আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমেরিকার গল্প - ১

আমার কাজের জায়গার আশে পাশে অনেকগুলো দোকান । অনেকটা শপিং মলের মত। কেমাট, ফুড বেসিক, ডানকিন ডনাট, ব্যাংক আরও অনেক গুলো দোকান। আমার কাজের জায়গার সামনের রাস্তাটার নাম মেইন এভিনিউ। রাস্তার বিপরীত পাশে ক্যাপিটাল ওয়ান ব্যাংক।

আমি আগের দিনের ডিপোজিট জমা দিতে ব্যাংকে গিয়েছি। ব্যাংক এর সামনে অনেক বড় পাকিং লট। ব্যাংক থেকে বের হয়ে দেখি এক মহিলা গাড়ী পাকিং করতে গিয়ে আরেকটা গাড়ীকে সজোরে ধাক্কা দেয়। অপর গাড়ীতে তিনজন প্যাসেঞ্জার ছিল এবং অবশ্য একটা ছোট বাচ্চা ছিল। তেমন কিছু হয়নি প্যাসেঞ্জারদের, গাড়ীটা সামান্য ক্ষতি হয়েছে এই যা।

কেউ একজন ৯১১ কল করেছে, মিনিট ৪ অথবা ৫ হবে, একে একে পুলিশের গাড়ী আসতে থাকল। এর মধ্যে আম্বুেলঞ্চ এসে পড়েছে। পরিশেষে আসলো ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী। আমি দেখলাম সর্বমোট পাঁচটা পুলিশের গাড়ী এসেছিল। আমি তো হতভম্ব হয়ে গেলাম এ কি অবস্থা।

এইটুকুর জন্য এতো আয়োজন। পরিশেষে বাংলাদেশের কথা বলি, আমরা স্বামী ও স্ত্রী দুজনে একসাথে আমেরিকার ভিসা পেয়ে গেলাম। সবকিছু প্রেপারেসন শেষ করে আমেরিকার উদ্দেশে রওনা হলাম। বিপত্তি হল গিয়ে ইমিগ্রেসন পুলিশের কাছে গিয়ে। বেটা অফিসার বলে কি কাগজপত্র সবই ঠিক আছে কিন্তু আপনারা যে স্বামী-স্ত্রী এর প্রমাণ কি? যারা আমেরিকার ভিসা সম্পর্কে আইডিয়া আছে তারা হয়তো জানবেন ভিসা দেবার আগে কত কাগজপত্র দুতাভাসের লোকজন যাচাই বাচাই করে।

আমি অফিসারকে বললাম ওর আলাদা পাসপোর্ট, আলাদা ভিসা আছে এবং আমার টাও আলাদা তো আমরা স্বামী-স্ত্রী হলেই কি আর না হলেই কি। চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনী। পুলিশ অফিসারের উদ্দেশ্য কি ছিল বুজতেই পারতেছেন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.