আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চুরির গাড়ি ছিনতাইয়ে

অতি সাধারণ....প্রধানমন্ত্রী হলে দেশটারে সাজাইতাম ঢাকা, জানুয়ারি ১৭ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- ছিনতাই ও চুরি করা গাড়ি দিয়েই রাজধানীতে ঘটছে ছিনতাইয়ের ঘটনা। আগে ছিনতাইয়ের জন্য অটো-রিকশা বা টেক্সিক্যাব ব্যবহার করা হতো। এতে চালকরাও জড়িত থাকত বলে প্রকাশও পেয়েছে। কিন্তু এখন অটোরিকশা বা ট্যাক্সিক্যাবের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নজর থাকায় ছিনতাইকারী চক্র কৌশল পরিবর্তন করেছে। কৌশল পরিবর্তন প্রসঙ্গে এক ছিনতাইকারী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অটোরিকশা, ট্যাক্সিক্যাব দিয়ে ছিনতাই করলে ধরা খাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

পুলিশের দৃষ্টি শুধু ওই গড়িগুলোর দিকেই থাকে। তাছাড়া এসব গাড়ির সংখ্যাও কমে গেছে। ” তার বক্তব্য অনুযায়ী, তারা আগে একটি গাড়ি বা মটর সাইকল ছিনতাই করেন। এরপর তারা সেটা দিয়ে রাস্তায় নামেন ছিনতাইয়ে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মো. মনিরুল ইসলামও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, যারা মটর সাইকেল চুরি করে, তাদের অধিকাংশই ওই মটর সাইকেল দিয়েই ছিনতাই করে।

প্রাইভেটকার চুরি বা ছিনতাই করে তা দিয়ে ছিনতাইয়ের কয়েকটি ঘটনার নজিরও পাওয়া গেছে, বলেন তিনি। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে আটক সিদ্দিক নামে ওই ছিনতাইকারী বলেন, “সিএনজি থ্রি হুইলার, হলুদ ও কালো ট্যাক্সিক্যাব চালককে ম্যানেজ করে কিংবা ভয় দেখিয়ে ছিনতাইয়ের পর নিজের হেফাজতে রাখতে হয়। নহলে ঝুঁকি থেকে যায়। ” “আর ছিনতাইয়ের পর ছিনতাই করা গাড়িটি ফেলে পালিয়ে গেলেই হয়,” বলেন তিনি। ছিনতাইয়ের ঘটনাগুলোর ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীরা পরে খুব বেশি তৎপর থাকে না বলে আদালতে এই মামলাগুলো বেশিদূর গড়ায় না।

নুরে আলম হাবু নামে এক ছিনতাইকারী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এসব ঘটনায় আমি বেশ কয়েকবার ধরা পড়ি। কিন্তু চার পাঁচ মাস জেল খেটে আবার বের হয়ে আসি। ” তিনি জানান, পুলিশকে ‘ম্যানেজ’ করার পাশাপাশি আদালতেও তাদের নির্দিষ্ট আইনজীবী রয়েছে। জামিনে বেরিয়ে কেন আবার ছিনতাইয়ে জড়িয়ে পড়েন- জানতে চাইলে হাবু বলেন, “উপায় নাই আমার বস টুন্ডা মাসুদ ও নজরুল ইসলাম গিরা। তাদের দুজনকে আমি কখনো দেখিনি, শুধু ফোনে ফোনে তাদের নির্দেশ পালন করি।

“বেশ কয়েকবার ভালো হতে গিয়েও পারিনি। ভালো হলেই তাদের লোকজন আমাকে মেরে ফেলবে। ” গোয়েন্দা কর্মকর্তা মনিরুল বলেন, ছিনতাই ও গাড়ি চোরদের ধরার পর আইনের ফাঁক গলে জামিনে বেরিয়ে এসে তারা আবার একই কাজে লিপ্ত হয়। রিমান্ডেও পাওয়া যায় না অনেক সময়। ফলে দেখা যায়, এক জনকেই কয়েকবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

“এভাবে পুলিশের অর্জন বৃথা যায়,” আক্ষেপ করে বলেন তিনি। তবে এ ধরনের অপরাধীদের জামিনের জন্য পুলিশের ব্যর্থতাকেই দায়ী করেছেন আইনজীবীরা। ঢাকা জেলা জজ আদালতের আইনজীবী মাহবুব হাসান রানা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গাড়ি চুরি পেনাল কোডের ৩৭৯ ধারায় জামিন অযোগ্য একটি অপরাধ। কিন্তু পুলিশ রিমান্ডে আবেদনের দুর্বলতা এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে গোপন আঁতাতের কারণে জামিন পেয়ে যায় আসামিরা। ” এসব ক্ষেত্রে তদন্ত ও প্রতিবেদন তৈরির ক্ষেত্রে পুলিশকে আরো তৎপর হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/কেটি/এলএইচ/এমআই/০৯১০ ঘ. কামাল হোসেন তালুকদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিবেদক  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।