আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সুতরাং বিড়াল মারিতেই হইবে...... মারিতেই হইবে বিড়াল।

একদা এক জনপদে হটাৎ করে সুযোগসন্ধানী বিড়ালের আবির্ভাব ঘটিলো। বিড়াল আসিয়া লুকাইয়া ঘরের দুধ পান করিয়া চলিয়া যাইতো। প্রথমদিকে লোকজন বিষয়টিতে তেমন উদ্বেগি না হইলেও অচিরেই তাদের টনক নড়িল যখন শিশুদের পানের দুধে টান পড়িল। তাহারা বিড়ালদের প্রতি উষ্মা প্রকাশ করা শুরু করলো। কিন্তু বিড়ালের তাতে বয়েই গেছে! এইবার লোকজন একত্রিত হইয়া বিড়ালের বিরুদ্ধে এলাকার মাঠে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করলো।

সমাবেশে বিড়ালের এই অন্যায্য কাজের বিরুদ্ধে শ্লোগান উঠলো। বক্তারা কেউ মৌনমিছিল সহকারে রাস্তা প্রদক্ষিণ করার কথা বললো, কেউ পোস্টার ব্যানারে অলিগলি ছেয়ে ফেলার কথা বলল এবং সর্বশেষে শান্তিপূর্ণ হরতালের কথাও তুললো কেউ কেউ। লোকজনের এই কর্মসূচির কর্মচাঞ্চল্যেই হোক কিংবা অন্য কোন কারনে- কিছুদিনের জন্য বিড়ালের দুধচুরিতে ছেদ পড়ল। কিন্তু এইভাবে কি আর চলতে পারে! দুধের সর খেয়ে নাদুসনুদুস হয়ে উঠা বিড়াল কি শুধু গোঁফে তেল দিয়ে দিন কাটাতে পারে? চুরি নয়- বিড়ালেরা এইবার নতুন উদ্যমে দুধ খেতে উঠেপড়ে লাগলো, দিবালোকে দলবদ্ধ হয়ে দুধের উপড় হামলে পড়লো, পারেতো দুধের পাতিলও খেয়ে ফেলার অবস্থা! হতাশ বিষণ্ণ মানুষেরা এইবার কি করবে? কথায় আছেনা- “কাচায় না নোয়ালে বাঁশ, পাকলে করে টাস টাস” শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান আর গণতান্ত্রিক প্রতিবাদের সকল উপায় যখন ব্যর্থ তখন বেয়ারা বিড়ালকে জনপদ ছাড়া করতে লাঠিবাঁশ হাতে তুলে নেয়া ছাড়া আর কোন উপায় কি আছে? সুতরাং বিড়াল মারিতেই হইবে। মারিতেই হইবে বিড়াল।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.