আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নাস্তিকতার দুর্বলতা , নাস্তিকতার পথ ধরেই আস্তিকতা

সচেতন হই , সচেতন করি । প্রথমেই সাধুবাদ জানাই আপনাদের অসীম সাহসিকতাকে , বৃত্তের সীমা হতে বের হয়ে সেই বৃত্তকে মুল্যায়ন করার সাহসিকতা সত্যিই প্রশংসনীয় । মুরগি আগে নাকি ডিম আগে ? এ প্রশ্নের উত্তর সত্যিই অসম্ভব যদি না থাকে সৃষ্টিকর্তা । অতি অবশ্যই বিবর্তনবাদ দিয়ে এর বিশ্লেষন সম্ভব , কিন্তু যদি বিবর্তনবাদই যদি হয় নাস্তিকতার ভিত্তি তাহলে আমার প্রশ্ন “ why natural selection process select only Human species as prominent ” আমার জানামতে প্রকৃতি বৈষম্য পছন্দ করে না । অবশ্যই মানুষের সমকক্ষ অথবা কছাকাছি অন্য কোন প্রজাতির উদ্ভব হওয়া উচিত ছিলো বিবর্তনের মাধ্যমে ।

আমি জানি না নাস্তিক্যবাদ এ বিষয়ে কি বলে ? নাস্তিক্যবাদের ভিত্তি হচ্ছে বিজ্ঞান , বিজ্ঞানের সুত্র এবং তার ইতিকথা । অবশ্যই বিজ্ঞান যোক্তিক এবং নিপাতনে সিদ্ধ পদ্বতি কিন্তু পরিবর্তনশীল । বিজ্ঞান কি পারবে কখনো অসীমতার সংজ্ঞা দিতে ?আমি যদি বলি এ অসীমতায় স্রষ্টার বসবাস তাহলে কি অযোক্তিক হয়ে যাবে ? অসীম মানেই রহস্য , অতি অবশ্যই সৃষ্টিকর্তা রহস্য প্রিয় । তা নাহলে এই পৃথিবী , মানুষ আর মহাজগতের সৃষ্টি সবই অর্থহীন । চাইলেই তো পারতেন আল-কুরআনে সব কিছু স্পষ্ট করে বলে দিতে , উল্লেখ করতে পারতেন সকল সুত্র , উপপাদ্য ও অনুসিদ্বান্ত ।

তা না করে সৃষ্টিকর্তা আশ্রয় নিলেন রুপকের , রুপকের অর্থ একজনের কাছে একেক রকম হবে এটাই স্বাভাবিক । এইটা সত্যি মুক্তমনা হয়ে আপনি কখনো ধর্মের মধ্যে ঈশ্বরকে খুঁজে পাবেন না , আবার যে বিজ্ঞানের উপর ভর করে আপনি যুক্তিবাদী চিন্তা ভাবনা করছেন সেই বিজ্ঞানও আপনাকে নিশ্চয়তা দিতে পারবে না ঈশ্বর নেই । আপনি কখনোই পারবেন না এই কনফিউশন হতে বের হয়ে আসতে । যতই চিন্তা করবেন সামনে শুধু দেখবেন রহস্য আর অসীমতা আর বুঝতে পারবেন নিজের জ্ঞানের সীমাব্দতা । এটাই সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের সবচেয়ে বড় প্রমাণ , অনেকটা √2 কে অমূলদ সংখ্যা প্রমানের মত ।

প্রথমে আমরা √2 কে মুলদ সংখ্যা প্রমানের চেষ্টা করি , যখন দেখি √2 মুলদ সংখ্যা না তখন বলি √2 একটা অমূলদ সংখ্যা । আমি বিজ্ঞানের ছাত্র হয়ে বিজ্ঞানের এমন কোন শাখা খুঁজে পাই নাই যেখানে বিজ্ঞানের জ্ঞান অসীমতার কাছে মুখ থুবড়ে পরে নি । গণিত হতে জীববিজ্ঞান যে কোন শাখায় অসীমতায় সীমাব্দতা । কিভাবে বিশ্বাস করবেন -273'c তাপমাত্রায় আয়তন শূন্য , অর্থাৎ আপনি আমি , নাই ভেনিস হয়ে যাবো । কিভাবে বিশ্বাস করবেন যে রকেট 2.9999*10^8 বেগে চলতে পারে সে রকেট 3.0*10^8 বেগে নাকি চলতে পারবে না ? কিভাবে বিশ্বাস করবেন একটা তেজষ্ক্রিয় পদার্থ ক্রমান্বয়ে ভাংতে থাকবে কিন্তু কখনোই নিঃশ্বেষ হবে না ? অবিশ্বাস্য নয় কি যে অনুজীব হতে প্রানের উৎপত্তি তাদের কখনো স্বাভাবিক মৃত্যু নেই অথচ আমাদের মৃত্যু নির্ধারিত ।

অসীমতার সংজ্ঞা কি বিজ্ঞান কখনোই দিতে পারবে না ? উত্তর হচ্ছে না । অসীমতা সম্পর্কিত বিষয় গুলোকে বিজ্ঞান Hypothetical হিসেবে মনে করে যাদের কোন প্রেক্টিকাল প্রুফ সম্ভব নয় । এইজন্য বিজ্ঞানের উপর ভর করে ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে কথা বলা হচ্ছে Hypothetical ব্যপার । প্রথমেই বলেছিলাম বৃত্তের সীমা হতে বের হয়ে সেই বৃত্তকে মুল্যায়ন করার সাহসিকতা সত্যিই প্রশংসনীয়, কিন্তু নতুন যে বৃত্তের উপর ভর করে আগের বৃত্তকে মুল্যায়ন করছেন তা কতটা যোক্তিক ? বিজ্ঞানের যুক্তি দিয়ে ঈশ্বরের অস্তিত্বহীনতা প্রমাণ করা প্রগল্যভ্রতা ছাড়া আর কিছুই নয় !! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.