আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমেরিকার চিঠি -৪

ঈদ মোবারক । দেরী হয়ে গেল লিখতে । ঈদের পর পার্টি লেগেই থাকে । এসব ঈদ পার্টি , হেন তেন নিয়ে এত ব্যাস্ত ছিলাম । আজ ও সময় করেছি বহু কষ্টে ।

আজ লিখতে না বসে পারলামই না । সন্ধ্যার খবরে শুনলাম আজ পূর্ণিমা । জুপিটার ও নাকি দেখা যাবে । জানালার পর্দা ফাঁক করে দেখে নিলাম । আমার পূর্ণিমাগুলো এখন এমনই ।

ঈদের পরের দিন শনিবার রাতে এই পূর্ণিমাটা হ'লে ঘটনাটা অন্যরকম হতো । কি হয়েছিল জানো , আমাদের এক বন্ধুর বাসায় ঈদ উপলক্ষে বিরাট পার্টি ছিল । সেজে গুজে মহা উতসবে মেতে উঠেছে সবাই । হঠাৎ করে ইলেকট্রিসিটি চলে গেল । আমার আমেরিকার জীবনে এমন কখনো হয়নি ।

ঝড় বুষ্টির দিনে দু 'এক সেকেন্ডের জন্য কখনো যে যায়নি তা নয় । কিন্তু এমন কখনো ই না । গেল তো গেল আর এলো ই না । অনেকে ই হায় হায় করছিল । আমার এত ভালো লাগছিল !মনে হলো সাত রাজার ধন ফিরে পেয়েছি ।

আমেরিকান রা এজন্যই বোধ হয় ক্যাম্পিং এ যায় । তাবু খাঁটিয়ে জন্গলে গিয়ে থাকে । প্রকৃতির কাছাকাছি - প্রাকৃত জীবনে । ছোটবেলায় এমন কত হতো !তখন জেনারেটর, ই.পি .এস. কিছুই ছিলনা । আজ ও তেমন ।

মোমের আলোয় ঈদের ডিনার । বারান্দায় গিয়ে বসা । অন্ধকারে ই গান, গল্প আড্ডা । কি নষ্টালজিক ! শুধু এমন পূর্ণিমা ছিল না । ।

আজ মনে পড়ছে সেই রাতের কথা । গভীর রাতে একদিন তুমি ফোন করে বললে...বারান্দায় যাও দেখ কি বিস্ময় । একে বলে ‘কাক ভুল ভোর জোছনা ‘। আমি গিয়েছিলাম । আহ ! জীবনে ঐ একবারই দেখেছি সেই পাগল করা জোছনা আর কাকের উল্লাস ।

কাকের কী দোষ । আমি ও ভেবেছিলাম ভোর । প্রকৃতির বুকে আর আমার এ ছোট্ট জীবনে । আমিও হেসেছিলাম । আমিও ও ভসেছিলাম ।

মেতেছিলাম উল্লাসে । বুঝি ভোর হ’লো । এখন ই হাসবে সূর্য্ তারপরে ই চাঁদ । এখন জানালার ফাঁক দিয়ে দেখি - আকাশ জুড়ে ‘ডিনার প্লেট ‘ এর মত চাঁদ । হ্যাঁ , খবর পাঠক এমন ভাবে ই বলেছিলেন ।

কেমন কাটলো তোমার ইদ? খুব শখ , একবার ঈদের সময়ে দেশে যাব । সে সুযোগ আর হলো কোথায় ! এখানে ঈদ মানেই অন্য যে কোন একটি দিন । অফিস আদালত স্কুল কলেজ সব নিয়ম মাফিক ই চলে । তবে হ্যাঁ , ধর্মীয় কারণে ছুটি চাইলে যে পাওয়া যায় না তা কিন্তু না । কিন্তু ঈদের চাঁদ দেখা নিয়ে যে কি হয় তা তো তুমি জানই ।

