আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিপ্লবী জিতেন ঘোষ

মানুষ আর প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য হলো-চেতনাগত ও সংস্কৃতিগত। “পদ্মা পাড়ের মানুষ জীতেন ঘোষ। কিশোর বয়সেই পদ্মার উত্তাল ঢেউয়ের মত ছিল তাঁর স্বাধীনতার আকাঙ্খা। ‘জীবন মৃত্যু পায়ের ভৃত্য’ চিত্ত ভাবনাহীন’ এই পণ করিয়া সন্ত্রাসবাদী দলে যোগ দিয়েছিলেন। কংগ্রেসের গণআন্দোলনের প্রথম যুগে তিনি ছিলেন একনিষ্ঠ কংগ্রেসকর্মী।

কিন্তু তারপরও রাজনৈতিক দিক-নির্ণয়ের পরিপূর্ণতা পাননি। সবশেষে জনগণের একমাত্র শোষণমুক্তির পথ মার্ক্সবাদ-লেনিনবাদের তত্ব গ্রহণের মধ্য দিয়ে তাঁর রাজনৈতিক পরিপূর্ণতা আসে। নিরন্ন বুভুক্ষু কৃষকদের সঙ্গে তিনি নিজেকে একাত্ম করিয়া তুলিলেন। একটি অবহেলিত গরীব মুসলিম গৃহে হইল তাঁর বাসস্থান। কত হিন্দু-মুসলমান মেহনতি কৃষককে তিনি প্ররণা দিয়াছেন, উদ্বুদ্ধ করিয়াছেন কে তার হিসাব রাখে! আজিকার সামাজিক পরিবর্তনে কুষক আন্দোলনের ও সংগঠনের অসীম গুরুত্ব উপলব্দি করিয়া তিনি সর্বশেষ জীবন পর্যন্ত কৃষক সংঘঠন গড়িয়া তোলার কাজে আত্মনিয়োগ করিয়াছিলেন।

তিনি ছিলেন একজন দক্ষ সংগঠক আর কৃষক সংগঠনের প্রাণশক্তি। চরম আত্মত্যাগ, শত লাঞ্ছনা, দুঃখ, ক্লেশ, জুলুম-অত্যাচারের মধ্যেও তিনি ছিলেন হিমালয়ের মত অটল। আদর্শের উপরে ছিল তাঁর ইস্পাতের ন্যায় দৃঢ়তা। তাই অনেক উত্থান পতনের মধ্যেও তাঁর সংকল্প ছিল অটুট। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের সঙ্গে যারা ওতপ্রোতভাবে জড়িত, তাদের কাছে অতি প্রিয় নাম জিতেনদা, অগ্নি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এক বিপ্লবী চরিত্র।

তাকে আগামী দিনের বংশধরদের নিকট চির ভাস্কর করিয়া রাখিবার দায়িত্ব তাঁর সাথী ও সহকর্মীদের”—কমরেড মণিসিংহ। Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।