আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সৈয়দ আশরাফ এটা কি বললেন?

আপনজন জন্ম ১৯৭১ সালের অনেক পরে। তাই মুক্তিযুদ্ধ চোখে দেখিনি। বিভিন্ন লেখনির মাধ্যমে এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে শুনেছি। কিভাবে তারা নিজের জীবন বাজি রেখে দেশরে জন্য লড়াই করেছে। স্বাধীনতা অর্জনের সেই দিনগুলি নিজের চোখে দেখার সুযোগ না হলেও স্বাধীনতা বিসর্জনের দিনগুলি এখন নিজের চোখে প্রত্যক্ষ করছি।

আর ভাবছি এই জন্যই কি দেশের লাখো শহীদ নিজেদের জীবনকে আত্মত্যাগ করেছিল। যারা নিজেদের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বলে দাবি করেন তাদের সংগঠনের শীর্ষ নেতা সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম যখন বলেন, সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যা আগেও হয়েছে এখনও হয়েছে এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। তখন নিজেকে এই জাতের মানুষের অন্তর্ভুক্ত ভাবতে লজ্জা লাগে। যে কথা ভারতীয় নাগরিক কিংবা কর্তা ব্যক্তিদের বলার কথা, সেই কথা আমাদের দেশের সরকারের শীর্ষ মন্ত্রী ও নেতারা বলছেন, সাফাই গাইছেন দাদা বাবুদের পক্ষে। সৈয়দ আশরাফের এই বক্তব্যে বড় অবাক হলাম, লজ্জিত, হতবাক হলাম।

এও সম্ভব যে দেশে বাস করি, যারা এই দেশের প্রতিনিধি(স্বার্থনিজ) বলে দাবি করে তাদের মুখেই যখন শুনি নিজের দেশের জনগণের বিপক্ষে সাফাই গাইতে তখন নিজেকে এই শকুনদের অধিনে আছি ভাবতেই গা শিহরে উঠে। মনে হয় তাহলে কি আমি মরলেও তারা একই কথা বলবে এটা আগে হয়েছে, এখনও হচ্ছে। আমরা কি কেবল এদের ক্ষমতায় আসার সিঁড়ি হিসেবেই সারা জীবন ব্যবহৃত হবো? নাকি এত কিছুর পরেও আমরা নিশ্চুপ থাকবো? আমাদের কি আসলেই কিছু করার নেই? যদি এসব বিশ্বাস ঘাতক, দালাল, দেশদ্রোহীদের অধিনেই জীবন কাটাতে হবে। এমনটিই যদি হয় তাহলে বলতে হবে যাদের যৌবনের উর্দির নিচে বার্ধকের......। তাদের কাপুরুষের মত বেঁচে না থেকে মৃতু্্যই শ্রেয়।

আসুন আমরা ভারতীয়দের দালাল, জনবিরোধী কাজে যারা লিপ্ত তাদেরকে দেশের মধ্যে বয়কট করি এবং ভারতীয়দের দালালদের সামাজিকভাবে বয়কট ও ঘৃণা করি। ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.