আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমেরিকার গুনগান।

যারা আমেরিকাকে ভালোবাসেন -তাদের জন্য এই লেখা। আমি একটা লেখা দিয়েছিলাম, এবং সেখানে কিছু মন্তব্য পেয়েছি, যা কিনা আমি মনে করি অনেকেরই পড়া উচিৎ। তাই শেয়ার করলাম। বাংলাদেশের দুর্ভিক্ষ কোনো দেশের কারনে হয়েছিল? কেন? আমেরিকার খাদ্য শষ্য জাহাজে করে পাঠিয়ে তা ফেরৎ নিয়েছিল। এ জন্য কত লোক মারা গিয়েছিল? যারা মারা গিয়েছিলো তাদেরই ভাই-বোনেরা, আত্মীয়স্বজনেরা আজ আমেরিকা আমেরিকা বলে মুখে ফেনা তুলে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর, পাকিস্তানীরা বংগোপসাগরের নিচে মাইন পুতে রেখেছিলো, যেনো যুদ্ধবিধস্হ দেশে মানবিক সাহায্য না আসতে পারে। এবং তারা জানতো, এতে করে আরও মানুষ মরবে। রাশিয়া বিনামূল্যে দীর্ঘ দই বছর পরিশ্রম করে তা পরিস্কার করে দেয়, যাতে করে সাহায্য আসতে পারে। পোর্টকে মেরামত করে দেয়। আজকের বাংলাদেশেরও সেই মাইন পরিস্কার করার মত আর্থিক সংগতি ও যন্ত্রপাতি নেই চিটাগাং এ রয়েছে তারই একজন সৈনিক।

রুশ সৈনিকের কবর। যিনি মারা গিয়েছিলেন বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশের মানুষের জীবন বাচানোর জন্য। বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী একাডেমিতে ইউরি ভিক্তোরোভিচ রেদকিনের সমাধি - তিভের শহরে তার জন্ম। রুশ প্রশান্ত সাগরের নৌবাহিনীর সদস্য। ১৫টা ভুবানো জাহাজের ১৩টা পানির উপরে তুলে দেয় তারা।

১০টা জেটি নির্মান করেন। এটা মুখের কথা না। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ও বিমান বাহিনীর উচ্চ পদস্হ লোকেদেরই কথা। আমেরিকা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধী ছিলো,আশা দিয়ে তারা পাকিস্হানের সেই উদ্দেশ্যকে ১০০% করার জন্য - শস্যবাহী জাহাজ ফিরিয়ে নিয়েছিলো। এরপরও আমেরিকার জন্য এই বাংলাদেশীদের মন কাদে! এ লজ্জা কোথায় রাখি? আমি রাশিয়া এবং পশ্চিম দু-জাগাতেই থেকেছি ।

আমার দেশের ব্যাপারে যতটুকু যা বলতে পারি, ৭১ এ অতবড় ক্ষতি করার পরেও আমাদের দেশ বা আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ যে ভাবে আমেরিকার পা চাটে সেটা না করে যদি রাশিয়ার সাথে ভালো একটা সম্পর্ক রাখত (পা-চাটা নয়) তাহলে আমরা অন্তত সু-শিক্ষিত বা সুচিন্তার অধিকারী জাতি হিসেবে দাড়াতে পারতাম। যেমন ভিয়েতনাম। পশ্চিমারা আমাদের মূর্খ থেকে মূর্খতার শীর্ষে নিয়ে যাচ্ছে আর আমরা তাদের সাথে গলা মিলিয়ে রাশিয়ারে বকি, যদিও আমাদের কিছুই নাই! আর দেশে রাশিয়া প্রবাসীদের গুরুত্বের কথা বললেন? কি আর বলবো কষ্টের কথা , বাসে / ট্রামে উঠলে উৎসাহী মানুষকে বাংলাদেশ এর অবস্থান বিশ্বের মানচিত্রে কোথায় তা বোঝাতে বোঝাতে গন্তব্য চলে আসে ..... হাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন: অনেক দিন ধরে রুশ ভাষা শিখতে চাচ্ছিলাম । শুধুমাত্র ভাষা শিক্ষার কারণেই না । রুশ সাহিত্য সম্পর্কে জানার জন্য ।

কিছু দিন চেষ্টাও করেছিলাম । এখন আপনার পোস্ট দেখে ভাল লাগলো । এভাষাটা আগের মতো গুরুত্ব পাচ্ছে না । কিছু দিন আগে শুনলাম, বিবিসি রুশ ভাষায় অনুষ্ঠান প্রচার ব্ন্ধ করে দিচ্ছি । ব্যাপারটা দু:খজনক ।

