আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিপ্লবী কবিতা

লিখতে গিয়েই নিজেকে খুঁজে পাই দীর্ঘ দিন ধরে অক্লান্ত ভেবেই চলেছি, লিখবো একটি জ্যান্ত কবিতা- খুব ধীরে নিজেই হয়ে উঠবে একটি অনির্বচনীয় সত্ত্বা; স্বপ্ন দেখবে, ভালোবাসবে, গান গাইবে হয়তোবা কোন নারীর সাথে খেলায় মেতে উঠবে উদোম শরীরে। কবিতাটিকে সৌন্দর্যমন্ডিত করার অবিরাম চেষ্টা- যেন না হয়ে উঠে কবির মত কুৎসিত! সেজন্য কত চিন্তা-কাজ, সহস্র শব্দের আনাগোনা মাথার ভেতরেঃ ধ্যানী শিল্পীর নিমগ্নতা দিয়ে সযত্ন প্রয়াসে গড়ে তুলছি কবিতার শরীর ও আত্মা। তার থাকবে এমনই আত্ম-ক্ষমতা- আমি যা পারিনি করতে কঠিন সংগ্রামে, তা ঘটাবে নির্লিপ্ত অনায়াসে। আর এমনই স্বপ্নবান হবে যে, আমার নির্বিকারত্বকে ভরিয়ে তুলবে সকল মানুষের ইচ্ছা পূরনে- পৃথিবীটাকে হাতের মুঠোয় নিয়ে আকাশের দিকে পারবে ছুড়ে দিতে। তার জন্মমাত্র প্রথম কাজই হবে কবিকে হত্যা করা, নইলে সে হাতে পায়ে বেড়ে উঠতে পারবেনা। ফ্রাংকেনস্টাইন! কবির লাশের উপর উদ্দাম নৃত্য করবে এমনই সে দুর্দান্ত! একদিন প্রসন্ন ভোরবেলায় সকল কবিতাকে ডেকে করবে একত্রিত, মানুষের বিরুদ্ধে শুরু হবে প্রলম্বিত সংগ্রাম, একে একে খুন হবে সকল কবি ও মানুষ! তারপর চালু হবে কবিতার শাসন। ওদের দাবী হবে একটাইঃ এই পৃথিবী- কবিতা বাদে আর সবকিছু বাসের অনুপযুক্ত হয়ে উঠেছে। কবিতা যুগে থাকবেঃ কবিতা গাছ, কবিতা নদী, কবিতা সাগর, কবিতা পাহাড়; আগুন, পানি, মাটি, বাতাস সবকিছুই পরিণত হবে একেকটি কবিতায়- সুর্যও সকালে উঠবে একটি জ্বলজ্বলে কবিতা হয়ে, চাঁদের গায়েও লেগে থাকবে কবিতার কলঙ্ক। নিজের জীবনকে বিসর্জন দিচ্ছি এই কারনে যে, এরপর কবিতা যুগ আসুক- সে মহান বিপ্লবে নেতৃত্ব দিবে আমার লেখা একটি ছোট্ট ভয়াবহ কবিতা।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।