একটু আগে থেকে না জানালে ছুটি পাওয়া কঠিন । ঠিক আগের রাতে ফোন করে বললে কি আর হয় ! তাই অনেকে ইচ্ছা থাকলে ও ছুটি নিতে পারে না । এ নিয়ে বিড়াম্বনার ও শেষ নেই । সে যা ই হোক । আমি মসজিদে গিয়েছিলাম ।

আমার বাসা থেক খুবই কাছে । প্রতিটি মোড়ে মোড়েই যে বিশাল বিশাল মসজিদ আছে তা নয় । তবে ঈদের জামাত বলতে গেলে মোড়ে মোড়ে ই হয় । কমিউনিটি সেন্টার , সিভিক হল, জিম, পার্ক্ আনেক কিছুই ব্যাবহার করা হয় মসজিদ হিসাবে । সরকার থেকে পুলিশ মোতায়নের ও ব্যাবস্থা করা হয় কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এবং ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য ।

সকালে দু তিনটি জামাত হয় । আমি দ্বিতীয় জামাতে গিয়েছিলাম । কত বিভিন্ন দেশের মুসলিমদের মিলন মেলা । ভালোই লেগেছিল । দেশে কখনো ঈদের জামাতে যেতাম না ।

এখানে যাই ভালো লাগে । তবে দেশে আত্মীয় স্বজনদের বাসায় যেতাম । সে সুযোগ এখানে নেই । বন্ধু বান্ধবদের নিয়েই জীবন এখানে । বেশীর ভাগ মানুষ ই নামাজ শেষ করে নিজ নিজ কাজে চলে যায় ।

ছুটির দিনগুলোতে ঈদ পূণর্মিলনী করে দুধের সাধ ঘোলে মিটায় । আমি ঠিকই ঘুরতে বের হয়েছিলাম । হালকা রং এর একটি কোটা শাড়ি আর হালকা গহনায় সেজেছিলাম । নিজেকেই কেমন হালকা হালকা মনে হচ্ছিল । উহ! সবাই এত দূরে দূরে থাকে ! আর যেখানেই যাই একই প্রসংগ , গ্রাউন্ড জিরো মসজিদ ।

তোমার মনে আছে ২০০১ সালের কথা ? আজ থেকে ৯ বছর আগে মুসলমান নামধারী কিছু সন্ত্রাসী আমেরিকার প্রাণ কেন্দ্রের সেই টুইন টাওয়ার ধ্বংস করে দিয়েছিল । সাথে সাথে কত হাজার হাজার মানুষের জীবন ও । আজ তার ই আশে পাশে এই মসজিদ আর মুসলিম কালচারাল সেন্টার নিয়ে যত তর্ক্ বিতর্ক্ । আমেরিকাতে এমন ঘটনা বিরল । মানুষের মাঝে জমে ছিল এত ঘৃণা ! এত ভয় ! ওখানে তো মসজিদ ছিলই ।

একটি বিরাট কাপড়ের দোকানকে মসজিদ হিসাবে ব্যাবহার করা হচ্ছিল । এখন ওটাকে বড় করা হবে । সাথে একটি কালচারাল সেন্টার । মুসালম সংস্কৃতির চর্চা ও প্রতিফলণ হবে । ১০০ মিলিয়ন ডলার বাজেট ।

তা নিয়ে কেন এত হৈ চৈ ! এটা কি শুধুই একটি অজুহাত নয় ?পুন্জিঞভূত ঘৃণাকে বের করে দেবার এ একটি অজুহাত ও একটি সুযোগ । তা যা বলছিলাম । নানাজনে নানা কথা বলছিল । অনেকে ই মনে করছে -- এখন মুসলসানদের উচিত হবে সরে দাঁড়াণো । পৃথিবীর সামনে তুলে ধরা যে তারা শান্তি প্রিয় জাতি ।

অনেকে আবার ল্জ্জা আর ভয়ে একাকার । এই বুঝি মুসলমানদের কপাল পুড়লো । খেয়ে পড়ে শান্তিতে আছে এখানে । তা আর হবে না । আমি ভেবে পাই না এত হীন মণ্যতা কেন ? এটা তো পৃথিবীর অন্য যে কোন দেশ নয় ।

