আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাইকে চড়ে ঢাকা হতে পাবনা এবং পাবনা হতে ঢাকায় ভ্রমণ।

নিজের মাঝেই আমি নিজে যেন হারিয়ে যাই বারবার। গত শুক্রবার মানে ২৭শে জানুয়ারি ২০১২, আমি বাইকে চড়ে পাবনা ঘুরতে যাই। উদ্দেশ্য আমাদের ব্যাচের একমাত্র মেয়ে ডালিয়া নওশিন মলি-এর বিয়েতে অংশ গ্রহণ করা। আমি শুক্রবার সকাল ৭ টায় পাবনার উদ্দেশ্যে রওনা হই, আমার সাথে আমার পুরাতন কলিগ সোহেল ছিল। সোহেলের গ্রামের বাড়ী সিরাজগঞ্জে।

আব্দুল্লাহপুর হতে প্রায় ১০০ কিলোমিটার যাবার পরে আমরা যমুনা সেতুতে পৌছাই। মোটর সাইকেলের জন্য আমাকে ৪০ টাকা টোল দিতে হয়েছে, যদিও আমি মনে করেছিলাম আরও বেশি নিবে। ব্রিজের উপর দিয়ে বাইক চালানোর মজাটাই আলাদা। এত ভাল লেগেছে যা বলে প্রকাশ করা যাবে না। যমুনা সেতু পার হবার পরে আমরা কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেই।

তখন কিছু ছবিও তুলি (আপলোডের সমস্যার কারনে সকল ছবি এখানে দিলাম )। দুপুরে ১২.৪৫ মিনিটে আমরা ডালিয়ার বাড়িতে পৌছাই। আমাকে দেখার পরে সকলেই অবাক, কারণ প্রথমত তারা জানতেন আমি যাব না। দ্বিতীয়ত, আমি বাইক নিয়ে পাবনা যাব এটা তারা ভাবতেই পারেননি। আমাকে দেখার পরে ডালিয়া বলেই ফেলছে “এই বাঁদরটা কখন আসলো।

”, আর যখন শুনছে আমি বাইক নিয়ে গেছি তখন বলছে “আপনার কি মাথা খারাপ, আপনি বাইক নিয়ে এত দূরে চলে আসছেন”। সারা দিন অনেক মজা করি। ক্যামেরা হাতে ঘুরে বেড়াই এবং ছবি তুলি। আমার সবচেয়ে ভাল লেগেছে ডালিয়ার ছোট আপুকে (ডাকে ছোট আপু, কিন্তু তিনি আমাদের অনেক বড় আপু), তিনি খুব মিশুক, যতক্ষণ পেরেছেন আমাদের সাথে আড্ডা দিয়েছেন। আমি যখন চলে আসতে চাইছিলাম, তখন তিনি আমাকে আসতে দিতে চাননি।

চেয়েছেন আমি যেন বিয়ের সকল অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকি। কিন্তু আমার অফিস খোলা থাকার ফলে আমি থাকতে পারি নাই। বিকেলে ৫টায় রওনা দিয়ে আমি রাত ১১টায় ঢাকাতে পৌছাই। আমার জীবনের সবচেয়ে লম্বা বাইক ভ্রমণ এইটা। সর্বমোট ৪৪৬ কিলোমিটার রাস্তা ভ্রমণ করেছি।

প্রথম প্রকাশঃ আমার দিনকাল । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.