আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মিসরের রাজনীতিতে দাবা খেলা.....

পাওয়ার অব পিপল স্ট্রংগার দেন দি পিপল ইন পাওয়ার। http://mhcairo.blogspot.com/ মিসরের রাজনীতিতে চলছে দাবা খেলার দৌড়। কখন কী ঘটে কেহ বলতে পারে না। মিসর, ইজরাইলের জন্য অনেক বড় ইস্যু, ইজরাইল ইস্যু আমেরিকার আর আমেরিকা সারা বিশ্বের মাথা ব্যাথা কিংবা শুখের মূল। মুবারকের পতনের পর 'মুসলিম ব্রাদারহুড'ই ছিল একমাত্র শক্তিশালি দল।

আবার এই ব্রাদার হুডই হলো আমেরিকা এবং ইজরাইলের গলার কাটা। অন্যদিকে, পার্লামেন্ট নির্বাচনে সলফি পন্থি হিজবুন নুর ৩০% এর অধিক আসন পাওয়ায় পরিবর্তন করে দিয়েছে মিসরের নতুন রাজনৈতির পটভুমি। সলফিদের দল হিজবুন নুর হলো এখন ব্রাদারহুড বা মিসরের আধুনিক মানুষের চিন্তার বিষয়। মুবারক পতনের পর ব্রাদারহুড কৌশল অবলম্বন করে তাদের রাজনৈতিক শাখার নাম পরিবর্তন করে ''ফ্রিডম এ্যান্ড জাস্টিস' নাম করণ করে নতুন ভাবে কাজ শুরু করে। কিন্তু ২৫ জানুয়ারির ঐতিহাসিক বিজয়কে তারা সাধারণ জনগন থেকে চুরি করে নিয়েছে বলে বামপন্থিরা বদনাম ছড়াতে থাকে।

সেটা বুঝতে পেরে নিজেদের কলন্ক মুক্ত রাখতে দীর্ঘদিন ধরে লালিত স্বপ্নের জন্য তারা আরো ধৈর্যের পথকেই বেছে নেয়, এবং ঘোষনা দেয় যে তারা আগামি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়বে না। কিন্তু এই ধৈর্যের সামনে বাধা এসে দাড়ায় সালাফি পন্থি হিজবুন নুর। তাদের সফলতা আগামি পাঁচ বছর ঠিক থাকলে পরের বারের প্রেসিডেন্সিয়াল ইলেকশনে লড়াই করে তাদের সাথে পেরে উঠতে বেশ কষ্টসাধ্যই হবে। আবার অনেকের মুখে শুনা যাচ্ছে যে, ব্রাদারহুড যদি নির্বাচনে না যায় তবে হয়ত বামপন্থিদের থেকে অথবা হুসনি মুবারকের দলের ছদ্দবেশি কেহ চেয়ার দখল করবে। তখন তারা যদি আবার শক্তিশালি হয়ে উ্ঠে এবং আবার তারা যদি ব্রাদারহুডের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া শুরু করে তবে তাদের কাজ আবার কঠিন হয়ে পরবে।

ফলে বেশি সাবধানতা অবলম্বন করতে গিয়ে শেষে না কচ্ছপের মত অবস্থা হয়ে যায় সেই ভয়ে দলের মাঝে মতানৈক্য সৃষ্টি হতে থাকে। একদল বলতে থাকে জনগনের নিকট দেয়া প্রতিশ্রুতি ভাংঙা ঠিক হবে না। আরেকদল বলে দলের স্বার্থে মিসরের ভবিষ্যতের স্বার্থে তাদের এবার ক্ষমতায় যাওয়া উচিত, এবং তারা ক্ষমতায় গিয়ে সঠিকভাবে একবৎসর দেশ পরিচালনা করতে পারলে জনগন ঠিকই তাদের উদ্দেশ্য বুঝতে পারবে এবং তাদের উন্নয়নে সহযোগিতা করবে। পরিস্থিতির দুটানা অবস্থায় যখন নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসতে থাকে তখন দুইদিন ব্যাপি আলোচনা ও ভোটাভোটির মাধ্যমে তারা সিদ্ধান্তে পৌছে যে তাদের নির্বাচনে যাওয়াই উত্তম। ফলে দলটির পক্ষথেকে দির্ঘদিন ধরে তাদের দলের সাথে থাকা ইন্জিনিয়ার ও খ্যাতিনামা ব্যাবসায়ি ''খাইরাত আশ্‌ শাতির'কে তাদের দলের পক্ষথেকে আগামি নির্বাচনে প্রার্থি হিসেবে নাম ঘোষনা করে।

ফলে তাকেই ধরা হচ্ছে মিসরের আগামী দিনের প্রেসিডেন্ট। কথা দিয়ে কথা না রাখতে পারাটাকে কিছু মানুষ অন্যচোখে দেখলেও ইন্জিনিয়ার খাইরাত আশ শাতিরের প্রতি রয়েছে কিছুটা সফ্ট হার্ট। কারণ মোবারক সরকারের বিভিন্ন সময়ে তাকে চার দফায় প্রায় সাত বছর জেলে কাটাতে হয়েছে। এখন বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে শিক্ষা নিয়ে বাকি দলগুলো না আবার ব্রাদারহুডের বিপক্ষে একত্রিত হয়ে পরে। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.