এটা আমেরিকা । সব ধর্মের স্বাধীনতার ভিত্তিতেই তৈরী হয়েছে এ দেশ । আমাদেরকে নিজেদের হীণ মন্যতা বোধ থেকে বের হয়ে আসতে হবে । আরো আগেই মুসলিম সমাজের মাথা উঁচু করে কথা বলা উচিত ছিল । উচিত ছিল - সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রকাশ করা এবং নিজেদের স্বরুপ প্রকাশ করা ।

এখানকার মুসলমান রা ও আর সবার মতই আমেরিকান । ভালোবাসে এ দেশকে । এ দেশের অর্থনীতি ,অগ্রগতি তথা উন্নতি তে ভূমিকা রাখছে । নিজেদের কে আশ্রিত মনে করার কোন ই কারণ নেই । তুমি হয়তো বলবে, মুসলমান রা আদৌ করেছে কি না তার নেই ঠিক ।

অত গভীর আলোচনায় এখন নাই বা গেলাম! সাধারণ মানুষ এখন পর্যন্ত এটাই জানে । সেদিন আটলান্টার একটি খবরের কাগজে পড়লাম - ক্যাথলিন পার্কার , আমার খুব প্রিয় একজন কলামিস্ট ,সমস্ত আমেরিকানদের হয়ে ক্ষমা চাইছেন মুসলমান সম্প্রদায়ের কাছে । প্রেসিডেন্ট ওবামার মত এ কলামিস্ট ও জোর গলায় বলেছেন অন্য যে কোন ধর্মাবলম্বীদের মত মুসলমানদের ও অধিকার আছে প্রার্থনা করবার । তা যে কোন সময়ে এবং যে কোন স্থানে । ঘৃণা প্রকাশ করেছেন কোরাণ পোড়াণোর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা কে ।

আমার কি মনে হয় জানো? মনে হয় - এই মসজিদ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই প্রতিষ্ঠিত হবে মুসলমানদের অধিকার । যেমন করে হয়েছিল আমেরিকান কালোদের । যাদের কে একদিন ‘নিগ্রো’ বলে পায়ে ঠেলা হ’তো । এমন কি ভোট দেবার অধিকার ও ছিল না যাদের । দেখ , আজ তাঁরা কোথায় চলে এসেছে ।

বারাক ওবামার দিকে তাকিয়ে দেখ । একদিন আমরা ও । শুধু দরকার একতা -- দশের লাঠি একের বোঝা । কি তোমার মনে হচ্ছে - আমি শুধু স্বপ্নই দেখি । পাহাড়ে ওঠার ।

ঐ যে একবার সিলেটে গিয়ে তুমি বলেছিলে - ‘তুমি তো শুধু পাহাড়ে ই উঠতে চাও ‘ । কি ভেবে কেন যে তুমি বলেছিলে জানি না । তবে আমার সব উদ্যম নস্ট হযে গিয়েছিল । সেই পাহাড়ে আর আমার ওঠা হয়নি । কোন পাহাড়েই আমি আর উঠি নি ।

পাহাড় আমাকে অতটা আকর্ষণ্ ও করেনা । আমাকে টানে সমুদ্র। । সমুদ্রের বিশালতা । তবে সবচেয়ে মজার ব্যাপার কি জানো, কখনো কখনো এই সমুদ্রকে ও মনে হয়েছে - কত ছোট ।

কী জানি , আমার ভিতরে তখন কিসের এত বিশালতা ছিল - কষ্টের , যন্ত্রণার না পাওয়ার না কি হাহাকার ! মুক্তির হাহাকার ! জানি না । তবে খুব শখ । একদিন । শুধু একদিন তোমাকে নিয়ে আমি দাঁড়াব আটলান্টিকের পাড়ে । দেখব কী বলে আটলান্টিক আমাকে ।

