আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অধিকাংশ স্কুল শিক্ষকেরই শিশু মনোবিজ্ঞান সম্পর্কে কোন জ্ঞান নেই-

আমি সত্যে অবিচল। একটা বেসরকারী জরিপে দেখা গেছে, আমাদের দেশের ৭০% -এরও বেশী প্রাইমারী স্কুল শিক্ষকের শিশু মনোবিজ্ঞান সম্পর্কে কোন জ্ঞান নেই। তারা শিশুদের শারীরিক শাস্তি দেয়াকেও কোন অপরাধজনক কাজ মনে করেন না। যদিও আইনের কড়াকড়ির কারনে তারা এখন আর বেত বা লাঠি ব্যবহার করছেন না, তবে মৌখিক নির্যাতন থেমে নেই। অতীতে এইসব শিক্ষকদের নির্যাতনে অর্ধেকেরও বেশী ছাত্রছাত্রী ঝরে পড়তো।

শিক্ষা ভীতি ছাত্রছাত্রীদের কাবু করে ফেলতো। সামান্য একটা সহজ বইয়ের পড়াও তাদের কাছে বোঝা হয়ে ধরা দিতো। কিন্তু যুগের পরিবর্তনে নানা ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে শিশু মনোবিজ্ঞানে কিছু ধারনা দেয়ায় সেই সব স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা বেশ ভালই করছে। তারা এখন দশ বিশটা বই পড়লেও সেগুলোকে আর বোঝা মনে হচ্ছে না। এর কারন হলো, ভীতি দুর হওয়া।

আমরা যে যুগে মাত্র একটা বই পড়ে পাশ করতে হিমশিম খেয়েছি, স্যারের মারের ভয়ে তোতাপাখির মত পড়া শিখেছি, এখন আমাদের সময়ের চেয়েও কম বয়সের ছাত্রছাত্রীরা অনেকগুলো কঠিন বই অনায়াসেই পড়ছে। এর কারন আর কিছুই নয়, শিশু মনোবিজ্ঞান বুঝে শিশুকে শিক্ষা দেয়া। এটা যারা বা যে শিক্ষকেরা পারছে না, তারাই ফেল মারছে। মাদ্রাসাগুলোর অবস্থা একেবারেই শোচনীয়। সেখানে ১% শিক্ষকও শিশু মনোবিজ্ঞান সম্পর্কে কোন ধারনা রাখেন না।

তারা নানাভাবে শিশুদের শারীরিক শাস্তি দিয়ে থাকেন। আরো একটা ব্যাপার লক্ষণীয়, তাহলো, মাদ্রাসাগুলোতে এখনো অনাবশ্যকভাবে উর্দু ভাষা শেখানো হয়। এই উর্দু ভাষা কেন প্রয়োজন তা বোধগম্য নয়। ইসলামের বইগুলো কি সব উর্দুতে লেখা? কেন এই অনাবশ্যক বিদেশী ভাষা শেখানো ? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.