৃক জনগণকে অত্যাচার করা;
১৭. অহংকার করা;
১৮. মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া;
১৯. মদ পান করা;
২০. জুয়া খেলা;
২১. সতী নারীর উপর অপবাদ দেয়া;
২২. গনীমতের মাল আত্মসাত করা;
২৩. চুরি করা;
২৪. ডাকাতি করা;
২৫. রাহাজানি করা;
২৬. মিথ্যা শপথ করা;
২৭. যুলুম করা;
২৮. চাঁদাবাজি করা;
২৯. হারাম বস্তু ভক্ষণ করা;
৩০. আত্মহত্যা করা;
৩১. অধিকাংশ কথায় মিথ্যা বলা;
৩২. অন্যায় অবিচার করা;
৩৩. ঘুষ আদান প্রদান করা;
৩৪. নারী-পুরুষ একে অপরের বেশভূষা গ্রহণ করা;
৩৫. পরিবারবর্গের অশ্লীলতাকে প্রশ্রয় দেয়া;
৩৬. তালাকপ্রাপ্তকে হিলা করা;
৩৭. প্রশ্রাব থেকে পবিত্র না হওয়া;
৩৮. রিয়া; (লোক দেখানো ভালো কাজ করা)
৩৯. দুনিয়ার জন্য জ্ঞানার্জন করা;
৪০. আমানতের খিয়ানত করা;
৪১. খোটা দেয়া;
৪২. অন্যায়ভাবে কোন মুসলমানকে অভিশাপ দেয়া;
৪৩. ওয়াদা ভঙ্গ করা;
৪৪. গণকের কথায় বিশ্বাস করা;
৪৫. স্বামী-স্ত্রীর অধিকার খর্ব করা;
৪৬. ছবি অঙ্কন করা;
৪৭. বিদ্রোহ করা;
৪৮. অহংকার করা;
৪৯. উচ্চস্বরে বিলাপ করা;
৫০. দাস-দাসীর সাথে নিষ্ঠুর আচরণ করা;
৫১. জীব-জন্তুর সাথে নিষ্ঠুর আচরণ করা;
৫২. মুসলমানকে উত্যক্ত করা;
৫৩. সৎ ও খোদাভীরুকে কষ্ট দেয়া;
৫৪. অহংকারবশত টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান করা;
৫৫. পুরুষের জন্য স্বর্ণ ও রেশম ব্যবহার;
৫৬. মনিবের কাছ থেকে গোলামের পলায়ন;
৫৭. প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়া;
৫৮. আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে পশু জবাই করা;
৫৯. তর্ক-বিতর্কের মাধ্যমে সত্যের বিরোধিতা করা;
৬০. উদ্বৃত্ত পানি অন্যকে ব্যবহার করতে না দেয়া;
৬১. জেনেশুনে অন্যের সন্তান বলে পরিচয় দেয়া;
৬২. মাপে, ওজনে কম দেয়া;
৬৩. আল্লাহর আযাব সম্পর্কে উদাসীনতা প্রদর্শণ করা;
৬৪. আল্লাহর রহমত হতে নিরাশ হওয়া;
৬৫. বিনা ওযরে জামায়াত ত্যাগ করা;
৬৬. বিনা ওযরে জুময়া ত্যাগ করা;
৬৭. ওসিওতের মাধ্যমে কোন উত্তরাধিকারীকে বঞ্চিত করা;
৬৮. ধোকাবাজি ও প্রতারণা করা;
৬৯. মুসলমানদের গোপনীয় বিষয় ফাঁস করা এবং
৭০. সাহাবাদের কাউকে গালি দেয়া।
আল্লাহ আমাদেরকে এইসব গুনাহ থেকে বেচে থাকার তৌফিক দিন। আমীন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।