আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এখনি সময়, ঝেড়ে ফেলুন সব পরগাছা

রিকশাও তেল খায়...আর মানুষ তো মানুষই ২০০১ এর পর আবারো একটি নীরব ভোট বিপ্লব দেখতে পারলাম। দল হতে সদ্য অব্যাহতি প্রাপ্ত বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কু, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ নেতা আফজল খানের প্রায় দ্বিগুণ ভোট পেয়ে জয়যুক্ত হয়েছেন। প্রাপ্ত ভোটঃ মোট ভোটারঃ ১ লাখ ৬৯ হাজার ২৭৯ ভোট প্রদানকারীঃ ১ লাখ ২৭ হাজার ৭২ মনিরুল হক - ৬৫ হাজার ৫৭৭(৫১.৬১%) আফজল খান- ৩৬ হাজার ৪৭১(২৮.৭০%) নূর-উর রহমান মাহমুদ- ৮ হাজার ৫১৪ আহমেদ সেলিম - ৭ হাজার ৯৬১ আনিসুর রহমান - ৩ হাজার ৯৯৪ অন্যান্যঃ সর্বমোট - ২ হাজার ৮৩০ ভোটের পর আওয়ামী লীগ সমর্থিত অনেকের মুখে শুনা যাচ্ছে, দলীয় অন্তঃকোন্দলই আওয়ামী লীগের পরাজয়ের মূল কারণ। কিন্তু প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা থেকে দেখা যাচ্ছে, মনিরুল হকের এককভাবে প্রাপ্ত ভোট অন্য সকল প্রার্থীর সম্মিলিত ভোট সংখ্যা থেকেও বেশী। দলীয় কোন্দলের কারণে লীগের সমর্থক মনিরুল হক কে ভোট দিবে, তা কল্পণাও করা যায়না।

এই নির্বাচনে জামাত-শিবির সাক্কু'র পক্ষে খেটেছে, তা কোথাও শোনা যায়নি। বরং স্থানীয় নেতাদের মুখে নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্ত শোনা যায়। তারপরেও দলীয় সিদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে যদি কোন জামাত কর্মী সাক্কুকে ভোট দেয়, তা নিশ্চয়ই হাজার ত্রিশেক ভোটের ব্যবধান করে দেয়নি। নির্বাচন পূর্ববর্তী সকল সমীক্ষায় সাক্কু অনেক পিছিয়ে ছিলেন আফজল খানের চেয়ে। বিরোধী প্রার্থীর চেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীই সরকারী দলের বিজয়ের হুমকি বলে মনে হচ্ছিল।

কিন্তু বাস্তবে তার কোনটিই ঘটেনি, কারণ সাংবাদিকেরা ভোটারদের মোটিভ বুঝতে ব্যর্থ হয়েছিল। পরিশেষে বলা যায়, কোন অপ-শক্তির সহায়তা ছাড়াই সাধারন মানুষ এবং জাতীয়তাবাদী শক্তির বিজয় হয়েছে। এই বিজয়ে যদি কারো অবদান থাকে, তবে তা হোল কেন্দ্রীয় সরকারের নজিরবিহীন ব্যর্থতা। দেশের পরিস্থিতিই ভোটারদের সিদ্ধান্ত নেওয়া অনেক সহজ করে দিয়েছে। বেগম জিয়ার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, এই অবস্থা শুধু কুমিল্লা শহরেই নয়, সারা দেশেই।

দেশবাসীর আপনার প্রতি আস্থা পুনঃস্থাপিত হয়েছে। যদি এটা সত্য বলে বিবেচনা করেন, তাহলে কি কোন প্রয়োজন আছে জোটের জন্য জামাত নামধারী পরগাছা লালন করার? যারা শুধু কলঙ্কই লেপন করেছে জাতীয়তাবাদী চেতনায় বিশ্বাসীদের চরিত্রের উপর। এখনি সময়, ঝেড়ে ফেলুন সব পরগাছা, শহীদ জিয়ার আদর্শকে সামনে রেখে একক জাতীয়তাবাদী শক্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করুন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।