আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নাস্তিকতার বাস্তবতা কতটুকু?

ভুত মোর নাম.. আছর দেয়া যার কাম.. প্রখ্যাত বৃটিশ গানিতিক ও দার্শনিক(স্বঘোষিত নাস্তিক) বাট্রান্ড রাসেল প্রভূর পিতৃ পরিচয় খুজে পাননি বলে ,বলেছিলেন স্রষ্টা একটি অলিক ধারনা। এই নাস্তিকতার প্রথম প্রবক্তা ছিলেন খ্রীষ্টপূর্ব ৬০০ অব্দে প্রাচীন মনিষী থেলাস,একজিমান্ডার,একজিমেনিস প্রমুখ। পীথাগোরাস সর্বপ্রথম গানিতিক ব্যাখ্যার অবতারনা করে এই মতবাদের সায় দেয়ার চেষ্টা করেন। পীথাগোরাসের এই মতবাদের উপর ভিক্তি করে লুসসিপাস ও ডেমোক্রিটাস আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা করেন। যুক্তিগত ভাবে নাস্তিকতা টিকে গেলেও তা সাময়িক।

কেননা অনুবিক্ষন যন্ত্র আবিষ্কারের আগে কেউ জানত না ব্যাকটেরিয়া , ভাইরাস বলে কোন জীবানু পৃথিবীতে আছে। অনুবিক্ষন যন্ত্র আবিষ্কারের পর জানা গেছে ওদের অস্তিত্বের কথা। তাই বলে যন্ত্র আবিষ্কারের আগে জীবানু গুলো কি ছিল না?সবাই এক বাক্য বলবেন অবশ্যই ছিল। বর্তমানের সবচেয়ে উন্নত টেলিষ্কোপ দিয়ে এই বিশাল মহাশূন্যর যতটুকু দেখা গেছে বৈগ্গানিকগনের ধারনা অনুযায়ি একশ ভাগের দশ ভাগ(আনুমানিক )। এই দশ ভাগের বিস্তৃতি প্রায় ১৩,০০০ মিলিয়ন আলোক বর্ষ(আনুমানিক)।

আরোও কত ভাগ ত বাকি রয়ে গেছে। আমাদের এই সৌর জগত এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত মহাজগতের তুলনায় প্রায় অস্তিত্বহীন। মহাজগতের দশ ভাগের একভাগ(আনুমানিক)শুধু মাত্র চোখে দেখে আমরা হয়রান হয়ে যাচ্ছি কোনা কুলকিনারা পাচ্ছিনা। এতেই আমরা কত সহজে স্রষ্টার অস্তিত্বকে অস্বিকার করে ফেলছি। একটা ছোট্ট উদাহরনঃ ↓ বেশি কিছুনা একটা লবনের পরিপুর্ন এনাটমি আমাদের মস্তিস্কে ধারন করার ক্ষমতা আমাদের আছে কিনা দেখি।

লবনের ছোট্ট একটি কনায় সোডিয়াম ও ক্লোরিনের এটম সংখ্যা হল ১০০০০০০০০০০০০০০০০ । (একের পরে ১৬টি শূন্য) মানুষের ব্রেইনের নিউরনের সংখ্যা হল ১০০০০০০০০০০০(একের পর ১১টি শূন্য)। নিউরনের কোষের সাথে সংশ্লিষ্ট রয়েছে প্রায় ১০০টি ডেন্‌ডরাইস আছে যা মষ্তিস্কের ধারন ক্ষমতা নিউরনের সংখ্যার হাজার গুন বৃদ্ধি করে। এখন যে ধারন ক্ষমতা হল তাও ১০০০০০০০০০০০০০০(একের পর ১৪টি শুন্য)। তাহলে ভাবুন মহাজগতের এনাটমিটা কেমন হবে? মানুষ্য সমাজের বড় বড় বুদ্ধিজীবির মাথায় কি সম্ভব স্রষ্টার সম্পর্কে ধারনা করা যেখানে স্রষ্টার সৃষ্টির ক্ষুদ্র লবন সম্পর্কে ধারনা মষ্তিস্কে ধারন করতে পারছে না।

