আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিশি প্রলাপ

আমার ভিতরে আমি স্বতন্ত্র জীবন যাপন করি। প্রলাপের কিছু ছদ্দবেশ আছে, দৃষ্টিভ্রম জাতীয় কিছু কেচ্ছার অবতারন ঘটে নিস্তব্দতার দেয়াল খসে। রাত মাঝি ঘুম পাড়ে বিছানার পটাতনে। একটি নারী আসে স্বাপ্নিক কাব্যের জলের সাঁই সাঁই শব্দে। তখন এক একটি নারী সমুদ্রের এক একটি সুখকর অঞ্চল।

রাত মাঝি জেগে উঠে,সুখকর অঞ্চলের সার্বভৌমিক রাজা হবার বাসনায়। নারী অনুভুমিক দৃষ্টিতে রাত মাঝির চোখে তাকিয়ে, চোখ দুটি প্রার্থনায় বসেছে চোখ যাতে হারিয়ে না যায় নারী সমুদ্রের গভীর ঢেউয়ে। রাত কানা নিশানা ফেলে যায় নিবিড় সৌজন্যতায়। মাঝি এবার সমুদ্রভোগ করবে,ঢেউয়ের তাল গুণবে। সুরের সঠিক প্রণালী মাপবে।

ঢেউগুনা রাত তখন গভীর হবে গোপন পেঁচার উড়োউড়িতে। রাত ঘুম কিংবা জাগরনে নব দম্পতির সঙ্গমমুখর বিনিদ্র অতিক্রান্ত হয়। সেখানে মাঝি রাত নৌকর পটাতনে আচ্ছাদিত রাত সমুদ্রের বিলোপ হাওয়ায় চুম্বন দেয়। হাওয়া চুম্বন, পাপ চুম্বনের মত যৌন উত্তেজক নয়। নিরীহ চুম্বনে সংসার বাড়ে না,বেদনা ঘনীভুত হয় কেবল।

চুম্বন দেবার মত কেউ নেই,হাওয়া চুম্বনের ক্রিয়া অক্ষম। ফাঁকা দুই ঠোঁটে তাই একটি অস্তিত্ব পুণরদ্ধারের সচেষ্ট জ্বলন্ত ধ্রুমশলকা চুমু খায়। অলস ধোঁয়া কর্মঠ হয়ে জ্বালিয়ে দেয় চুম্বন রীতির বৃদ্ধ ইতিহাসকে। মাঝির চুম্বন আদি পাপকে নিস্তার দেয় বোধহয়! তবে এ আগুন পুড়িয়ে দেয় না,বাঁচিয়ে দেয় আগামির জ্বলনের আগ পর্যন্ত। ভোরের আযান শুরু হয়,ধর্মভীরু মুসলমান ঘুম শেষ করে উঠে যায় প্রার্থনায়।

মাঝির ধর্ম জ্বলে যাবার আগে জ্বলে যাওয়া। ভারসাম্যহীনতাই এক ধরনের নতুন ভারসাম্যের সৃষ্টি করে। রাতের আঁধার কেটে যেতে থাকে,দিনের আলো জানালায় আসি আসি করছে। একটি যৌন আবেদনময়ী রাতের শেষ শীৎকার সৎকার হয় শরীর লোভী দিনের কাছে। মাঝি এবার ঘুমাবে আরেকবার জ্বলে উঠার আগেই।

আবার কিছু ছদ্দবেশী প্রলাপ ঘুর্নন হয়ে ফিরে আসবে! ছবি : ইন্টারনেট  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।