আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্কয়ার প্রতিষ্ঠাতা স্যামসন এইচ চৌধুরী আর নেই

একটি সুন্দর সকালের অপেক্ষায় দেশের অন্যতম বৃহৎ ব্যবসায়ী সংস্থা স্কয়ার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা স্যামসন এইচ চৌধুরী মারা গেছেন। তিনি বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন। তার ছেলে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তিনি সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। ” শুক্রবার রাত নয়টায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সে তার মরদেহ দেশে আনা হবে বলে অঞ্জন চৌধুরী জানান।

গত ২৭ ডিসেম্বর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। এর আগে তিনি ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। স্কয়ার গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান মাছরাঙা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম মুনয়েম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্যামসন এইচ চৌধুরীর মৃত্যুর খবর আসে। রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া স্যামসন এইচ চৌধুরীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। শোক প্রকাশ করে অর্থ মন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রায় অর্ধ শতাব্দী ধরে আমার সাথে তার পরিচয়।

তিনি একজন আদর্শবাদী ব্যবসায়ী-শিল্পপতি। দেশের ওষুধ শিল্পের তিনি একজন দিকপাল। তিনি দেশের একজন শ্রেষ্ঠ করদাতাও। তার মৃত্যুতে দেশ একজন সফল ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তা হারালো। ” স্যামসন এইচ চৌধুরীর জন্ম ১৯২৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পাবনার আতাইকুলা গ্রামে।

বাবা ছিলেন ডিসপেনসারির মেডিক্যাল অফিসার। স্যামসনও ব্যবসায় আসেন ওষুধ শিল্পের মাধ্যমে। ভারতে পড়ালেখা শেষ করে ১৯৫২ সালে গ্রামে ফিরে ছোটো একটি ওষুধের দোকান খোলেন তিনি। পরে চার বন্ধু মিলে ১৯৫৮ সালে গড়ে তোলেন স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। স্যামসন এইচ চৌধুরীর অক্লান্ত চেষ্টায় স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালের পাশাপাশি প্রসাধনসামগ্রী, টেক্সটাইল, কৃষিপণ্য, তথ্যপ্রযুক্তি, স্বাস্থ্যসেবা ও মিডিয়াতেও বি¯তৃত হয় স্কয়ার।

বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে স্কয়ারের পণ্য। নামকরণ প্রসঙ্গে এক সাক্ষাতকারে স্যামসন এইচ চৌধুরী বলেছিলেন, “এটি চার বন্ধুর প্রতিষ্ঠান। এর লোগোও তাই বর্গাকৃতির। ” ১৯৫৮ সালে তার সেই ছোট উদ্যোগ আজ বিশাল একটি শিল্পগ্রুপে পরিণত হয়েছে, যার কর্মী সংখ্যা ২৮ হাজারেরও বেশি। স্কয়ার গ্র“পের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, এ প্রতিষ্ঠানের বাৎসরিক আয় ৬১ কোটি ৬০ লাখ ডলার।

দেশের গুরুত্বপূর্ণ অনেক সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এই উদ্যোক্তা-শিল্পপতি। তিনি মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই-এর পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিও ছিলেন তিনি। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের বাংলাদেশ চ্যাপটারের চেয়ারম্যান ছিলেন ২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত। শাহবাজপুর টি এস্টেট ও মিউচুয়াল স্ট্রাস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যানও ছিলেন স্যামসন এইচ চৌধুরী।

View this link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.