তাই বলব নিজের অযোগ্যতার কারনে কিছু ধারনা করতে না পারলেই কি তাকে অস্বীকার করে ফেলব? একটি হাদিসঃ ↓ হযরত আলী(রাঃ) সাথে এক নাস্তিক এভাবে তর্ক করতে করতে যখন হার মানছেই না। তখন আলী(রাঃ)বললেনঃ আচ্ছা আপনার ধারনা আনুযায়ী আল্লাহ যদি না থাকে তাহলে বেহেশত নাই দোজখও আজাবও নাই। তাহলে মৃত্যর পর আপনিও বেচে গেলেন আমিও বেচে গেলাম। আর যদি আল্লাহ থাকে তাহলে বেহেশত থাকবে দোজখ থাকবে আর আজাবও থাকবে তখনত আমি বেচে যাব আপনার কি উপায় হবে? পোষ্টটা শুরু হয়েছিল এক অধ্যাপকের কথা দিয়ে শেষ হোক আরেকজনের কথায় ↓ প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রনক্লিন বলেনঃপদার্থের সংযোজনে স্বতঃফূর্ত ভাবে নিজ থেকেই হঠাৎ করে জীবনের স্পন্দন শুরু হওয়ার সম্ভাবনা ততটুকু, যতটুকু সম্ভাবনা আছে একটি ছাপাখানায হটাৎ করে বিস্ফোরন ঘটার ফলে একটি পূর্ণাংগ অভিধান সংকলিত ,সম্পাদিত ও মুদ্রিত হয়ে বেরিয়ে আসার। ।

একমাত্র নাস্তিকরাই অন্ধের মত স্রষ্টাকে অস্বীকার করে। আমরা যুক্তি দিয়েই আল্লাহকে বিশ্বাস করি। প্রায়ই দেখা যায়, বাংলা সাহিত্য ও দর্শন শাস্ত্রের অল্প একটু জ্ঞান নিয়ে মানুষ নাস্তিকতার দিকে ধাবিত হয়। বিজ্ঞানের সঠিক জ্ঞান থাকলে কেউ কখন ও নাস্তিক হয়না। আমরা জানি, মহাবিশ্বের সব কিছু মূলত দুই ভাগে বিভক্ত, পদার্থ ও শক্তি।

রসায়ন শাস্ত্র আমাদের বলে, পদার্থকে সৃষ্টি করা যায় না বা ধ্বংস করা যায়না, শুধু এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় পরিবর্তন করা যায় মাত্র। এখান থেকে এটা সুস্পষ্ট যে, শুন্য থকে কোন কিছু সৃষ্টি করা যায় না। আর বস্তুর অবস্থার পরিবরতনের জন্য অবশ্যই শক্তির প্রয়োজন। বর্তমান বিদ্যমান সৌর জগতসমূহের মোট পরিমান যত বিগ ব্যাং এর পূর্বে ঠিক সমপরিমাণ পদার্থ ছিল। তাহলে সেই পদার্থ কে আনলেন।

একইভাবে পদার্থ বিজ্ঞানে শক্তির সংরক্ষনশীলতা নীতি শক্তি সম্পর্কে একই কথা বলে। বর্তমান সৌর জগত সমুহের মোট শক্তি (যান্ত্রিক শক্তি,তাপ শক্তি,শব্দ শক্তি,বিদ্যুত শক্তি, চৌম্বক শক্তি, রাসায়নিক শক্তি, আনবিক শক্তি, পারমানবিক শক্তি সহ সব শক্তির যোগফল) সর্বদা ধ্রুব । বিগ ব্যাঙের আগেও এই পরিমানি শক্তি বিদ্যমান ছিল। আমরা বিশ্বাস করি এই পদার্থ ও শক্তি আল্লাহর কাছ থেকে এসেছে এবং আল্লাহর শক্তি এর চাইতেও অনেক অনেক বেশী। বর্তমান বিজ্ঞানীরা আমদের বলে , লৌহের একটি অনু তৈরি করতে যে পরিমাণ শক্তি প্রয়োজন, তা আমাদের সৌর জগতের মোট শক্তির চাইতেও বেশী।

সুতরাং লৌহ প্রাকৃতিকভাবে তৈরি নয় । তার মানে কোন আপনা আপনি সৃষ্টি হয়নি। আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেছেন, আমি আসমান হতে তোমাদের জন্য লৌহ পাঠিয়েছি। [সূরা হাদীদ]। সুত্র- কাজি জাহান মিয়া ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৬ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.