আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হেফাজতে ইসলাম, নাকি হেফাজতে যুদ্ধাপরাধী ?

ইসলামের কোথায় লেখা আছে গণহত্যাকারী, গণধর্ষণকারী, লুণ্ঠনকারীদের বিচার চা্ওয়া যাবে না ? ইসলাম তো বরং হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন নিষিদ্ধ করেছে। ইসলাম সব সময় মজলুমের সঙ্গে থেকেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে গণজাগরণ মঞ্চ দেশব্যাপী আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। তারা ৬ দফা দাবি দিয়েছে। ৬টি দাবী : ১) ঘাতক জামাত শিবিরের হামলায় রাজীব হায়দার, জাফর মুন্সী, বাহাদুর মিয়া, কিশোর রাসেল মাহমুদ হত্যাকান্ডে জড়িতদের আগামী ৭দিনের মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে।

২) ২৬ শে মার্চের পূর্বে স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতক সন্ত্রাসী জামাত শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার লক্ষ্যে যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যায় নেতৃত্বদানকারী জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে সুশোধনী আইনের অধীনে অভিযোগ গঠন এবং নিষিদ্ধের আইনি প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। ৩) অবিলম্বে যুদ্ধাপরাধী সংগঠনগুলোর আর্থিক উৎস, যেসব উৎস থেকে সকল প্রকার জঙ্গিবাদী, এবং দেশবিরোধী তৎপরতার আর্থিক জোগান দেয়া হয়, সেগুলো চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে। ৪) যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া গতিশীল ও অব্যহত রাখতে অবিলম্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালকে স্থায়ী রূপ দিতে হবে। ৫) গণমানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাস ও তান্ডব বন্ধে অবিলম্বে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সকল সন্ত্রাসী গ্রেফতার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ গোপন আস্তানা সমূহ উৎখাত করতে হবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এদের ভয়ংকর রূপ প্রকাশ করে দিতে হবে।

৬) যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষক এবং হত্যা ও সাম্প্রদায়িক উসকানিদাতা গণমাধ্যমগুলির বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে। এই দাবীগুলোর কোনটাই ইসলাম বিরোধী না। অথচ চট্টগ্রামে হেফাজতে ইসলাম নামে একটা সংগঠন গায়ে পড়ে গণজাগরণ মঞ্চের বিরুদ্ধে লেগেছে। তারা গণজাগরণ মঞ্চের সমাবেশ করতে দেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। তারা বলছে, গণজাগরণ মঞ্চ নাকি নাস্তিকদের।

কিন্তু এটা একটা ডাহা মিথ্যা কথা। গণজাগরণ মঞ্চের সঙ্গে ধর্ম বা আস্তিক-নাস্তিকের কোন সম্পর্ক নাই। মূল জামায়াতের প্রচার সম্পাদক তাসনীম আলমের পত্রিকা দৈনিক আমার দেশ মিথ্যা প্রচারণা চালিয়েছে যে, গণজাগরণ মঞ্চ নাকি নাস্তিকদের। কিন্তু আমরা পত্রিকায় এবং টিভিতে দেখছি, গণজাগরণ মঞ্চে লাখ লাখ মানুষ যাচ্ছে, পরিবারসহ যাচ্ছে । তারা কোন ধর্মবিষয়ক আলাপ করছে না, ধর্মের বিরুদ্ধে কিছু বলছে না।

তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায়। ১৯৭১ সালে যারা গণহত্যা, গণধর্ষণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ করেছে, তাদের বিচার চায়। অথচ হেফাজতে ইসলাম এই আন্দোলনকে নাস্তিকদের আন্দোলন বলে গায়ে পড়ে ঝগড়া করছে। তারা চট্টগ্রাম গণজাগরণ মঞ্চ ঠেকানোর জন্য আগামীকাল হরতাল দিয়েছে। এমনকি গণজাগরণ মঞ্চ যেখানে সমাবেশ করবে, সেখানেই তারা সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে।

তারা গায়ে পড়ে সন্ত্রাস করতে চাচ্ছে। তারা কি আসলে হেফাজতে ইসলাম, নাকি ইসলামের মুখোশ পরা হেফাজতে যুদ্ধাপরাধী ? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.