আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার পদত্যাগের প্রশ্ন আসে কেন: সুরঞ্জিত

সহকারী একান্ত সচিবের (এপিএস) গাড়িতে ৭০ লাখ টাকা পাওয়ার ঘটনায় পদত্যাগের দাবি নাকচ করে দিয়েছেন রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, পদত্যাগের প্রশ্নই আসে না। কারণ অভিযোগ উঠেছে এপিএস ও রেলওয়ের একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এর সঙ্গে আমার সংশ্লিষ্টতা কোথায়, আর আমার পদত্যাগের প্রশ্ন আসে কেন?’ পদে থাকলে সুষ্ঠু তদন্তে বাধা তৈরি হতে পারে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী দাবি করেন, ঘটনার বিষয়ে এমনকি বিচার বিভাগীয় তদন্ত হলেও তিনি পূর্ণ সহযোগিতা করবেন। গত সোমবার গভীর রাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদর দপ্তর পিলখানার মূল ফটকে বিপুল অঙ্কের টাকাসহ রেলমন্ত্রীর এপিএস ওমর ফারুক, রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব) ইউসুফ আলী মৃধা ও রেলের নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ড্যান্ট (ঢাকা) এনামুল হক আটক হন।

তাঁরা দাবি করেন, তাঁরা রেলমন্ত্রীর বাসায় যাচ্ছিলেন। পথে তাঁদের অপহরণ করার লক্ষ্যে গাড়ির চালক আলী আজম গাড়িটি বিজিবির ফটকের ভেতর ঢুকিয়ে দেয়। এরপর বিজিবির সদস্যরা টাকাসহ সবাইকে আটক করেন। পরদিন সকালে গাড়িচালক আলী আজমকে রেখে পিলখানা থেকে বাকিদের ছেড়ে দেয় বিজিবি। কিন্তু এর পর থেকে আলী আজমের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

এ খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজ ও সাধারণ মানুষ রেলমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে আসছে। তবে প্রথম থেকেই মন্ত্রী তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। বিবিসির সঙ্গে সাক্ষাত্কারে রেলমন্ত্রী পুরো বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি দাবি করেন, ‘এর সঙ্গে ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত রয়েছে। আমি এই কয়েক মাসের মধ্যেই রেলকে মানুষের কাছাকাছি নেওয়ার জন্য বহুত উন্নতি করেছি।

এর মধ্যে যেমন অসত্ আমলা আছে, তেমনি অসত্ দুর্নীতিবাজ কনট্রাক্টর থেকে শুরু করে সবাই আছে। ’ বিজিবির সদর দপ্তরে গাড়ি ঢুকিয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গে সুরঞ্জিত বলেন, ‘বিজিবির সদর দপ্তর একটি সুরক্ষিত এলাকা। রাত ১০টায় সে এলাকায় গাড়ি ঢোকে কী করে? ঢোকাইল কারা? সারা রাত থাকল কেন?...এই প্রশ্নগুলোর উত্তর তো আমাদের জানতে হবে। ’ ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.