কতটা বিশাল , কতটা উচ্ছ্বল হয়ে সে আসে আমার কাছে । এক একটি ঢেউ কি ঐশ্বর্য্য এনে লুটিয়ে দেয় আমার পায়ে। শুধু একদিন শুধুই একদিন । সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম রবি বারের পরে যে সোমবারটি আসে সেদিন হলো ছুটির দিন । পুরো উইকেন্ডকেই বলা হয় লেবার ডে উইক এন্ড ।

একসাথে তিন দিন ছুটি । মানুষ পাগলের মত বীচে বা সমুদ্র সৈকতে যায় । এর পর ই এস যাবে শীতের আমেজ । পানিতে নামা যাবে না । দুপুরের কড়া রোদে চিত হয়ে বালুতে শুয়ে শুয়ে সূর্য় পোড়া রোদ মাখে সারা গায়ে ।

জ্বলে যায় পুড়ে যায় সব জ্বালা যন্ত্রণা । সেই অন্গার সমুদ্রের জ্বলে ধুয়ে যেন এক শুদ্ধতম নতুন জীবন নিয়ে ফিরে আসে সবাই। এসেই আবার নতুন উদ্যমে লেগে যাওয়া কাজে । প্রায় তিন মাস গ্রীষ্মকালীন ছুটির পর আবার স্কুলে ফেরে ছেলেমেয়েরা । দোকানে দোকানে ব্যাক টু স্কুল সেল বা মূল্যছাড় ।

কেনাকাটার ধুম পড়ে যায় । পুরো একটি সপ্তাহ কাপড় চোপড় সহ স্কুলের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিনা ট্যক্সেই কেনা যায । এখানকার অর্থনীতির এই গতি অসাধারণ । এরা জানে- কিভাবে মানুষকে দিযে খরচ করিয়ে নিতে হবে । মানুষ ও করছে ।

ঘুরছে অর্থনীতির চাকা । স্কুলের পালা শেষ হতে না হতেই আসে নতুন পর্ব্ । নতুন সাজে এখন আমেরিকা । হ্যালুইনের সাজে । বিক্রি হচ্ছে হ্যালুইনের বিচিত্র সব পোষাক, মুখোশ, বেশ ভূষা আর ক্যান্ডি ।

৩১ শে অক্টোবর উদৃযাপিত হয় এ অন্যতম জনপ্রিয় উৎসব হ্যালুইন । এখন মূলত বাচ্চাদের ই উৎসব । ভূত প্রেত পরী পশু পাখি প্রজাপতি কত না সাজে সাজে আমেরিকা ! বাচ্চারা এমন অদভুত সব সেজে সেজে যায় বাড়ি বাড়ি, বা শপিং সেন্টারে ক্যান্ডি সংগ্রহ করতে ঠিক যেমন ছোটবেলায় ঈদের দিনে আমরা দল বেঁধে যেতাম পাড়ার সব বাড়িতে তেমনই । উচ্ছ্বাস ও আনন্দ । এখানে এটাকে বলা হয় -’ ট্রিক অর ট্রিট ’।

কেউ ওদের খালি হাতে ফেরায় না ! অমন্গল হবে যে ! একান্তই যদি কেউ ভুলে যায় ক্যান্ডি কিনতে - বাড়ির সব আলো বন্ধ করে রাখে । ওরা আসে না । প্রথমবার আমি তাই করেছিলাম । প্রথমত: ক্যান্ডি কিনতে ভুলে গিয়েছিলাম এবং দ্বিতীয়ত : এটা আমার মন:পুত কোন অনুষ্ঠান ছিল না । আমি পছন্দ করি বা না করি , এটা এখন আমেরিকার সংস্কৃতি হয়ে গিয়েছে ।

এমনকি খৃষ্টান ধর্মের একটি অংশ বললে ও ভুল হবে না । যদি ও এ সংস্কৃতি এসেছে আইরিশদের কাছ থেকে । বছরের এই একটি দিনকে ওরা বেছে নেয় । বিশ্বাস করে যে প্রেতাত্মারা আত্মার সন্তুষ্টির জন্য ওপার থেকে আসেন এপারে । ।

