আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হেফাজতে ইসলাম বনাম হেফাজতে নাস্তিক

.............সুন্দর দিনের আগামী। বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান দেশ এবং এর আরও আরও অন্যান্য ধর্মাবলীর মানুষও বাস করে। এতটা শান্তিপ্রীতির দেশ আর কোথাও আছে কিনা আমার জানা নেই। এবং আমি বিশ্বাস করি এদেশের মানুষ যেমন ধর্মপ্রাণ তেমন দেশের জন্যও তাদের ভিতরে রয়েছে অকৃত্রিম ভালবাসা। অথচ কিছু রাজনৈতিক দল কিছু মিডিয়া মিলিত ভাবে আজ দেশটাকে বিভক্ত করে ফেলছে।

আজ মুক্তবুদ্ধি চর্চার কথা বলে ধর্ম অবমাননা করা হচ্ছে আর তার প্রতিবাদ করলে আজ দেশদ্রোহী হয়ে যাচ্ছি। ধর্মীয় চেতনা কি আমাদের স্বাধীনতার চেতনার পরিপন্থী??? আমি জানিনা হেফাজতে ইসলাম জামাত শিবিরের সহযোগী কিনা। তারা যদি ধর্ম অবমাননার ইস্যু নিয়ে রাজনীতি করে আর এরা এটা থেকে রাজনৈতিক ফায়দা নেবার চেষ্টা করে তাহলে আমি এই লংমার্চের ঘোর বিরোধী। আর যদি তারা সঠিক নিয়্যতে ধর্ম অবমাননার বিরূদ্ধে এই লংমার্চ করে তাহলে আমি এটার পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি। আল্লাহই ভাল জানেন কোনটা সঠিক।

আমার প্রশ্ন হল হেফাজতে ইসলামকে এই লংমার্চে সুযোগ কেন দেওয়া হল। ধর্ম অবমাননা কারীদের বিরূদ্ধে সরকার নিজেই যদি প্রথম থেকে আন্দোলন করতো বা বাধা দিত তাহলে তো আর এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হত না। কয়েকজন ভন্ড নাস্তিকের জন্য দেশ আজ খারাপ পরিস্থিতির দিকে চলে যাচ্ছে। দেশ স্বাধীন হবার পরেও আমরা কি স্বাধীনতা পেয়েছি। এখানে ধর্মের নামে অধর্ম হয় আর স্বাধীনতার নাম নাম নিয়ে হয় অপরের স্বাধীনতাকে লংঘন।

আমি আমার ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে চলবো কিন্তু সেখানেও আসে নোংরা আঘাত আর তার প্রতিবাদ করলেও হতে হয় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। একাত্তরে রাজাকার হওয়া ছিল কঠিন আর এখন রাজাকার হওয়া খুব সহজ। কিছু একটা বললেই হল, সাথে সাথে রাজাকার। রাজাকারের বিচার নিয়েও চলছে টালবাহানা। আমরা বুঝতে পারছিনা কে রাজাকার আর কে মুক্তিযোদ্ধা।

বাংলাদেশে তো আজ কাদের সিদ্দিকীও রাজাকার হয়ে যাচ্ছে। যদি প্রকৃত দেশপ্রেমের সাথে রাজাকারের বিচার হত তাহলে এত ঝামেলার কি দরকার। বড় বড় রাজাকার ধরে দেশে একটা গনভোট এর ব্যবস্থা করে ওদের ফাসি দিয়ে দিলেই হল। ল্যাটা শেষ। যার পিতা মাতা ভাই বোন রাজাকরের হাতে লাঞ্চিত এবং খুন হয়েছে তারা জানে বুকের ভিতরে ৪২ বছর কত কষ্ট নিয়ে বেড়াচ্ছে।

তারা কখনো রাজাকারের সাথে মিটিং করে না বা দোয়া চায় না বা রাজাকারের সাথে সরকারও গঠন করে না। আমি মন থেকে চাই জামাতের রাজনীতি নিষিদ্ধ হোক আর যুদ্ধাপরাধীর কুকুরের মত গুলি করে মারা হোক। যুদ্ধাপরাধীর ফাসি চাওয়ার পিছনে আমার কোন কারনের দরকার নেই। কিন্তু জামাত নিষিদ্ধ হোক একটা কারনেই যাতে আমি দেখতে পারি যে এর পরে অন্য যেকোন ইস্যুতে সরকার কার উপর দোষ চাপায়। এখন তো সরকারের কোন সমালোচনা করলেই তা যুদ্ধাপরাধীর বিচার বানচালের কারন হিসাবে বা জামাত শিবিরের দোসর হিসাবে বিবেচিত হয়।

আমি রাজাকারের বিচার চাই। আমি ইসলাম (ধর্ম) বিদ্বেশী নাস্তিকের বিচার চাই। আমি মনে করি, বাংলাদেশের নাগরিক হিসাবেঃ একজন মুসলমান, হিন্দু, খিস্টান বা বৌদ্ধ ও অন্যান্য মানুষ-- প্রথমে মুসলমান, হিন্দু, খিস্টান বা বৌদ্ধ ও অন্যান্য- তারপর বাংলাদেশী-তারপর বাঙ্গালী- তারপর আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জা পা, জামাত ও অন্যান্য। অনেকেই হয়তো বলবেন যে আপনি দেশের আগে ধর্মকে আনলেন। আমি বলবো, আমি যেহেতু সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করি সেহেতু যিনিই আমাকে এই সুন্দর দেশে সৃষ্টি করেছেন, তাঁর জন্যই সবকিছু পেয়েছি সেহেতু আমি ধর্মকে আগে রাখবো।

আর আমার ধর্মই আমাকে শিখিয়েছে দেশকে ভালবাসতে। আমার ধর্ম আমাকে পুলিশ দিয়ে গুলি করতেও শেখায়নি বা রাস্তায় গরীব লোকের রিক্সা, সি এন জিতে আগুন দিতেও শেখায়নি। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.