আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কোনো পীর; ফকির; বাবা নয়। একমাত্র সর্বশক্তিমান আল্লাহ্‌ তায়ালাই তার বান্দার সাহায্যকারী।

সততাই সর্ব উৎকৃষ্ট পন্থা। মুসলমান জাতি আজ বিভ্রান্তিত। তারা বিভ্রান্তিত হয়ে জেনে না জেনে করে ফেলছে শিরকের মত মারাত্মক আপরাধ। আমরা জানি যে শিরক হচ্ছে আল্লাহর সাথে কাউকে সামিল করা। যা আল্লাহ্‌ তায়ালা একেবারেই পছন্দ করেননা।

মুসলমানগণ সুখে দুঃখে বিপদে-আপদে সব সময় তাদের যাবতীয় প্রয়োজনে সরাসরি একমাত্র মহান আল্লাহর কাছেই আবেদন নিবেদন করবে, এটাই নিয়ম। কিন্তু আজ মুসলমানগণ পথভ্রষ্ট হয়ার কারনে সাহায্য চাইতে দৌড়ে চলে যায় পীর; ফকির; অথবা কোনো বাবার কাছে। আল্লাহ্‌ হচ্ছেন সর্বশক্তিমান সাহায্য করার মালিক। তিনি ব্যাতিত বান্দাকে সাহায্য করার কেউ নেই। কিন্তু মুসলমানগণ তার বিপদে পীর; ফকির; অথবা কোনো বাবার কাছে সাহায্য চেয়ে সর্বশক্তিমান আল্লাহ্‌ সাথে অন্যকাউকে সাহায্যকারী হিসেবে সামিল করে।

যা সসাসরি শিরক। এ সম্পর্কে আল্লাহ্‌ তায়ালা বলেনঃ “নিঃসন্দেহে আল্লাহ্‌ তাকে ক্ষমা করেননা, যে লোক আল্লাহ্‌র সাথে শরিক করে। এছাড়া তিঁনি নিম্ন পর্যায়ের পাপ যা ইচ্ছা ক্ষমা করেন। ” [সুরা আন-নিসাঃ৪৮] এছাড়া মুসলমানদের মনে রাখতে হবে বান্দার সাহায্যকারী সরাসরি আল্লাহ্‌ নিজেই। এ ব্যাপারে আল্লাহ এবং বান্দার মাঝে কোন প্রতিবন্ধকতা নেই।

এবং কোনো পীর; ফকির; বাবা তো দুরের কথা কোনো নবী-রাসুলেরও ক্ষমতা নেই কারো কল্যাণ করার। মুসলমানদের অনেকেই আমাদের শ্রেষ্ঠনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করে। একটি প্রবাদ বাক্য রয়েছে- “খালি কলসি নড়ে বেশি” । ভালভাবে না জেনে কোনো কিছু নিয়ে বাড়াবাড়ি করা উচিত নয়। তাই বান্দার সুখে দুঃখে বিপদে-আপদে সাহায্যকারী সরাসরি আল্লাহ্‌ নিজেই।

আল্লাহ্ তায়ালা বলেনঃ হে নবী আমার বান্দারা যখন আপনাকে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে নিশ্চয়ই আমি অতি নিকটেই রয়েছি। কাজেই যখন কোন বান্দা আমাকে ডাকে, তখন আমি তার প্রার্থনা কবুল করি। অতএব তারা যেন যথাযথ ভাবে আমার হুকুম মেনে চলে এবং আমার প্রতি নিঃসংকোচে ঈমান আনে, তাহলে তারা সৎপথে আসতে পারবে। (সূরা বাকারাঃ আয়াত ১৮৬) ***এ আয়াত থেকে প্রমানিত হয়, মুসলমানগণ সুখে দুঃখে সব সময় তাদের যাবতীয় প্রয়োজনে সরাসরি একমাত্র মহান আল্লাহর কাছেই আবেদন নিবেদন করবে, এ ব্যাপারে আল্লাহ এবং বান্দার মাঝে কোন প্রতিবন্ধকতা নেই। শুধু তাই নয় তিনি সৃষ্টিকূলের পরিচালক, তাদের ভাল মন্দ করার ক্ষমতাও একমাত্র তাঁরই হাতে সীমাবদ্ধ।

পীর ফকীর, অলী আওলিয়া তো দূরের কথা কোন নবী রাসূলেরও ক্ষমতা নেই কারো ভাল মন্দ করার। এর আরো প্রমান আল্লাহ তায়ালার এই বানীঃ “হে মুহাম্মাদ আপনি বলে দিন, আল্লাহ্ যা ইচ্ছা তা করেন। এ ছাড়া আমি আমার নিজের মঙ্গল অমঙ্গল কিছুই করার ক্ষমতা রাখিনা। আমি যদি গায়েবের খবর জানতাম তাহলে প্রভূত কল্যাণ লাভ করতে পারতাম এবং কোন অমঙ্গল ও অকল্যাণ আমাকে স্পর্শ করতে পারতো না। আমি তো শুধু মুমিন সম্প্রদায়ের জন্য একজন ভয় প্রদর্শনকারী ও সুসংবাদদাতা (সূরা আরাফঃ আয়াত ১৮৮) এখন কথা হচ্ছে – মুসলমান জাতি আজ কেন বিভ্রান্তিত, কেন পথভ্রষ্ট??? কেননা তারা কুরআন থেকে দূরে।

আমরা কুরআন পড়ি কিন্তু বুঝিনা। আমরা এক হরফ পড়ে দশ নেকী পাওয়ার উদ্দেশ্যে আরবী পড়ি। ফলে আল্লাহ্‌ আমাদের কি বলেছেন তা বুঝিনা। কুরআন শেখা বা কুরআন পড়া মুল সার্থকতা নয়। আল্লাহ্‌র আদেশ-নিষেধ গুলো ঠিক ভাবে মেনে চলা-ই মুল সার্থকতা।

তবেই সমাজে আসবে শান্তি এবং আখিরাতেও এর PROFIT পাওয়া যাবে। মনে রাখতে হবে আখিরাতে PROFIT যেমন আছে তেমন-ই রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। তাই অন্যায় কাজ করার সময় যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি সহ্য করতে পারব কিনা ভেবে নিতে হবে। আপনি আপনার হাতের আঙ্গুলের সামান্য একটু অংশ আগুনে পুড়ে দেখুন কি যন্ত্রণা!!! অতএব আল্লাহ্‌কে ভয় করুন। এই লেখাটি কাওকে হেয় করার জন্য নয় শুধুমাত্র মুসলমান জাতিকে সচেতন করার লক্ষ্যে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.