আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চুরির শাস্তি ২



আগের পর্ব। তো শাস্তি প্রসঙ্গে যেটা বলছিলাম এইযে বাচ্ছাগুলোকে এতগুলো লোক মিলে মারল তাদের মনে সামান্য করুনা আমরা সবাই আশা করি। কিন্ত হিউমেন সাইকোলজি মনে হয় অন্য রকম। ছোট্ট একটা ঘটনা বলি। আমি তখন ক্লাস ফোর ফাইবে পড়ি।

আমাদের এক স্যার ছিল যিনি আমাদের বাড়িতে লজিং থাকতেন। তিনি যখন কাউকে পেটাতেন তখন মনে হত থানা-পুলিস ব্যপাড় গুলো না থাকলে বা কোন শিক্ষকের হাতে ছাত্রের মৃতু মার্জনীয় আপরাধ হলে আমি নিশ্চিত প্রতি দিন গড়ে অন্তত একটা ছাত্র কে উনি হত্যা করতেন। আমার কথা আপনার অতিরন্জিত মনে হতে পারে কিন্তু তার বিভৎস রুচির বর্ণনা যদি আমি দেই তাহলে আপনারও রক্ত গরম হয়ে উটবে। তাছাড়া এরকম নিউজ তো আমরা প্রাই পায়। পিটিয়ে আধমরা করা, রক্তাক্ত করা, বেহুস করা।

এরাতো সবাই বাচ্ছা তাই না। কেউ রুটি চুরি করে কেউবা পড়া ফাকি দেই এই যা পার্থক্য। কেন এমন আচরণ। সুধুকি আমরাই এমন করি না কি এর পিছনে আরও কিছু আছে?? আসলে মানুষ তার জমানো ক্ষোভ প্রকাস করতে চাই। এজন্য সে যাস্ট একটা এক্সকিউজ খুজে।

যখন দেখে সমাজ বা জাতি ব্যপাড়টা মেনে নেয় তখন সে হয়ে উঠে আদিম, বন্য। দেখুন প্রতিটি নাড়ি নির্যাতন। কেন?? কারণ সমাজ এটা এপ্রুভ করে। ধর্মএটা এপ্রুভ করে। আপনি বলতে পাড়েন কিভাবে? হাঁ অনেক মা ই তো বলে মেয়েদের একটু মানিয়ে নিতে হয়।

এই যে ছাড় দেয়া এটাই হল এপ্রুভাল। আপনি ধর্মগ্রন্তগুলো দেখুন। পুরুষদের কিন্তু বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়। এইযে প্রাধান্য দেয়া এটা কি এপ্রুভাল না?? তাই বলছি যাদের দাত কেলিয়ে হাসতে দেখে আপনি রাগে গজ গজ করছেন তারা কিন্তু আপনার আমারই প্রতিচ্ছবি। অসমাপ্ত..।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।