রাশিয়ায় থাকা প্রভাসীদেরও মানুষ গুরুত্ব দেয় না । সবাই শুধু আমেরিকা আমেরিকা করে । আমেরিকায় কি লিও টলেস্টয় আছে, দস্তয়ভস্কি আছে । আমেরিকার সাহিত্য জীবনের কথা খুব কমই বলে । আমার কথাটা সাধারনীকরণ বলা যেতে পারে ।

আমি মাইস্পেসে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের লোকদের প্রিয় সাহিত্যিক সম্পর্কে তথ্য চেয়েছিলাম । তারা যেসব তথ্য দিলো । তাতে হতাশ হলাম । তারা সাহিত্য পড়ে না । আর সাহিত্য বলে যেগুলো পড়ে সেগুলো পণ্য প্রচার ছাড়া কিছুই না ।

একটা সময় ছিল প্রগতি প্রকাশন হতে রাশিয়ার বই বাংলাদেশে আসতো । সুন্দর মলাটে সুন্দর ছাপায় বাংলা বই । মগজ দোলাইয়ের উদ্দেশ্যে যদিও কিন্তু রাশিয়া বাংলা সাহিত্যের আর অনুবাদ সাহিত্যের প্রসার ঘটিয়ে ছিল তা অস্বীকার করা যাবে না । আপনার দেওয়া গানগুলো পড়ে মনযোগ দিয়ো শুনবো । মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন: @ রিয়াযান : আপনি লিখেছেন : কি আর বলবো কষ্টের কথা , বাসে / ট্রামে উঠলে উৎসাহী মানুষকে বাংলাদেশ এর অবস্থান বিশ্বের মানচিত্রে কোথায় তা বোঝাতে বোঝাতে গন্তব্য চলে আসে ...... দেখুন, এসমস্যা আমাদেরও বিভিন্ন নেটওয়ার্কিং সাইটেও হয় ।

অনেক বিদেশী বলে তোমাদের দেশটা কোথায় ? বাংলাদেশ সম্পর্কে এমন অনেক প্রশ্ন করে যা শুনে বিরক্ত হওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না । যেমন : জার্মানির এক লোকের ধারনা বাংলাদেশের লোকরা গরুর গাড়িতে চলতে পছন্দ করে । এধারনা বদ্ধমুল হওয়ার কারণ এক বার জামার্নিতে বেশ কিছু ছেলে অবৈধভাবে প্রবেশ করতে যেয়ে বরফে ডুবে মরতে যাচ্ছিলো । তখন তাদের সাংবাদিকরা জার্মানিতে কীভাবে এসেছে তা জানতে চাইলে তারা নাকি বলেছিলো প্রথমে গরুর গাড়ি, তারপর উড়োজাহাজ, তারপর উট, তারপর বরফের নদী পাড়ি দেওয়া । আমি বিরক্ত হয়ে পরে এসব লোকদের জন্য ব্লগস্পটে একটা সাইট খুলি ।

আমাদের দেশ সম্পর্কে অনেক লেখক আজে বাজে কথা লিখেছে বলেও আমরা বিব্রতবোধ করি । যেমন : ব্রিকলেন - মনিকা আলী, দ্য শেম - সালমান রুশদী । কোথায় যেন দেখলাম সারা বিশ্বে যত ডি ভি লটারির আবেদন পড়ে, তার মধ্যে অর্ধেকই হলো বাংলাদেশের লোকদের । ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাবিরোধী অবস্হান নেওয়ার পরও কেন যে এদেশটার প্রতি আমাদের দেশের লোকদের আকর্ষন তা আমি বুঝে উঠতে পারি না । এদেশ বরাবরই ডি ভি পাওয়া বা এশিয়ান বিশেষত মুসলিম নামধারীদের প্রতি কেমন আচরন করে তা ভাবলেই শিওরে উঠি ।

কারণ যুক্তরাষ্ট্রে অবস্হানকারী আমার অনেক বন্ধুর কাছ থেকে শুনা ঘটনাগুলো বিশ্লেষন করেই আমি কথাটা বলছি । আর এদেশে সুখ স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবন যাপন করা যায় । একথা কিছু লোকের ক্ষেত্রে সত্য । সবার ক্ষেত্রে নয় । Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.