সাথে করে নিয়ে যান সব অমন্গল । তাই তো এমন সব ভৌতিক আর কাল্পনিক সাজ গোজ । সব দেশের ই পরীর সাজ এক রকম , ভূতের সেই বিভীষিকাময় চেহারা । আর মানুষের অদৃশ্য জগতের প্রতি ভীতি ও একই রকম । বাজারে ক্যান্ডি কেনার হিড়িক দেখলে তুমি বুঝতে ।

মানুষ পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুক না কেন - কত অসহায় মনে করে নিজেকে । নিজের ও পরিবারের অমন্গলের ঝুঁকি কেউই নিতে চায় না । আমরা শুধু ভাবি আমাদের দেশের দরিদ্র ও অশিক্ষিত মানুষই কুসংসাকারে বিশ্বাস করে আর ওরাই শুধু এখনো অন্ধকারে আছে । আমি এখনো প্রভাবিত হইনি । ক্যান্ডি দু একবার কিনেছি ঠিকই - দোকান ভর্তি এত থরে থরে সাজানো বাহারি সব ক্যান্ডি- কিনতে কার না ইচ্ছে করে বল ।

ঐ পর্য়ন্ত ই । বিলানো হয়নি কখনো । আলো বন্ধ ছিল । প্রেতাত্মা অভিশাপ দিবে এ ভয়ে নয় । খালি হাতে ফিরে গেলে বাচ্চাগুলোর মন খারাপ হয়ে যাবে এ ভয়ে ।

তবে কতদিন য়ে পারব বলা মুশকিল । মেয়ে বড় হচ্ছে । তখন ওর মন খারাপ হবার ভযে কি করব জানি না । ভাববো এটা নিয়ে । তোমার কি মনে হয় ? কি করা উচিত ? ভূত প্রেত এগুলো মিথ্যা - এটা শুধু ক্যান্ডি কুড়াণোর দিন এটা বললে কি কোন লাভ হবে ? না , এটা নিয়ে আসলেই আমাকে একটু গবেষণা করতে হবে ।

অবশ্য এখন বলতে গেলে এটা শুধুই একটি ’ফান ডে’ । গতবার ২০০৮ এ প্রেসিডেন্ট ওবামা ইলেকশনের এত ব্যাস্ততার মাঝে ও অক্টোবরের শেষ দিনটিতে ছোট মেয়ে শাশার হাত ধরে পাড়ার বাড়িতে বাড়িতে গিয়েছেন ক্যান্ডি সংগ্রহ করতে । । মেয়ের যে কি আনন্দ । হাঁটছে তো না যেন চন্চ্ঞল এক হরিণী লাফিয়ে লাফিয়ে পথ পেরোচ্ছে বাবার হাত ধরে ।

নভেম্বরে ই প্রেসিডেন্ট ইলেকশনে । সব কাজ ছেড়ে বাবা এসেছে শুধু তার ই জন্য । টেলিভিশনে এ দৃশ্য দেখার পর আমার বুকটা ভরে গেল । আমি দেখলাম একজন সত্যিকারের বাবা । যে নিজের সন্তানের জন্য ভালো বাবা হতে পারে না সে কিভাবে হবে একজন পরিপূর্ণ্ মানুষ !কিভাবে নেতৃত্ব দিবে আমেরিকার তথা সারা পৃথিবীর ।

আমরা কি আমাদের দেশের নেতা নেতৃদের নির্বাচনের সময় এ বিষয়টি বিবেচনায় রাখি ? সে ব্যক্তি জীবনে কতটা সফল ?কতটা দায়িত্বশীল, সহানুভূতিশীল , কতটা নির্ভরযোগ্য ও কতটা অনুসরণ যোগ্য ? অনেক কিছু লিখে ফেললাম । তুমিও নিশচয়ই এই এস. এম .এস.আর টেকস্ট মেসেজের যুগে এমন লম্বা চিঠি পড়ার অভ্যাস হারিয়ে ফেলেছ । ভালো থেকো । আটলান্টা ২২ সেপ্টেমবর, ২০১০ । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.